----
যদি এক সরকার দেশ ১০০ বছর শাসন করে, তাতেও আমার সমস্যা নাই। আমার সমস্যা অন্য যায়গায়। জনগনের বাক স্বাধীনতা দিতে হবে। কিন্তু সেটা বাংলাদেশে নাই বললেই চলে। আপনি সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বলতেই পারবেন না। নির্বাচনের ২ থেকে ৩ দিন আগে আমার এক চাচা মার্কেটে গিয়ে দোকানের লোকজন কে বলতেছে এখানে কিসের ট্রাকের আলাপ চলে? ট্রাকের কোনো আলাপ চলবে না, শুধু নৌকার আলাপ করতে পারবি। আমি সেখানে ছিলাম না। এভাবে মানুষের মুখ যারা বন্ধ করে রাখতে চায়, তারা কিভাবে জনগনের প্রতিনিধি হতে পারে?
ইউনিয়ন অফিসে একটা কাগজের জন্য গেলে প্রত্যেকটা মানুষ হয়রানি হয়। জন্ম নিবন্ধন, মৃত্যু নিবন্ধন, নাগরিক সনদ যেনো মানুষের কাছে আতংকের নাম হয়ে গেছে। অফিসে গেলে একই কথা, সার্ভার নাই। অথচ গ্রাম পুলিশের কাছে ৫০০ টাকা ধরিয়ে দিতে ২ দিনের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যায়। বিদ্যুৎ নিয়ে দুইদিন পর পর নাটক হয়। বাজারে নিত্যপন্যের দাম আকাশচুম্বী। আরো কতো শত সমস্যা।
আমি আগেই বলেছি যে, আমরা সাধারন মানুষ সরকারের কাছে ভাত কাপড় চাই না। আমরা চাই একটু শান্তি। আমাদের ন্যায্য অধিকার। কিন্তু নিকট ভবিষ্যতেও এই দেশের মানুষ তার অধিকার পাবে না।
২০২১ সালে অনলাইনে বুস্টিং এর জন্যে পাসপোর্ট করতে জেয়ে প্রতিটা ধাপে ধাপে হয়রানির শিকার হইছিলাম, আমার এন আই ডি কার্ডে নাম একটু ভুল ছিলো এই জন্যে জন্ম বিবন্ধন করা লাগছিলো, এটা করতে ৩দিন ঘুরাইছিলো। পরে ১হাজার টাকা দিসিলাম এক দিনেই হয়ে গেছিলো। এন আই ডি সংশধন করতে বলেছিলো ৩মাসের আগে হবেনা। পরে যখন ২হাজার টাকা দিলাম ২৪ ঘন্টাও লাগেনি এন আই ডি ডাউনলোড করার মেসেজ দিয়ে দিসিলো। আর পাসপোর্ট একবারেই জমা নিয়েছিলো, কারন আগেই দালাল ধরছিলাম অখানেও ৩হাজার টাকা এক্সট্রা লাগছে।
২০২২ সালে আমার মেয়ের জন্মনিবন্ধন করতে ১৫০০টাকা নিয়েছিলো।
এখন প্রতিটা যায়গাতে এরকম হলে আপনি বা আমি ভালো হলেও কোনো লাভ নাই। পুরা সিস্টেমেই সমস্যা।