আসলে বিশেষ করে যাদের কোন আয়ের উৎস নেই বা কোন চাকরি করে না তাদের ক্ষেত্রেই এইরকম পরিস্থিতি বেশি দেখা যায়। তাদের মনে আফসোস থাকে আমার যদি টাকা থাকতো আজকে বিটকয়েনে বিনিয়োগ করতে পারতাম। বিটকয়েন এমন একটি মুদ্রা যারা প্রথমে বিটকয়েন সম্পর্কে ধারনা পায় তারাই বিটকয়েনে বিনিয়োগ করার জন্য আগ্রহ বেড়ে যায়। গ্লোবালে কয়েকটি টপিকে অনেকেই মন্তব্য করেছে যে ""যা হারাতে পারবেন তাই বিনিয়োগ করুন""। তাই সর্বোপ্রথম আমাদের উচিত বিটকয়েনে বিনিয়োগ করার আগে অবশ্যই কোন আয়ের উৎস খুঁজে বের করা। এখন যদি কারো কোন আয়ের উৎস থাকে, যেমন একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করে মাসে ১২ হাজার বা তার থেকে বেশি বেতন পায়। তার জন্য বিনিয়োগ করা খুবই সহজ কারন সে যদি মাসে ১০ ডলার করেও বিনিয়োগ করে আস্তে আস্তে তার এমাউন্ট অনেক বড় হবে। গ্রামের দাদিরা বলে,, খুদ কুড়ালে বেল হয়,,। যাইহোক DCA পদ্ধতিতে অল্প অল্প পরিমান করে বিনিয়োগ করলে যদি দীর্ঘকয়েক বছর ধরে বিনিয়োগ করা যায়, তাহলে আস্তে আস্তে এমাউন্ট অনেক বড় হবে। তার জন্য দরকার ধৈর্য, তাড়াহুড়ো করা যাবে না ধৈর্য ধরে করতে হবে।
যারা টাকা হারাতে রাজী না, ইনভেস্টমেন্ট তাদের জন্য না। বিশেষ করে বিটকয়েন ইনভেস্টমেন্ট। ক্রিপ্টকারেন্সি মার্কেট এর ভবিষ্যত কি হবে কেউ বলতে পারবে না। আজ ১০০% পাম্প করতে পারে আবার সেই মার্কেট এর ভ্যালু শূন্য হয়ে যেতে পারে চোখের পলকে। শুধুমাত্র বিটকয়েন ইনভেস্টমেন্ট না, এইটা যে কোনো ইনভেস্টমেন্ট এর ক্ষেত্রে প্রোযোজ্য। যা আপনি ইনভেস্ট করবেন তা হারালে আপানার জীবনে যেনো সেই রকম কোনো প্রভাব না পরে তা খেয়াল রাখতে হবে।
কথায় আছে, টাকায় টাকা আনে। আমাদের টার্গেট হবে আগে বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা ইনকাম করা। কোনো কাজ ই ছোটো না। যেই কাজ আপনার মুখে খাবার তুলে দেয় সেই কাজ কে কখনও ছোটো করে দেখবেন না। Diversification is the key. শুধু মাত্র একটি কাজ নিয়ে পরে থাকলে হবে না। বিভন্ন উপায়ে ইনকাম করতে হবে। এর পর আপনি অতিরিক্ত টাকা দিয়ে বিভিন্ন ভাবে ইনভেস্ট করতে পারবেন। যা শুধু বিটকয়েন ইনভেস্ট এ সিমাবদ্ধ না।