দিন বদলের সাথে সাথে ক্রিপ্টোকারন্সিও থেমে নেই। প্রতিটি সেক্টরে এর প্রভাব এখন লক্ষনীয়। অদুর ভবিষ্যতে যা বলবৎ থাকবে।
বর্তমানে ক্রিপ্টোকারেন্সি একটি অন্যন্য আর্থিক সেক্টর। যা সারাবিশ্বে এককভাবে রাজত্ব করছে।ইতমধ্যে আমরা অনেকেই জানি যে ”অ্যামাজান” পৃথিবীর বিখ্যাত কোম্পানির একটি। বর্তমানে এই কোম্পানিটি ক্রিপ্টোকারেন্সিতে তাদের নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে। মাস্টারকার্ড এখন ক্রিপ্টোকারেন্সি গ্রহণ করার পরিকল্পনা করেছে হয়তো এবছরের শেষ দিকে আমরা প্রতিফলন দেখতে পাব। এছাড়াও শিগরই আমরা দেখতে যাচ্ছি যে এ্যাপেল ক্রিপ্টোকারেন্সিতে তাদের কেনা বেচা নিয়ে নতুন কোন প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে। তাই আমি মনে করি আগামিতে ক্রিপ্টোর কারেন্সির এক নতুন দুয়ার উন্মোচন হবে। আমার মনে হয় বিশ্বটা এখন ক্রিপ্টকারেন্সিকে সব জায়গায় প্রাধান্য দেবে। এখন নতুন উদ্ভাবন গুলো ক্রিপ্টকারেন্সির জগতে কেমন প্রভাব ফেলবে এটা নিয়ে আপনাদের সবার মতামত জানতে চাচ্ছি।
কিন্তু অত্যান্ত কষ্টের বিষয় বাংলাদেশ সরকার এগুলো নিয়ে এখনো ভাবছে না। বাংলাদেশ সরকারের কোনো বিভাগেই এখনো তরুণ নেতা গিয়ে পৌছাতে পারেনি। যারা এসব পরিবর্তন করতে পারে। ক্রিপ্টোর কথা বাদ দিলাম। পেপাল, বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের একটা দাবী। ২০১১ সাল থেকে বাংলাদেশে আসবে আসবে বলে ২০২১ সালেও আসেনি। বিভিন্ন মন্ত্রীরা বিভিন্ন সময় পেপাল আনার ঘোষনা দিয়েছে। কিন্তু সেটা ঘোষনা পর্যন্ত থেকে গেছে। ২-৩ মাস আগেও নতুন করে আবারো পেপাল আনার ঘোষনা দেয় এবং তাদের জানায় ডিসেম্বর মাসেই পেপাল বাংলাদেশে তাদের অফিশিয়াল কাজ শুরু করবে। বাংলাদেশে ২০৫০ সালেও পেপাল আসে কিনা আমার সন্দেহ আছে। আর ক্রিপ্টো আমরা বেচে থাকতে হয়তো বৈধ হবেনা।
বর্তমান সময়ে কিন্তু কারেন্সি মার্কেটে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে কি প্রকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
দিনের-পর-দিন ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার এবং জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে বিশ্বের অনেক জনপ্রিয় ও বড় বড় কোম্পানিগুলো তারা ক্রিপ্টোকারেন্সি মাধ্যমে লেনদেন শুরু করছে।অনেক বড় বড় কোম্পানির তারা ক্রিপ্টোকারেন্সি মাধ্যমে লেনদেন কর তে অনেক আগ্রহ প্রকাশ করছে।
একটা সময় পৃথিবীর সকল দেশ থেকেই এই কাগুজে নোট বা ফিজিক্যাল ক্যাশ ব্যবস্থা উঠে যাবে। এটা আমার কথা না। বড় বড় অর্থনীতিবিদরাই এটা মনে করে। যে দেশ যতো আগে তাদের মানিয়ে নিতে পারবে, দিন বদলে তারাই সবচাইতে এগিয়ে থাকবে। তবে বাংলাদেশ হয়তো সব গুলো দেশের পরেই হবে। কারণ টা সবারই জানা আছে।
সম্প্রতি এক সাংবাদিক সম্মেলনে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক স্যার বলেছেন- ডিজিটাল কারেন্সি বাংলাদেশ লঞ্চ করবে এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধতা নিয়ে তারা কাজ করতে চায়, গবেষণা করতে চায়। পিছিয়ে থাকতে চান না বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে। মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মহোদয়কে সকলের পক্ষ থেকে সাধুবাদ জানাই।