আমরা অনেকেই মনে করি বিটকয়েন এর মাধ্যমে লেনদেন করা মানে সম্পুর্ন গোপনীয় লেনদেন করা । বাস্তবিক পক্ষে তা ভিন্ন । বিটকয়েন ব্লকচেইন হল একটি পাবলিক এবং স্বচ্ছ চেইন যেখানে সবাই একে অন্যের এড্রেসের ব্যালেন্স দেখতে পারে এবং তা দিয়ে কে কি করছে জানতেও পারে। যেমন আপনি যদি আমার কোন এড্রেস চিনে থাকেন তাহলে আপনি দেখতে পারবেন আমি কাকে বিটিসি পাঠাইলাম কিংবা কে আমাকে পাঠাইল।
যদিও আমার মনে হয় না আমাদের এইরকম কেউ ট্র্যাকিং করে থাকে, কারণ আমরা খুব গুরুত্বপুর্ন ব্যক্তি নই। তবু জেনে রাখা ভালো, কে জানে হয়ত ভবিষ্যতে আমাদের কেউই হবে বাংলাদেশের ধনী ব্যক্তিদের একজন। তখন অবশ্যই সবাই তার পিছনে লাগবে এবং তার যদি বিটকয়েন থাকে তাকে ট্র্যাকিং করার চেষ্টা করবে। এই ট্র্যাকিং এর অন্যতম সহজ উপায় হল ডাস্ট এটাক। ডাস্ট বলতে আমরা সাধারণত ময়লা বুঝি। অনেকটা তাই এই ক্ষেত্রেও। বিটকয়েনে সর্বনিন্ম লেনদেন ৫৪৬ সাতশি বা ০.০০০০০৫৪৬ বিটিসি । কাস্টোডিয়াল ওয়ালেট বা অফচেইন লেনদেন এর ক্ষেত্রে তা ভিন্ন যদিও। প্রসঙ্গে ফিরে যাই। যারা কোন এড্রেস এর লেনদেন ট্র্যাকিং করতে চায় তারা এইরকম ছোট এমাউন্ট বিটিসি ওই এড্রেসে পাঠায়। যদিও একমুহুর্তের জন্য আপনার মনে হতে পারে বিটিসি রিসিভ করলে ভালো, আসলে তা না। এর প্রথম কারণ, আপনাকে ট্র্যাকিং করা তাদের জন্য সহজ হয়ে যাচ্ছে। আপনি যদি ওই বিটিসি ব্যবহার করেন তাহলে তাদের প্রোগ্রাম তাদেরকে নোটিফিকেশন দেবে আপনি বিটিসি কোথায় পাঠাচ্ছেন। আপনার এড্রেসের ট্র্যাকিং রাখার জন্যেই এইরকম ডাস্ট এটাক হয়ে থাকে। এইরকম ডাস্ট এটাক আবার অন্য দিক থেকেও খারাপ। যেমন- আপনার ফি নির্ভর করে ইনপুট এবং আউটপুটের উপর। এখন আপনি যদি ডাস্ট এটাক থেকে রিসিভ করা বিটিসি ইনপুটে দেন তাহলে দেখা যাবে ৫৪৬ সাতশি থেকে বেশি ফি আপনি ৫৪৬ সাতশির জন্যেই দিচ্ছেন। উল্টো লস।
কিভাবে পরিত্রাণ পাবেন?
আপনাকে এক্ষেত্রে জানতে হবে ইনপুট কি, আউটপুট কি, কয়েনও কনট্রোল কি। আপনি চাইলে যে কোন ইনপুট ব্যবহার করতে পারেন, নাও করতে পারেন। ইলেকট্রাম ওয়ালেটের মাধ্যমে আপনি উক্ত দাস্ত এটাকের ইনপুটটি ফ্রিজ কয়রে রাখবেন, মানে যাতে ব্যবহার না করা যায় তার জন্য লক কয়রে রাখবেন। তাহলেই সেই ইনপুট আপনার অন্য বিটকয়েনের সাথে মিশতে পারবে না।