বিনিয়োগ করার জন্য যা যা প্রয়োজন
বিনিয়োগ কিঃ বিনিয়োগ হলো কোনো মুদ্রা বা কোনো জিনিসের উপরে আপনার মূলধন দিয়ে সেসব ক্রয় করা। বিনিয়োগ করা আমাদের জন্য লাভজনক হবে। তবে আমি ক্রিপটোতে বিনিয়োগ করতে পছন্দ করি। তাই আমি ক্রিপটো বিনিয়োগ নিয়েই আজ আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
বিনিয়োগ করার জন্য যা যা প্রয়োজনঃ
১. মূলধন
২. ক্রিপটো অভিজ্ঞতা
৩. ক্রিপটো মুদ্রা বেছে নেওয়া
৪. ধৈর্য
৫. লোভ নিয়ন্ত্রণ
ক্রিপটো বিশ্বে বিনিয়োগ করার জন্য আপনি যদি এসব কিছু ভালো জানেন, তাহলে আপনি বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারবেন। আমি নিচে চারটি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
মূলধনঃ প্রথমত ক্রিপটো বিশ্বে বিনিয়োগ করার জন্য আপনার মূলধন প্রয়োজন। আপনার যদি মূলধন না থাকে তাহলে আপনি বিনিয়োগ করতে পারবেন না। তবে আপনি অল্প পরিমান অর্থ দিয়েও বিনিয়োগ শুরু করতে পারবেন। বিনিয়োগ করার জন্য আপনার অবশ্যই মূলধন থাকা জরুরি। আপনার যদি মূলধন না থাকে, তাহলে ক্রিপটো মুদ্রা আয় করার জন্য অনেক সাইট রয়েছে। যেগুলোতে কাজ করে আয় করতে পারেন। মূলকথা হলো, আপনি অর্থ দিয়ে অর্থ বৃদ্ধি করার নাম হলো বিনিয়োগ। তাই আপনি কম পরিমান অর্থ দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করবেন আর লাভ হলে আপনার মূলধন বাড়বে। তাই, বিনিয়োগ করার জন্য মূলধন আবশ্যক।
ক্রিপটো অভিজ্ঞতাঃ ক্রিপটো বিশ্বের অভিজ্ঞতা ব্যতীত আপনি বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারবেন না। কারন অভিজ্ঞতা ব্যতীত আপনি কোনো কয়েনে বিনিয়োগ করতে হবে তা জানবেন না। ক্রিপটো বিশ্বে অনেক স্ক্যামার রয়েছে, আর আপনি কোনোভাবে স্ক্যাম কয়েন ক্রয় করেন,তাহলে আপনার মূলধন হারিয়ে ফেলবেন। ক্রিপটো বিশ্বের অভিজ্ঞতা থাকলে আপনি সকল কয়েন সম্পর্কে জানতে পারবেন। কিভাবে কয়েন ক্রয় করবেন তা জানতে পারবেন। কোন ওয়ালেট বা একচেন্জ সাইট থেকে কয়েন ক্রয় ও বিক্রয় করা যাবে তা জানতে পারবেন। এককথায়, ক্রিপটো বিশ্বের অভিজ্ঞতা ব্যতীত আপনি বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারবেন না,আর বিনিয়োগ করলেও লসের মুখোমুখি হবেন।
মুদ্রা বেছে নেওয়াঃ বিনিয়োগ করার জন্য মুদ্রা বেছে নেওয়া আমার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।আপনার মূলধন রয়েছে আর আপনি ক্রিপটো বিষয়ে অভিজ্ঞতা রয়েছে, আর তখন আপনি অভিজ্ঞতা থেকে ভালো কয়েন বিনিয়োগ করার জন্য বেছে নিবেন। আপনি যদি রিসার্চ করে ভালো কয়েন বেছে নিয়ে বিনিয়োগ করেন তাহলে ভালো প্রফিট পাবেন। আপনি নতুন প্রজেক্ট এর কয়েন বা জনপ্রিয় কয়েনও বিনিয়োগ করার জন্য বেছে নিতে পারেন। তবে মুদ্রাতে বিনিয়োগ করার আগে মুদ্রার সকল ওয়েবসাইট ও সকল তথ্য রিসার্চ করে বিনিয়োগ করবেন। তবে যারা আপনার নিকটবর্তী ক্রিপটো এক্সপার্ট রয়েছে তাদের পরামশ নিতে পারেন। তবে নিজে রিসার্চ করে মুদ্রা বেছে নিয়ে বিনিয়োগ করা উত্তম। বিনিয়োগ করার জন্য আপনি বিটকয়েন ক্যাশ বেছে নিতে পারেন। তবে বর্তমানে বিটকয়েন ক্যাশ এর দাম অনেক কম, তাই আপনারা dca করতে পারেন।
ধৈর্যঃ বিনিয়োগ করার জন্য আপনার ধৈর্য প্রয়োজন। ক্রিপটো মুদ্রার দাম সবসময় উঠা-নামা করে।আর আপনি যদি উঠা নামা দেখে নিজেকে কন্টোল না করতে পারেন তাহলে আপনি বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারবেন না। বিনিয়োগ দীর্ঘদিনের জন্য বা মিড টার্ম এর জন্য করতে পারেন। আপনি যদি দীর্ঘদিনের জন্য বিনিয়োগ করেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই ১ বছরের উপর ধৈর্য ধরতে পারেন। তবে ছয় মাসের বেশী সময় বিনিয়োগ করে রাখবেন। এর ফলে প্রফিট হওয়ার সম্ভবনা থাকে। বিনিয়োগ সময় লং টার্ম এর জন্য করবেন। আমি লং টার্ম বলতে ১ বছর বা এর বেশী সময়কে বুঝিয়েছি। তবে বিনিয়োগ করার কয়েকদিনের মধ্যে যদি আপনি ভালো রিটার্ন পেয়ে থাকেন, তাহলে আপনি কয়েন বিক্রি করে দিতে পারেন। আপনি যখন ভালো প্রফিট পাবেন তখন তা বিক্রি করে দিবেন।
লোভ নিয়ন্ত্রণঃ ক্রিপটো বিশ্বে অনেকে লোভে পড়ে সকল কিছু হারিয়ে ফেলে।আমার ক্ষেত্রেও এরকম হয়েছে। আমি ১৫০ ডলার দিয়ে বিনিয়োগ করে একটি কয়েন এর উপর আর তার দাম বৃদ্ধি পেয়ে ১২০০ ডলারে উঠেছিলো। কিন্তু আমি লোভে পড়েছিলাম, আর ধীরে ধীরে কয়েন এর দাম আগের দামের থেকে আরো নিচে চলে যায়। এর ফলে আমি লোভ করে অনেক ভুল করেছি এবং অর্থ হারিয়েছি। তাই যখন আপনার বিনিয়োগ থেকে ভালো প্রফিট আসবে, তখনই আপনি সেই কয়েন বিক্রি করে দিবেন। তবে আরেকটি কথা, আপনি কখনই একটি কয়েন এর উপর আপনার সকল মূলধন বিনিয়োগ করবেন না। আপনি সবসময় কয়েকটি মুদ্রা বেছে নিয়ে বিনিয়োগ করবেন। এর ফলে একটি কয়েনে লস হলেও অন্য কয়েন থেকে আপনি প্রফিটে থাকবেন।