সংবাদে এখোনো আসেনি, তবে এটা সত্যি। কুমিল্লাতে যদি কোনো আত্তিও ও পরিচিত কেউ থেকে থাকে খবর নিতে পারেন ।
অনেকেই দেখি বলে পুলিশ সবার ফোন চেক করতেছে এই ক্রিপ্টোকারেন্সি সাথে জরিত কিনা সনাক্ত করার জন্য আমি নিউজ টি দেখি নাই, কেউ কি দেখছেন?
পুলিশ জনগণের ফোন চেক করছে এটা সত্য তবে এটা করেছিল ২৮ তারিখের যে BNP এর প্রোগ্রাম ছিলো সেদিন নয়া পল্টনের দিকে যে বাসগুলো বা গণপরিবহন গুলা চলছে পুলিশ সেগুলা চোখে চোখে রাখছে আর যে গাড়ির যাত্রীদের সন্দেহজন মনে হয়েছে বা কোন সোর্সের মাধ্যমে পুলিশ কোন গাড়ির কথা জানতে পারছে যে সেখানে কোন সন্দেহে বচন ব্যক্তি আছে সেগুলারে পুলিশ সার্চ করছে এবং তাদের মোবাইল নিয়েও সার্চ করা হয়েছে এই ঘটনা সত্য তবে এটা ক্রিপ্টো ব্যবহারকারীদের ধরার জন্য এমন অভিযান ছিল না।
যদিও এটা বিএনপি'র প্রোগ্রাম সম্মেলনের কারণে করেছে কিন্তু আপনি হয়তো সম্ভব মাধ্যমগুলোতে দেখেননি সাধারণ মানুষের মোবাইল ফোনের প্রাইভেসি গুলো চেক করেছে। এখানে কোন পুলিশ বা প্রশাসনের রাইট নেই যে তার অনুমতি ছাড়া ফোন চেক করবে এটা এক ধরনের হয়রানি করা হয়েছে যা বর্তমানে আমরা সেই হয়রানি শিকার হচ্ছি। তবে সন্দেহজনকভাবে যদিও চেক করে থাকে তাহলে ফোনের সকল কিছুই চেক করবে পুলিশে এটা নিশ্চিত থাকুন আপনি যদি এমন পরিস্থিতিতে পড়ে তাহলে অবশ্যই বুঝবেন কতটা কঠিন। আমার প্রতিবেশী এক ছোট ভাই ঢাকার উদ্দেশ্যে গিয়েছিল তার মামার বাসায় কিন্তু সেখানে তাকে সৌন্দর্যজনকভাবে দেখে তার সমস্ত কিছু চেক করেছে ফোন সহ তার যাবতীয় জিনিসপত্র কিন্তু কিছুই পাইনি শুধু শুধু একজন যাত্রীর উপর এই ধরনের হয়রানি। যাইহোক যেহেতু এটা আমাদের বাংলাদেশ এখানে জনগণের উপর রাজনীতি চলে, আর এই ধরনের রাজনীতি সাধারণ মানুষের ওপর সবচেয়ে বেশি কষ্টকর হয়ে পড়েছে যার জনগণ বর্তমানে নিতে পারতেছে না বিদায় বর্তমান সরকারের ওপর অনেকটা ক্ষিপ্ত।
যদিও পুলিশে ক্রিপ্টোকারেন্সি বিষয় চেক করিনি তবে আপনার ফোন যদি কোন প্রশাসনের ব্যক্তি চেক করে তাহলে আপনার রিয়েকশন তখন কেমন হবে??
যেহেতু আপনি বিটকয়েনের সাথে সম্পর্কিত রয়েছেন এবং আপনি বিটকয়েন লেনদেন করেন এবং ইনকাম করেন সিগনেচার করেন সেহেতু আপনার অবশ্যই সমস্যা করতে হবে যদি তারা এই ধরনের কোন কিছুর চেক করে থাকে। শুধুমাত্র ফোনের গ্যালারি চেক করবে এটা কিন্তু বিষয় না ফোনের সমস্ত যাবতীয় ইনফরমেশন গুলো তারা চেক করে থাকে, আমি একটি সংবাদ মাধ্যমে দেখেছি একজন মোটরবাইক আর তার ফোনের সমস্ত ইনফরমেশন facebook whatsapp instagram টেলিগ্রাম সহ কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়া চেক করেছে। কিন্তু কোন কিছুই পাইনি যদি আপনার মোবাইল ফোনের এই সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া গুলো চেক করতে তাহলে অবশ্যই ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে কোনো না কোনো ইনফরমেশন তারা ঠিকই পেত এবং আপনাকে সমস্যায় ফেলত। আর এই ধরনের নিজের প্রাইভেসি চেক করা কোন ব্যক্তির রাইট নেই তবুও আমাদের দেশের পুলিশ প্রশাসন এই অমানবিক কাজগুলো করে যাচ্ছে এটা কোন দেশের সৌন্দর্য হতে পারে না। সেজন্য আমাদেরকে এই ধরনের অমানবিক প্রশাসনের কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করা ঠিক নয় সেজন্য সতর্ক থাকাটা সবচেয়ে জরুরী।
ভাই আমি আপনার কথা বুঝতে পারছি কিন্তু আপনি কার কাছে বলবেন যে আমার অনুমতি ছাড়া ফোনে হাত দেওয়া যাবে না। পুলিশকে কি বলার উপায় আছে ? আমি যখনই এই কথাটি বলব যে আপনি কেন আমার অনুমতি ছাড়া আমার ফোনে হাত দিছেন পুলিশ কোন কথা ছাড়া আমাকে ধরে নিয়ে থানায় মামলা দিয়ে জেল হাজতের ব্যবস্থা করে দেবে। একজন নিরপক্ষ সাধারণ জনগণের স্বাধীনভাবে কথা বলার ক্ষমতা নাই পুলিশের সাথে। পুলিশ সাধারণত জনগণের সেবা নিয়োজিত থাকে কিন্তু বর্তমান শাসন ব্যবস্থা এরকম কায়েম হয়েছে যে পুলিশ সন্ত্রাসের মতো সাধারণ জনগণের সাথে করে। সন্ত্রাসরা যখন সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তখন আমরা পুলিশের কাছে যাই আর পুলিশে যদি সাধারণ জনগণকে হেনস্থা করে তখন আমরা কার কাছে যাব। তাই এই জঘন্য রাজনীতির থেকে বাংলার জনগণকে বের হতে হবে।