জানি না এখানে ব্যাক্তিগত ব্যাপার গুলো শেয়ার করা ঠিক হবে কি না। আজকে আমার বিবাহের ৭ বছর পূর্ণ হয়েছে। আর বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে আজকে পরিবার নিয়ে বাইকে করে ঘুরতে বের হয়েছিলাম। ঘুরে ফিরে বাড়ি ফেরার পথে একটা কালভার্টের ভাংগা অংশে বাইক পড়ে, এতে করে বাইকে ঝাকুনির তৈরী হয় এবং এতে করে আমার ওয়াইফ আমার ২ বছরের বাবু সহ বাইকের পেছন থেকে রাস্তায় পড়ে যায়। বাইক ৬০+ স্পিডে ছিলো আর অনেক টুকু যায়গা টেনে হিচরে যায়ম যার কারনে শরীরের অনেক যায়গায় ক্ষত বিক্ষত হয়ে গেছে। আমার ২ বছরের অবুঝ মেয়ে টা অনেক বেশি ব্যাথা পেয়েছে। শরীরের অনেক যায়গায় চামড়া উঠে গেছে। আমি বাইক কন্ট্রোল করতে পেরেছিলাম যার কারনে আমি বাইক থেকে পড়িনি। এখন আমার মনে হচ্ছে আমি কেনো পড়ে গেলাম না, তবুও ওরা ব্যাথা না পেতো, চোখের সামনে এরকম রক্ত মাখা শরীর আর বউ বাচ্চার কান্না কে কতো টুকু সহ্য করতে পারবে আমি জানি না। কিন্তু আমার কলিজায় কোনো ভাবেই নিতে পারছি না। নিজেকে অনেক বেশি অপরাধী মনে হচ্ছে। আমি আরো আস্তে বাইক চালাতে পারতাম, হয়তো তাহলে এরকম হতো না। বার বার মনে হচ্ছে এই অসুস্থতা আল্লাহ আমাকে দিয়ে ওদের ভালো রাখতো। তবে এও সত্যি যে, আমি আল্লাহ তায়া’লার ফায়সালায় আমি খুশি। আলহামদুলিল্লাহ! কারণ আল্লাহ ছোট বিপদ দিয়ে বড় বিপদ গুলো দূর করে দেয়। এর চেয়ে খারাপ কিছু হতে পারতো। সবার কাছে আমার পরিবারের জন্য দোয়া চাই।
মহান আল্লাহ আপনার স্ত্রী এবং ছোট শিশু সন্তানের কস্ট সহ্য করার তৌফিক দান করুন এবং দ্রুত পরিবারে সকলেই যেন সুস্থ হয়ে ওঠেন মহান আল্লাহ তাআলার কাছে সেই পার্থনা করছি। কিছু কিছু সময় আল্লাহ বিপদ দেন আবার তিনি বান্দাকে রক্ষা করেন। আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনি এবং আপনার পরিবার স্বাভাবিক আছে যেনে খুশি হলাম যদিও সেখানে আপনার স্ত্রী এবং শিশু আঘাতে জর্জরীত হয়েছে তবে আরও বড় কোন দুর্ঘনাও হতে পারত মহান আল্লাহ আপনাকে ভালবেসে সেই ধরনের কোন পরিস্থিতি ফেলেন নি এজন্য শুকরীয়া। মহান আল্লাহ আপনার এবং আপনার পরিবারের সবাইকে হেফাজত করুক। আমার সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগছে আপনার ছোট মেয়ের জন্য। বাচ্চা মেয়েটি কতই না কস্ট পেয়েছে। আমি কিছুটা উপলব্দি করতে পারছি যে আপনার মনের মধ্যে কতটা কস্ট হচ্ছে। কারন সেই গাড়িটি আপনি চালিয়েছিলেন। নিজের চেয়ে আপনার পরিবারের জন্য বেশি কস্ট পাচ্ছেন। আমার নিজেরও একটি মেয়ে আছে 3বছরের। আমিও মাঝে মাঝে মেয়ে এবং আমার স্ত্রীকে নিয়ে বাইকে ঘুরি। আজকের পর হয়তো আপনার ঘটনাটি আমার প্রায়ই মনে পরবে। কিছু কিছু সময় নিজে সর্তক থাকা সত্বেও এমন বিপদ আসে। সর্বপরী আমাদের মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেই হবে। মহান আল্লাহ আমাদের ভালবাসেন যার করুনায় আমরা এখন ভালভাবে বেঁচে আছি এর জন্য হাজার শুকরিয়া। সর্বপরী নিজের এবং পরিবারের প্রতি খেয়াল রাখুন।