বিশ্বব্যাপী বিটকয়েনের খবর জানে না এরকম দেশ খুঁজে পাওয়া অসম্ভব। বিটকয়েন এমন একটি গোপনীয় কারেন্সি যার আবিষ্কারক গোপনীয় হয়ে আছেন, কিন্তু বিটকয়েন এমন একটি পরিচিত কারেন্সি হয়ে উঠেছে যা আগামী ভবিষ্যতে সারা পৃথিবীতে একচেটিয়া বাণিজ্য করবে এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়। সময় যত গড়াচ্ছে বিটকয়েনের জনপ্রিয়তা ততই বাড়ছে। কিন্তু আমরা বাংলাদেশি সহ বিশ্বের অনেক দেশে এখন পর্যন্ত বিটকয়েনের বৈধতা নিয়ে সরকারের কঠোর অবস্থান রয়েছে।
আমার একটি জিজ্ঞাসা হল আমরা যারা মুসলিম দেশে বসবাস করি তারা বিটকয়েনকে একটি হারাম কারেন্সি হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
https://www.kalerkantho.com/print-edition/islamic-life/2019/04/29/763953বিশ্বের বড় বড় ওলামাকেরাম বিভিন্ন মন্তব্য করেন যে বিটকয়েন সাধারণত অপরাধমূলক প্রবণতায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়, যেমন বিটকয়েন দিয়ে অনলাইন কেসিনো, অনলাইন জুয়া, আন্তর্জাতিক চোরাচালান , অস্ত্র কেনাবেচা, নারী পাচার ইত্যাদি অপরাধমূলক কার্যসম্পন্ন হয় বলে একে হারাম কারেন্সি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
তুরস্কের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশের ইসলামী ফেডারেশন, মিশরের আন্তর্জাতিক ফতোয়া বিভাগ, ফিলিস্তিনের কেন্দ্রীয় ফতোয়া বিভাগ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও জাতীয় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বিটকয়েনকে নাজায়েজ কারেন্সি বলে আখ্যায়িত করেছে।
যদি নাজায়েস কারেন্সি হয়ে থাকে তাহলে বিটকয়েনের টাকা দিয়ে কি কুরবানী করা জায়েজ হবে?
কুরবানী এমন একটি আত্মত্যাগ বা উৎসর্গ যেখানে কোন নাজায়েস এর স্পর্শ থাকতে পারবে না থাকলে আল্লাহর সন্তুষ্ট অর্জন করা সম্ভব হবে না। তাই আমরা যারা কুরবানি করার জন্য আল্লাহর কাছে নিয়ত করেছি তারা ভালোভাবে জেনে ও শুনে কুরবানী দিয়ে থাকবেন।