রিটার্নে কি আপনার ইনকাম সাড়ে তিন লাখ এর নিচে ছিল?
আসলে আমি আরো দুই বছর আগে ই-টিন বানিয়েছিলাম এবং সেটি ব্যাংকে জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু এখনো পর্যন্ত একবারও রিটার্ন ও দেইনি। যদিও কয়েকবার ফর্ম কিনে বাসায় এনে রেখে দিয়েছি আলসেমের ফিলাপও করেনি দেওয়া হয়নি। নিজে নিজে কি অনলাইনেই আপনার রিটার্ন সাবমিট করে দিয়েছেন?
আমি তো আবার ভাবতেছিলাম আমাকে অফলাইনে ব্যাংক স্টেটমেন্ট সহ ইনকাম ট্যাক্স অফিসে গিয়ে জমা দিয়ে আসতে হবে। দুই বছর যাবত কোন রিটার্ন দেইনি এখনো পর্যন্ত আমাকে কেউ কোন নোটিশ দিল না।
এখানে মূল বিষয় হচ্ছে সাড়ে তিন লক্ষ টাকার নিচে হলে ট্যাক্স দিতে হবে না বিষয়টা এমন না, কিছু ক্ষেত্রে আছে বা কিছু পেশা রয়েছে যেখানে আপনার সেই পেশার যদি কর্মজীবী হন, আপনার বাৎসরিক ইঙ্কাম যদি এক টাকা নাও থাকে তারপরও আপনাকে ট্যাক্স দিতে হবে। অন্তত ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিতে হবে।
আপনি যদি দুই বছর ধরে ট্যাক্স রিটার্ন না দিয়ে থাকেন, তাহলে এখন আপনার জন্য করণীয় ওই দুই বছরের জরিপানা দিয়ে আপনাকে এখন নতুন ভাবে ট্যাক্স রিটার্ন দিতে হবে। সবথেকে ভালো হয় সামনে বাণিজ্য মেলা আসবে তখন আপনি সেখানে টেক্স মওকুফের জন্য একটা ফর্ম পূরণ করে। ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিয়ে দিবেন। আপনি যদি আপনার ট্যাক্স রিটার্ন বা ইটিন সার্টিফিকেট দিয়ে কিছু করতে চান, তাহলে আপনাকে এখন গত দুই বছরের জরিনা দিয়ে পুনরায় নতুনভাবে ট্যাক্স রশিদ নিতে হবে।
আপনাদের আলোচনা থেকে আমি এখনো পুরোপুরি ভাবে ক্লিয়ার হলাম না যে ফ্রিল্যান্সারদের ইনকাম আগে ইনকাম ট্যাক্সের বহিরভূত ছিল যে তাদের সাড়ে তিন লাখ এর অধিক ইনকাম থাকলেও ১৫% ট্যাগ দিতে হয় না।

এতদিন যারা আইটি রিলেটেড সার্ভিস প্রোভাইড করেছে বা ফ্রিল্যান্সার ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল, তাদের ট্যাক্স মওকুফ ছিল কারণ তাদের কোন ট্যাক্স দিতে হতো না যত টাকা ইনকাম হোক না কেন শুধু ট্যাক্স রিটার্ন দিলেই হত। গত বছর কিছু নিউজ পেপার বাংলাদেশ ব্যাংকের যে বৈদেশিক মুদ্রানীতে উপরে, ট্যাক্স এর উপর গেজেট প্রকাশ করেছিল সেটা বাংলা বোর্ডে আলোচনা হয়েছিল তখন সবাই বলেছিল এটা ভুয়া কিন্তু এখন সেটাই বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে।