আয়ের পথ যেটাই হোক বা ইনকাম কম বা বেশি হোক, কখনও সেটিকে ছোট মনে করা ঠিক না। আর জীবনে প্রথম ধাপ টা খুবই কঠিন। প্রথম পদক্ষেপ টি নিয়ে ফেললে পরে বাকি কাজ গুলোতে এডযাস্ট হইতে অনেক সহজ হয়।
কথাটি অনেক মূল্যবান, জীবনের প্রথম পদক্ষেপ নেওয়াটাই সত্যিকারের আসল কাজ।
বাংলাদেশে গ্রামীন পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিয়ে নিজস্ব উদ্যোগে কিছু করাটা কতটা কষ্টসাধ্য বিষয় সে বিষয় নিয়ে একটু আলোচনা করব। গ্রামে সাধারণত হাঁস মুরগির খামার, গরুর খামার, পরিশেষে মনোহারী দোকান দিয়ে সাথে ফ্লেক্সিলোডের দোকান দেওয়া ইত্যাদি খুবই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ।
তবে এই সমস্ত উদ্যোগগুলো গ্রামীণ অর্থনীতিতে মোটামুটি লাভজনক কিন্তু পদক্ষেপটি কার্যকর করাটা অনেকটা কষ্টসাধ্য। আমি একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব সেটা হচ্ছে আমরা যারা গ্রামীণ অর্থনীতিতে বসবাস করি তারা যদি একটু শিক্ষিত হই অর্থাৎ কলেজ থেকে মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পড়াটা শেষ করে এসব উদ্যোগ গ্রহণ করতে যায় তখন হাজারো কথার বান আমাদের কানে এসে উদ্যোক্তার বারোটা বাজিয়ে দিয়ে যায়।
প্রতিবেশী আত্মীয়-স্বজনেরা ও কিছু সময় বন্ধুরাও বলে ওঠে সারা জীবন পড়ালেখা করে লাস্টে ফ্লেক্সিলোডের দোকান দিলি, আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে বলাবলি করে অমুকের পোলা লাস্টে মনোহারি দোকান দিল, এমনকি বলে ওঠে লাস্টে গরুর খামারি স্থান হলো। এই সমস্ত কথার বান আমাদের অন্তরে লালিত স্বপ্নকে কবর দিতে বাধ্য করে।
যে সমস্ত ভাইয়েরা এই সমস্ত নানামুখী মন্তব্য আমলে না নিয়ে তার লালিত উদ্যোগ কাজে লাগায় তারাই পরবর্তী জীবনে সাকসেস হয়। আগে উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করার জন্য একনিষ্ঠ মনোযোগ দিতে হবে তারপরে আল্লাহ তাআলা অবশ্যই সাকসেস করবেন।
আপনার পোস্টটি পড়ার পর একটি বিষয় ভালো লাগছে যে আমাদের আশেপাশের লোকেরা যে কথাগুলো বলে এগুলো আপনি উল্লেখ করেছেন। একবার আমি নবম শ্রেণিতে থেকে দশম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হওয়ার সময় তিনটি সাবজেক্টে ফেল গিয়েছিলাম তখন আমার আপন কাকিমা আমাকে যেভাবে অপমান করেছিল সেই অপমান আজও আমার কানে ভেসে আসে। আমি সেই অপমানের চ্যালেঞ্জ করে পরবর্তীতে এসএসসিতে মোটামুটি ভালো রেজাল্ট করি। তো আপনাকে আমি এই দৃষ্টান্ত দিব যে আশেপাশের লোকেরা যাই বলুক না কেন তাদের কথা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে আপনি আপনার প্ল্যানে অটুট থাকুন। আপনি আপনার পরিকল্পনা মোতাবেক নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করুন। আজ আপনাকে যারা টিটকিরি করছে তারাই আপনাকে আপনার সাফল্য দেখে প্রশংসা করবে।