হেলো ভাই/বোন এবং বন্ধুরা, আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।
আমরা সকলেই জিানি বর্তমান দূনিয়ায় ক্রিপ্টো কারেন্সি কতটা এগিয়ে গেছে। বিটকয়েন, ইথেরিয়াম সহ অন্যান্য প্রায় সকল কয়েনের দাম হূ হূ করে বেড়ে চলেছে।
যাদের কাছে এসব কয়েন আগে থেকেই কেনা ছিলো, তারা সবাই অনেক লাভবান হয়েছে। অনেকের মতে, ভবিষ্যতে এর দাম বাড়তেই থাকবে। যারা এই সুযোগ মিস করেছি, তারা চাচ্ছি কিছু কয়েন কিনে রাখতে ভবিষ্যতের জন্য। আবার অনেকে লস হবার ভয়ে কিনতে চাচ্ছে না। বলা তো যায় না কখন কি হয়ে যায়। অনেকেই আবার মাইনিং করছে। মাইনিং কি? আশা করি সকলেই জানেন।
যারা জানেন না তারা এই আর্টিকেল টি পড়ে আসতে পারেন
https://www.coinalap.com/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%82-%E0%A6%95%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%95%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%82/আজকে আমি শেয়ার করবো আমার মাইনিং এর এক্সপেরিয়েন্স।
আমার একজন রাশিয়ান বন্ধু, হঠাৎ একদিন বলছে, দেখা আজকে ৮ ডলার মাইনিং করলাম। কোনো কাজ করা ছাড়া ইনকাম করার মজাই আলাদা।
তো আমি তো অবাক, কিভাবে কি করছো? তখন ৩০ ম্যাগাহ্যাশ এ ৭-৮ ডলার মাইনিং হতো ২৪ ঘন্টায়।
সে আমাকে সব কিছু বুঝিয়ে বল্লো। যার সারমর্ম কিছটা এরকম >>
মাইনিং কয়েক ভাবে করা যায়, কিছু এলগোরিদম আছে গ্রাফিক্স কার্ড দিয়ে মাইনিং করা যায়। আবার কিছু এলগোরিদম এসিক মাইনার দিয়ে মাইনিং করতে হয়।
যেমন বিটকয়েন গ্রাফিক্স কার্ড দিয়ে মাইনিং করা যায় না। শুধু মাত্র এসিক মাইনার দিয়ে আপনি বিটকয়েন মাইনিং করতে পারবেন।
এছাড়া প্রায় ৮০ শতাংশ এলগোরিদম গ্রাফিক্স কার্ড দিয়ে মাইনিং করা যায়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটা নির্ভর করে আপনি কোন মডেলের গ্রাফিক্সকার্ড ব্যবহার করছেন তার ওপরে। প্রত্যেকটা এলগোরিদমের একটি ড্যাগ ফাইল থাকে। যেটা আপনার গ্রাফিক্সকার্ডের ধারণ ক্ষমতার মধ্যে থাকতে হবে। এই ড্যাগ ফাইলের সাইজ কিছু দিন পরপর পরিবর্তন হয়।
যেহেতু বর্তমানে গ্রাফিক্সকার্ড মাইনিং এ সবচাইতে প্রফিট্যাবল কয়েন হচ্ছে ইথেরিয়াম। ধরে নিলাম আপনি ইথেরিয়াম মাইনিং করতে চাচ্ছেন। সেই ক্ষেত্রে আপনার গ্রাফিক্স কার্ড টি অবশ্যই মিনিমাম ৬ জিবি হতে হবে। কারণ বর্তমান ইথেরিয়ামের ড্যাগ ফাইলের সাইজ ৪.৫ জিবি ছাড়িয়ে গেছে। কিছুদিন আগেও ৪ জিবি গ্রাফিক্স কার্ড দিয়ে ইথেরিয়াম মাইনিং করা যেতো। কিন্তু এখন তা সম্ভব নয়।
তো, আমিও তার পরামর্শে মাইনিং শুরু করি। মাইনিং সেটাপ তৈরী করার সময় কিছু কিছু জিনিস আপনাকে দেখে কিনতে হবে। ডিপেন্ড করে আপনি কতগুলো গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করবেন। আপনি ঠিক যতগুলো গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করতে চান মাদারবোর্ড কেনার সময় তা অবশ্যই দেখে নিতে হবে যে সেই মাদারবোর্ডে কতগুলো গ্রাফিক্সকার্ড আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। ধরুন আপনি চাচ্ছেন ৬ টি গ্রাফিক্স কার্ড দিয়ে মাইনিং শুরু করতে কিন্তু আপনি যে মাদারবোর্ডটি কিনেছেন তাতে ৪ টির বেশি গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করা যাবে না। সে ক্ষেত্রে মাদারবোর্ড কেনার সময় আপনাকে অবশ্যই দেখে কিনতে হবে যে সেই মাদারবোর্ড এ কতগুলো গ্রাফিক্স কার্ড আপনি লাগাতে পারবেন।
তো আমি মূলত শুরু করি চারটি গ্রাফিক্স কার্ড দিয়ে তিনটি rx570 8gb মডেলের এবং একটি GTX1660 Super 6 gb মডেলের।
বর্তমানে আমার দৈনিক ৬-৮ ডলার মাইনিং হচ্ছে। মোটামোটি একটা পকেট মানি আমি প্রতি মাসেই পেয়ে যাচ্ছি।
কোন মডেলের গ্রাফিক্সকার্ড দিয়ে কতো ডলার মাইনিং করা যাবে তা ক্যলকুলেট করার সবচেয়ে পপুরার সাইট হচ্ছে
https://whattomine.comআমার বর্তমান হ্যাশরেট হচ্ছে ১১৭ মেগাহ্যাশ। এবং গড়ে মাসিক ইনকাম ২১০ ডলার। তো আপনার কম্পিউটারে যদি একটি ভালো গ্রাফিক্সকার্ড থাকে, তাহলে আপনিও হয়ে যেতে পারেন শখের মাইনার।
ভূলত্রুটি ক্ষমা করবেন। কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করবেন। আমি জানানোর চেষ্টা করবো।
ধন্যবাদ।