Post
Topic
Board Other languages/locations
Merits 2 from 2 users
Re: বাংলাদেশ (Bengali)
by
Essential10
on 14/10/2023, 01:58:10 UTC
⭐ Merited by cryptoWODL (1) ,HelliumZ (1)
প্রসঙ্গ যদি আসে বিটকয়েন ব্যান রাখা, তাহলে আমাদের বাংলাদেশ ই সেরা।
রাজনৈতিক ব্যাক্তিরা বলেছিল যে শেখ হাসিনার সুযোগ্য সন্তান সফটওয়্যার এবং আইটি বিশেষজ্ঞ,ঐনি ক্ষমতা গ্রহণ করলে দেশের অনেক উন্নতি হবে। আমরাও খুশিতে বাগবাগ। কিন্তু ঐ সুযোগ্য পুত্র বাংলাদেশের জন্য একটি উন্নয়নমুলক কাজ করেছেন কিনা খুঁজে পাচ্ছি না।
সাতোশি নাকামোতা মূলত বিটকয়েন আবিষ্কার করেছেন ব্যাক্তিগত প্রাইভেসি রক্ষার জন্য, এখন মূলত হচ্ছে তাই। বিটকয়েন লেনদেনের ক্ষেত্রে আমাদের প্রাইভেসি রক্ষা হচ্ছে কিন্তু আমাদের দেশের জনগণ একথা বুঝতে পারলেও সরকারি রাজনৈতিক দলের লোকগুলো মাঝে মাঝে বিটকয়েনের সম্পর্কে এমন অজানা তথ্য তুলে ধরেন যা শুনলে পায়ের পাতা রাগে গরম হয়ে যায়।
বিটকয়েন ও বিটকয়েনের আবিস্কারক সম্পর্কে তারা মিথ্যাচার করেন। অহেতুক মিথ্যাচার করে লাভ আছে? আমাদের দেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের কথা কেউ শোনে না। এদেশের সরকারের দপ্তর থেকে হাজারো প্রতিবেদন প্রকাশ করলেও বিটকয়েনের কোন সমস্যা করতে পারবে না। হ্যা তবে আমাদের দেশে যদি বিটকয়েনের বৈধতা দেয়া হতো তাহলে আমরা ভয়ে ভয়ে বিটকয়েন ক্রয় বিক্রয় করতাম না। বিটকয়েন তখন রেমিট্যান্সের একটি অংশ হিসেবে বিবেচিত হতো।
আমাদের প্রানপ্রিয় দেশনেত্রীর সুযোগ্য সন্তান গত ১৫ বছরের বিটকয়েনের উপর একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তাহলে আইটি বিশেষজ্ঞ ও বৈজ্ঞানিক হিসেবে আমাদের কি দিল।
দেশের একমাত্র একজন রাজনৈতিক নেতা জুনায়েদ আহমেদ পলক এমপি সাহেব মাঝে মাঝে বিটকয়েন নিয়ে কথা বললেও পরবর্তীতে ফলস্বরূপ কিছু পাইনি। তাই এদেশে যদি রাজনৈতিক দলগুলোর পরিবর্তনও হয় তাহলেও বিটকয়েন নিয়ে আমরা কোন পজিটিভ কিছু পাব না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাজনীতিবিদরা বিটকয়েনকে দেশের প্রপার্টি হিসেবে মেনে নিচ্ছে অথচ আমাদের দেশে বিটকয়েন নিয়ে আইন ও রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধাচরণ আমাদের ব্যাপকভাবে মর্মাহত করে।

বাংলাদেশের সরকার হয়তো কোনদিনও ভাবে না যে বিটকয়েন বাংলাদেশে বৈধ করা উচিত। তারা শুধু বলে যে বাংলাদেশ ডিজিটাল দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। কিন্তু কোথায় আমরা তো এর প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি না।
সরকার হয়তো ভাবছে যে বিটকয়েন বৈধ করলে আমাদের দেশে মানি লন্ডারিং এর পরিমাণ বেড়ে যাবে যার জন্য তারা বিটকয়েন বৈধ করার পদক্ষেপ এখনো নিচ্ছে না। কিন্তু তার থেকেও অনেক অনেক বেশি টাকা বিদেশে পাচার করছে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গরা। সরকারের কাছে এটা ঠিক সহ্য হবে। সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশ সরকারের আইটি বিষয়ক উপদেষ্টা হলেও তার ক্রিপ্টো কারেন্সি বিষয়ক কোন জ্ঞান নেই  বললেই চলে। সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যখন বিটকয়েন নিয়ে মাতামাতি পৃথিবীর সবাই বিটকয়েন সম্পর্কে কিছু হলেও জানে। কিন্তু তিনি এমন একজন ব্যক্তি যার কাছে কোনদিন বিটকয়েন সম্পর্কে কিছু শুনতে পাই নি।
কোন এক সংসদ সদস্যকে হয়তো প্রশ্ন করা হয়েছিল যে আপনারা কেন বাংলাদেশে বিটকয়েনের বৈধতা দিচ্ছেন না উত্তরে ওই সংসদ সদস্য বলেছিল বাংলাদেশের যদি বিটকয়েনের অনুমোদন দেওয়া হয় তাহলে অল্প দিনের মধ্যেই বাংলাদেশের মানুষ তার জমি জমা এবং বাড়িঘর হারাবে। যখন কোন সংসদ সদস্য এ ধরনের কথা বলে তখন আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে যে আমাদের দেশে বিটকয়েনের বৈধতা নিয়ে বাংলাদেশে কখনোই ভাবছেনা, দুদকের তদন্তে মাঝে মাঝে যে সমস্ত নিউজ বের হয়ে আসে তাতে আমার মনে হয় বাংলাদেশের যদি বিটকয়েনের অনুমোদন দেওয়া হয় তাহলে যে সকল রাজনৈতিক নেতা আছে তারা ১৫ দিনের মধ্যে দেশের সমস্ত অর্থ বিটকয়েনের মাধ্যমে কনভার্ট করে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে একদম ধ্বংস করে দিবে। আমরা বাংলাদেশে যেভাবে বিটকয়েন ব্যবহার করছি হয়তো ভবিষ্যতেও আমাদের সেভাবেই বিটকয়েনের ব্যবহার করতে হবে। রাজার ছেলে যেমন রাজা হয় তেমনি যতই সরকার পরিবর্তন হোক না কেন সকলের মনে একটা ধারনা থাকে যদি বাংলাদেশ অনুমোদন দেওয়া হয় তাহলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ধ্বংস হবে। এরকম ধারণা যতদিন চলতে থাকবে ততদিন বাংলাদেশের বিটকয়েন অনুমোদন পাবে না।