প্রসঙ্গ যদি আসে বিটকয়েন ব্যান রাখা, তাহলে আমাদের বাংলাদেশ ই সেরা।
রাজনৈতিক ব্যাক্তিরা বলেছিল যে শেখ হাসিনার সুযোগ্য সন্তান সফটওয়্যার এবং আইটি বিশেষজ্ঞ,ঐনি ক্ষমতা গ্রহণ করলে দেশের অনেক উন্নতি হবে। আমরাও খুশিতে বাগবাগ। কিন্তু ঐ সুযোগ্য পুত্র বাংলাদেশের জন্য একটি উন্নয়নমুলক কাজ করেছেন কিনা খুঁজে পাচ্ছি না।
সাতোশি নাকামোতা মূলত বিটকয়েন আবিষ্কার করেছেন ব্যাক্তিগত প্রাইভেসি রক্ষার জন্য, এখন মূলত হচ্ছে তাই। বিটকয়েন লেনদেনের ক্ষেত্রে আমাদের প্রাইভেসি রক্ষা হচ্ছে কিন্তু আমাদের দেশের জনগণ একথা বুঝতে পারলেও সরকারি রাজনৈতিক দলের লোকগুলো মাঝে মাঝে বিটকয়েনের সম্পর্কে এমন অজানা তথ্য তুলে ধরেন যা শুনলে পায়ের পাতা রাগে গরম হয়ে যায়।
বিটকয়েন ও বিটকয়েনের আবিস্কারক সম্পর্কে তারা মিথ্যাচার করেন। অহেতুক মিথ্যাচার করে লাভ আছে? আমাদের দেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের কথা কেউ শোনে না। এদেশের সরকারের দপ্তর থেকে হাজারো প্রতিবেদন প্রকাশ করলেও বিটকয়েনের কোন সমস্যা করতে পারবে না। হ্যা তবে আমাদের দেশে যদি বিটকয়েনের বৈধতা দেয়া হতো তাহলে আমরা ভয়ে ভয়ে বিটকয়েন ক্রয় বিক্রয় করতাম না। বিটকয়েন তখন রেমিট্যান্সের একটি অংশ হিসেবে বিবেচিত হতো।
আমাদের প্রানপ্রিয় দেশনেত্রীর সুযোগ্য সন্তান গত ১৫ বছরের বিটকয়েনের উপর একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তাহলে আইটি বিশেষজ্ঞ ও বৈজ্ঞানিক হিসেবে আমাদের কি দিল।
দেশের একমাত্র একজন রাজনৈতিক নেতা জুনায়েদ আহমেদ পলক এমপি সাহেব মাঝে মাঝে বিটকয়েন নিয়ে কথা বললেও পরবর্তীতে ফলস্বরূপ কিছু পাইনি। তাই এদেশে যদি রাজনৈতিক দলগুলোর পরিবর্তনও হয় তাহলেও বিটকয়েন নিয়ে আমরা কোন পজিটিভ কিছু পাব না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাজনীতিবিদরা বিটকয়েনকে দেশের প্রপার্টি হিসেবে মেনে নিচ্ছে অথচ আমাদের দেশে বিটকয়েন নিয়ে আইন ও রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধাচরণ আমাদের ব্যাপকভাবে মর্মাহত করে।
বাংলাদেশের সরকার হয়তো কোনদিনও ভাবে না যে বিটকয়েন বাংলাদেশে বৈধ করা উচিত। তারা শুধু বলে যে বাংলাদেশ ডিজিটাল দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। কিন্তু কোথায় আমরা তো এর প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি না।
সরকার হয়তো ভাবছে যে বিটকয়েন বৈধ করলে আমাদের দেশে মানি লন্ডারিং এর পরিমাণ বেড়ে যাবে যার জন্য তারা বিটকয়েন বৈধ করার পদক্ষেপ এখনো নিচ্ছে না। কিন্তু তার থেকেও অনেক অনেক বেশি টাকা বিদেশে পাচার করছে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গরা। সরকারের কাছে এটা ঠিক সহ্য হবে। সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশ সরকারের আইটি বিষয়ক উপদেষ্টা হলেও তার ক্রিপ্টো কারেন্সি বিষয়ক কোন জ্ঞান নেই বললেই চলে। সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যখন বিটকয়েন নিয়ে মাতামাতি পৃথিবীর সবাই বিটকয়েন সম্পর্কে কিছু হলেও জানে। কিন্তু তিনি এমন একজন ব্যক্তি যার কাছে কোনদিন বিটকয়েন সম্পর্কে কিছু শুনতে পাই নি।
আমি আপনার সাথে একমত বাংলাদেশ সরকার কোনদিনও চাইবে না বিটকয়েন কে বৈধতা দেওয়ার। এ বিষয়ে তাদের মাথায় কোন চিন্তা ভাবনাই নেই বরঞ্চ যারা বিটকয়েনে মাধ্যমে কিছু অর্থ উপার্জন করে যদি কোন ভাবে সরকারি লোক জানতে পারে তাদেরকে আইনি হারেসমেন্ট করার জন্য সব সময় সরকার রেডি থাকবে এতে কোন সন্দেহ নেই। এদিকে দেখা যাচ্ছে তাদের দলের রাজনৈতিক নেতারা হাজার হাজার কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে তাতে কোন সরকারের মাথা ব্যথা নেই। সবকিছু মিলে যদি আমাদের দেশের সরকার বিটকয়েন কে বৈধতা দেওয়ার চিন্তাভাবনা করতো হয়তো আমাদের দেশের ইয়াং জেনারেশন গুলো অনেক উপকৃত হত। তাদেরকে আর বিটকয়েনে লুকিয়ে লুকিয়ে কাজ করতে হতো না ওপেনলি আমরা সবাই বিটকয়েন এ কাজ করতে পারতাম এটা আমাদের জন্য খুবই দুর্ভাগ্য যে আমাদের দেশের সরকার বিটকয়েন বৈধতা দিচ্ছে না।