বাউন্টি.....
এখন আপনি যদি ধরে ধরে পৃথিবীর যত বাউন্টি আছে সবগুলো করতে যান তাহলে তো ২-৪ জন টাকা মেরে দিবেই। করলে যদি করতেই চান তাহলে বেশ কয়েকটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে।
১. বাউন্টি ম্যানেজ কে করতেছে তা দেখবেন। যদি রেপুউটেড কেউ বাউন্টি ম্যানেজ করে তাহলে তেমন সমস্যা হবার কথা না।
২. যে প্রডাক্ট/কয়েন/কোম্পানির জন্য কাজ করতেছেন সেটার আদেও কোনো মার্কেট ভ্যালু আছে কিনা বা সম্ভবনা আছে কিনা তা চেক করে নিবেন। সিটকয়েনেন অভাব নাই।
৩. বাউন্টির জন্য নির্ধারিত টোকেন/কয়েন/অর্থ এসক্র করা আছে কিনা।
ভাই আপনাকে যদি বাউন্টির রিয়ালিটি সম্পর্কে বলি তাহলে, বেশিরভাগ পার্টিসিপেন্ট (৫০%) বাউন্টিতে চিট করে। এখন বলতে পারেন আমি একথা কিভাবে জানি!!! কারণ আমি নিজে বাউন্টির সাবমিশনগুলো চেক করি/করছি। বিস্বাস করেন ভাই একজন ইউজার ৪-৫ টা আইডি দিয়ে বাউন্টিতে জয়েন করে, যা সম্পূর্ণ রুলস এর বাহিরে। পেমেন্ট এড্রেসগুলো চেক দিলেই এসব মাল্টি ইউজারগুলো ধরা পড়ে। এখন এসব চিটারদের একজন ম্যানেজার/ভ্যালিডেটর কি জন্য স্টেক/পেমেন্ট দিবে আপনি নিজেই বলেন?
শুধু তাই না। আপনি যে বল্লেন অনেক পরিশ্রম করে বাট পেমেন্ট দেয়না। কোথায় পরিশ্রম ভাই? সামন্য একটা সিম্পল ট্যাস্কও ঠিকমতো করেনা, না দেয় প্রজেক্ট এর ছবি না দেয় নাম না দেয় হ্যাশট্যাগ। মানে একেবারে যাচ্ছেতাই অবস্থা। এমনকি রুলসগুলোও ঠিকমতো পড়ে না, না পড়েই কমপ্লেইন্ট করে যে স্টেক নাই কেন, দেন নাই কেন, হাবিজাবি।
আমি হাজার হাজার পোস্ট (Twitter, telegram, discord, article etc) চেক করি/করছি, আমার কাছে মনে হয়নাই আহামরি পরিশ্রমের কাজ এগুলো। বেশিরভাগই কোনো রকমে পিলগারিজম, কপি-পেস্ট, প্যারাফেস করে কাজ সাবমিট করে।
নোট: যদি সৎ ভাবে ভালো কোনো প্রজেক্ট বেছে কাজ করেন তাহলে অবশ্যই পেমেন্ট পাবেন।
