রাজনীতির বলি কিন্তু সব সময় জনগনই হয়ে থাকে।
সারাজীবনই হয়ে আসছি, আজও হবো, সামনেও হবো, যতদিন পর্যন্ত এই নোংরা রাজনীতির অবসান না ঘটে। সরকার চাইলেই এসব সমস্যা কিন্তু দূর করতে পারে কিন্তু করবো না, কারন ম্যানি টকস। যেখানে লাভ দেখবে সেখানে যাবে, তার উপর আবার সামনে নির্বাচন। মানুষ বাঁচে মরুক গলে যাক সেটা ম্যাটার না, ম্যাটার হলো গদি সামলানা।
ভারতের পিয়াজ রপ্তানি বন্ধের নিউজ ঝড়ের গতিতে মিডিয়া প্রচার করে বসেছে। আর হুরহুর করে দাম বেড়ে গেছে। আমি মনে করি, এই সমস্যা সমাধানে যদি পাল্টা নিউজ করা হতো যে আমরা অন্য কোনো দেশ থেকে আমদামি করার চেষ্টায় আছি তাহলে কিন্তু এতো দুর্ভোগ হতোনা সাধারণ জনসমাজের। আমার মনে হয়না এমন কোনো নিউজ করা হইছে, অন্তত আমার চোঁখে পড়ে। কিভাবে ইকোনমি অস্থিতিশীল করবে তা নিয়ে যত কাজ। আর সবসময় সবকিছুরই জন্য এক দেশের উপরই নির্ভর করা ভালো ঠেকেনা আমার কাছে। ৩-৪ টা সোর্স থাকা জরুরি। কারন ভাবুন আজ বাদে কাল যদি ভারত একে একে সব প্রোঠাক্ট রপ্তানি বন্ধ করা শুরু করতে থাকে তখন কোথায় গিয়ে ঠেকবো আমরা।
বিভিন্ন দেশ তাদের সম্পর্ক ভালো রাখার জন্য অন্যান্য দেশের সাথে চুক্তি করে। আবার নিজেদের লাভের জন্য সেসব চুক্তি বাতিল ও করে। ভারত বন্ধু রাষ্ট্র বলে কথা। কিন্তু ভারত কখনোই তাদের নিজেদের লস দিয়ে বাংলাদেশ কে সাহায্য করতে আসবে না। ফারাক্কা বাধ তারই একটা উদাহারন। ভারত কখনোই শুস্ক মৌসুমে বাংলাদেশে পানি আসতে দেয় না। আবার তারা হুট করেই সব বাধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশ ডুবিয়ে দেয়। যদিও বাধ করার সময় একটা চুক্তি ছিলো। সেটার দিকে কোনো কালের কোনো সরকারই তাকায় নি। বা তাকালেও কোনো রেজাল্ট আনতে পারেনি। গত মৌসুমেও ভারত পেয়াজ রপ্তানী বন্ধ করে দেয়ার পর বাজার অস্থির হয়ে গিয়েছিলো।
ফারাক্কা নিয়ে আমাদের ভারত সরকারের সাথে কথা হইছে, অতি সীগ্রই এর সমাধান হয়ে যাবে, এই কথা মনে হয় আমি আমার জন্মের পর থেকে শুনতেছি। তবে এর প্রাকটিকাল কখনো চোঁখে আসেনি। অদূর ভবির্ষতেও হয়তো আসবে না। ফারাক্কা নিয়ে আমি হোপলেস।
ভারতে যখন পেয়াজের দাম একটু বেড়ে যায়, তখনই রপ্তানী বন্ধ করে দেয়। তারা নিজেরা খেতে না পারলে আপনাকে খাওয়াতে পারবে না।
আর এদিকে আমরা বছরে বছরে টনকে টন ইলিশ উপহারস্বরূপ পাঠাই। বাহ বন্ধুত্ব বাহ। একটা কথা আছে বন্ধুই বন্ধুর হো*া মারে। যা এখন হারে হারে টের পাচ্ছি। এর পরেও সরকার তার বন্ধুর জন্য জান প্রান দিতে রাজি।