আমরা যে লেনদেনগুলো বিটকয়েন দিয়ে করে থাকি সেগুলোর ফি নির্ভর করে উক্ত ট্রাঞ্জেকশন এর ইনপুট এবং আউটপুট এর উপর। একটা ট্রাঞ্জেকশনে যত বেশি ইনপুট কিংবা আউটপুট থাকবে, সেই ট্রাঞ্জেকশনের ফি তত বেশি হবে।
তবে, আমরা যদি বিটকয়েন গ্রহণ করার সময় তাপরুট(Taproot) এড্রেস ব্যবহার করি, তাহলে পরবর্তীতে পাঠানোর সময় ফি কিছুটা কম লাগবে। ধরুন একটা ট্রাঞ্জেকশনে ৫টা ইনপুট আছে এবং ১ টা আউটপুট আছে। সেক্ষেত্রে ইনপুটগুলো যদি তাপরুট এড্রেস থেকে হয় তাহলে ফি তুলনামূলক কম লাগবে (অন্যান্য এড্রেস হলে যা লাগতো তার চেয়ে কম)।
আবার তাপরুট এড্রেস থেকে আপনি ১টা ইনপুট থেকে যদি অনেকগুলো আউটপুট ক্রিয়েট করেন, তাহলে ন্যাটিভ সেগউইট এড্রেস থেকে একই কাজ করতে যে পরিমাণ ফি লাগতো, তাপরুটে আরো বেশি লাগবে।
সহজ কথায়, বেশি ইনপুট হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে তাপরুট এড্রেস ব্যবহার করা শ্রেয়। পক্ষান্তরে, আপনাকে যদি একটা ট্রাঞ্জেকশনে অনেক মানুষকে বিটকয়েন পাঠাতে হয়, তাহলে ন্যাটিভ সেগউইট ব্যবহার করাই শ্রেয়।
আমরা যে সিগনেচার ক্যাম্পেইনের পেমেন্ট রিসিভ করি, এটার জন্য কোন এড্রেস ব্যাবহার করা ভালো হবে? সেগউইথ নাকি তাপরুট? আমরা সাধারনত একই এড্রেস এ মাসে ৪-৫ বার পেমেন্ট রিসিভ করে থাকি। তারপর আমরা যখন আবার কাউকে বিটকয়েন সেন্ড করি, তখন সাধারন আউটপুট হয় একটা আর ইনপুট হয় অনেকগুলো। যতোগুলো ট্রানজেকশনে রিসিভ করেছি, সবগুলোই ইনপুট হিসেবে কাউন্ট হয়।
আপনার এক্সপ্লেনেশান থেকে যতটুকু বুঝেছি, এই ক্ষেত্রে তাপরুট এড্রেস ব্যাবহার করাই শ্রেয়। কিন্তু আমি কোনো ক্যাম্পেইনেই দেখিনি যে ম্যানেজারগন তাপরুট এড্রেস একসেপ্ট করে। আরেকটা প্রশ্ন হলো কোন কোন ওয়ালেট তাপরুট এড্রেস সাপোর্ট করে? ইলেকট্রামে মূলত সেগউইথ এড্রেস ই থাকে।