বিশেষ করে মাইক্রোস্টাডিজি প্রতিষ্টানসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ১৪ই এপ্রিলে তারিখেও বিটকয়েন বিনিয়োগ করেছে। নিচের পিকচারগুলো দেখে আপনারা বিষয়টি নিশ্চিত হবেন ইনশাআল্লাহ।
বর্তমানে বিনিয়োগ করা আমেরিকান প্রতিষ্ঠানগুলো
BLACKROCK
BOA (Bank of America)
Fiedilty Fidelity
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের কথা আসলে প্রথমেই আসে মাইক্রোস্ট্র্যাটেজির কথা। মাইকেল সেইলর বিটকয়েনে বিনিয়োগ করছেন দীর্ঘ দিন ধরেই। বর্তমানে তারা প্রায় ১৪০০০০ বিটকয়েন হোল্ড করছে যা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের দিক থেকে সর্বোচ্চ। ব্যক্তিগতভাবে আমি এইটা পছন্দ করি না। একটা প্রতিষ্ঠানের হাতে যত বেশি কয়েন থাকবে, মার্কেটের ঝুঁকি তত বেশি। তারা চাইলেই ম্যানিপুলেট করতে পারবে।
যাই হোক, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান যেগুলোর নাম বলছেন যেমন ব্ল্যাকরক, ফিডেলিটি, ব্যাংক অফ আমেরিকা ওরা আসলে বিটকয়েনে সরাসরি বিনিয়োগ করে নি। ওরা বিটকয়েন ক্রয় করে নি। ছবিতে যে তালিকা আছে ওরা সবাই মুলত মাইক্রোস্ট্র্যাটেজির স্টক MSTR এ বিনিয়োগকারী, টপ ১০ এর তালিকা। ওরা ঐ কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করেছে। যাই হোক, দুইটাই আসলে একই কথা। যেহেতু তারা মাইক্রোস্ট্র্যাটেজির শেয়ার হোল্ড করছে পরোক্ষভাবে, তারা আসলে বিটকয়েনই হোল্ড করছে কারণ এই কোম্পানির ভবিষ্যত বিটকয়েনের দামের সাথেই সম্পৃক্ত।
এবং সবচেয়ে বেশি আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সম্প্রতি MSTR এ বিনিয়োগ তুলনামুলক অনেক বেশি করেছে। যেখানে SEC ক্রিপ্টোকারেন্সির বিরুদ্ধে একপ্রকার যুদ্ধই করতেছে, সেখানে এইরকম বড় বড় নামগুলোকে বিটকয়েনে বিনিয়োগ করা একটা প্রতিষ্ঠানের স্টক ক্রয় করতে দেখাটা আসলেই চিন্তার বিষয়।
তবে, এইখানে আরো একটা ব্যাপার থেকে যায় যে SEC কিন্তু বিটকয়েন এর বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারবে না কিংবা করবেও না। সম্প্রতি যা কিছুই হয়েছে সব কিন্তু এক্সচেঞ্জ + অল্টকয়েন নিয়েই হয়েছে। সেক অনেকগুলো ক্রিপ্টোকেই সিকিউরিটি বলছে।