আচ্ছা ভাই কেউ কি বাংলাদেশের ন্যাশনাল লটারি সম্পর্কে জানেন?
আমি আসলে প্রাইজবন্ডের কথা বলতেছি সরকারি এই প্রাইজবন্ডগুলো কি সব ব্যাংকে পাওয়া যায় কারো কি এ সম্পর্কে ধারনা রয়েছে কিছু ? আজকে প্রাইজবন্ড সম্পর্কে একজনের কাছ থেকে শুনলাম তার ভাষ্য মতে এটা আবার যখন তখন ইচ্ছা অনুযায়ী ভাঙানো যায় , আর ১০০ টাকা থেকে শুরু হয় পাশাপাশি লটারি ড্র এর মাধ্যমে একটা বড় এমাউন্টের ফান্ড অর্জন করা সম্ভব হয়।
এ বিষয়ে কারো জানা থাকলে একটু বিস্তারিত জানাবেন -
বিনিয়োগের জন্য প্রাইস বন্ড একটি ভাল উপায়। বিশেষ করে যারা সুদ মুক্ত বিনিয়োগ চান কারন প্রাইজ বন্ড ক্রয় করলে সেখানে কোন সুদের কারবার হয় না। এটি মুলত লাটারীর মত মনে হলেও সরাসরি কোন লটারী নয়। তবে লটারীর চেয়ে বেশি কিছু বলা যায়। কারন যখন আপনি কোন প্রাইস বন্ড ক্রয় করবেন তখন আপনি সেই কাগজের ম্রদুায় একধরনের নম্বর পাবেন। সেই নম্বর গুলোই আপনার লটারীর নম্বর হিসেবে বিবেচিত হবে। সাধারন লটারীতে একবার লাটারী রেজাল্ড হওয়ার পর তা অকেজো হয়ে যায় কিন্তু প্রাইজ বন্ডের মাধ্যমে আপনি যতদিন পর্যন্ত সেই বন্ড নিজের কাছে রাখতে পারবেন ততদিন সেখানে আপনি অটেমেটিক লটারীতে অংশগ্রনের জন্য যুক্ত থাকতে পারবেন। অর্থাৎ কাগজের মুদ্রা যতদিন আপনার কাছে আছে ততদিন আপনি লটারী ধরতে পারছেন। এখাানে এই সুবিধা আজীবন পাবেন। প্রতি বছর 4 বার প্রাইজনন্ডের উপর লটারী হয়ে থাকে সেই সময়কাল হল 31 জানুয়ারী,30 এপ্রিল, 31 জুলাই এবং 31 অক্টেবর।

এখানে মজার ব্যাপার হল প্রাইজবন্ড আপনি চাইলে যে কোন সময় এটি ক্রয় করতে পারেন এবং সেটি যে কোন সময় বিক্রয়ও করতে পারেন। এটি সম্পুর্ণ আপনার নিজের ইচ্ছার উপর ডিপেন্ড করবে। প্রাইস বন্ধ বাংলাদেশ ব্যাংকের সব শাখা অফিস, সকল প্রকার বানিজ্যিক ব্যাংক , পোস্ট অফিস সহ জাতীয় সঞ্চয় অদিদপ্তরের অধীনে আপনি এই প্রাইজবন্ড ক্রয় এবং তা ভাঙাতে পারবেন। টাকা যেমন চাহিবা মাত্র ইহার বাহকে দিতে বাধ্য থাকিবে এমন একটি লেখা প্রাইজন্ডের উপর লেখা থাকে। যার কারনে আপনি চাহিবা মাত্র প্রাইজবন্ড থেকে টাকায় কনভার্ট করতে পারেন।
বাংলাদেশে 1995 সালের আগে 10 এবং 50 টাকা মুল্যের প্রাইস বন্ড থাকলেও সেগুলো বিলুপ্ত করা হয়েছে এবং 1995 সাল থেকে শুধুমাত্র 100 টাকা মুল্যের প্রাইজ বন্ড রাখা হয়েছে। আপনি যতটা কিনতে চান সেই পরিমান অর্থ ব্যাংকে বা যেখান থেকে ক্রয় করবেন সেখানে দিলে তারা আপনাকে সেই পরিমান অর্থের বিপরীতে প্রাইজবন্ড দিবে।
প্রাইজবন্ড ক্রয় করতে কোন প্রকার কোন ফরম ফিলাপ করতে হয় না। আপনি শুধুমাত্র টাকা দিবেন তার পরিবর্তে তারা আপনাকে কিছু কাজের নোট প্রদান করবে। তবে যদি আপনি লটারী পান তাহলে আপনার জাতীয় পরিচিত্র পত্র সহ বেশ কিছু তথ্য দিতে হবে।
প্রাইজ বন্ডে মোট 46 টি পুরস্কার থাকে
1ম পুস্কার হিসেবে 6 লক্ষ্য টাকা - 1 জন বিজয়ি পাবে।
2য় পুরস্কার 3লক্ষ্য 25 হাজাার টাকা -1 জন বিজয়ি পাবে।
3য় পুরস্কার 1 লক্ষ্য টাাকা- 2 জন বিজয়ি পাবে।
4র্থ পুরস্কার 50 হাজার টাকা - 2 জন বিজয়ি পাবে।
5ম পুরস্কার 10 হাজাার টাকা - 40 জন বিজয়ি পাবে।
ব্যেক্তিগত ভাবে আমি সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনেক বার প্রাইজবন্ড ক্রয় করেছি। তবে আমি সেখানে ভাগ্যবান ছিলাম না। তবে আমার মাধ্যমে কয়েকজন কে আমি ক্রয় করে দিয়েছিলাম তাদের মধ্যে একজন ব্যেক্তি 2য় প্রথম প্রুরস্কার পেয়েছিল।
আরও বিস্তারিত জানার প্রয়োজন হলে এখানে ক্লিক করতে পারেন