আমার মত যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায়, তাদের কাছে এক বিটকয়েন সমান বা সমপরিমাণ বিটকয়েন জমানো আর আকাশের চাঁদ হাতে করে নিয়ে ঘুরে বেড়ানো একই কথা। কারণ এখন যদি আমরা স্বপ্ন দেখি বাস্তব হওয়া খুব কঠিন হবে না বললেই চলে।
তাহলে তো হয়েই যেতো পায়ের উপর পা তুলে খাইতাম ঘুুমাতাম আর হোল্ড করতাম। কিন্তু বেশিরভাগেই ঐ মূলধনটা নাই যেটা দিয়ে কিনে সে হোল্ড করবে। আমার এখনো মনে আছে বিটিসি যখন ১৫ কে তে ছিলো তখন কয়েক হাজার (আর কত হবে ৫ কে) কিনে রাখতে চাইছিলাম। কিন্তু কিনতে পারিনাই। এতদিনে সেটা ৫-৬ গুন হয়ে যেতো যদি কিনে হোল্ড করতাম। ঐযে নুন আর পান্তা। টাকা হাতে থাকেনা। কোনো না কোনো দিক দিয়ে খরচ হয়ে যায়।

ভাই এখানে আমার কাছে যেটা সবথেকে বড় সমস্যা মনে হয়, সেটা হচ্ছে যে বাইরের দেশের মুদ্রা থেকে আমাদের বাংলাদেশের মুদ্রা এর ব্যবধান অনেক বেশি। যে কারণে আমরা চাইলেও অনেক কিছু করতে পারি না। আর আমাদের দেশে আরও একটা সমস্যা হচ্ছে আঞ্চলিকভাবে বলেন আর দেশীয়ভাবে বলেন, যে কোন একটা বিষয়ে কেউ জানে সে অন্যকে সেটা বলতে চায় না সেটা কেন জানিনা। তবে যারা একটু বুদ্ধিমান তারা মনে করে তাদের বুদ্ধি নিজেদের কাছে রাখবে অন্য কারো কাছে শেয়ার করতে চায় না। তাছাড়া ভালো পরামর্শ পেলে অনেকেই হয়তোবা আরো অনেক ডলার জমা রাখতে পারতো।