আচ্ছা আমাদের বাংলাদেশ থ্রেড এর কোনো মেম্বার কি সাইক্লোন এর কারনে প্রভাবিত হয়েছেন কোনোভাবে? আমার অবস্থা তো একেবারেই নাজুক! যদিও আমি উপকূল এলাকায় বাস করি না, কিন্তু গতকাল সকাল থেকেই বৃষ্টি এবং ঝড়ের সাথে সাথে বিদ্যুৎ চলে যায়। ঘরের আই পি এস দিয়ে কিছুটা ব্যাকাপ নিয়েছি। পাওয়ার ব্যাংক চারজ করা ছিলো না। মোবাইল চারজ করা ছিলো না। কিন্তু গত ২৬ ঘন্টায় আর বিদ্যুৎ আসেনি। কালকে বিকালে বাধ্য হয়ে বাজারে গেলাম এই ঝড়ের মধ্যেই শুধু একটু কাজের জন্য। মোবাইলে এখনো ৫০% চারজ আছে। কিন্তু আজকের দিনেও বিদ্যুৎ আসার কোনো সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আজকে অফলাইনে গেলে কবে অনলাইনে আসবো বলতে পারছি না! 🥲
আপনার মত আমিও উপকূল অঞ্চলে বসবাস করি না বরং বাংলাদেশের নিরাপদ স্থানগুলোর মধ্যে একটিতে বসবাস করি কিন্তু উপকূল অঞ্চলে বসবাস না করলে কি হবে আমাদের এখানে কুয়াশা বিদ্যুৎ চলে যায় আর ঘূর্ণিঝড় হয়েছে তাতে বিদ্যুৎ যাবে না এমনটি নয়। প্রায় দুদিনের মতো বিদ্যুৎ ছিল না এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রায় 24 ঘন্টার মত ছিল না তাহলে বলেন বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকলে আমাদের কতটুকু ঝামেলা হতে পারে। সবচেয়ে বড় ঝামেলা হচ্ছে মাছ ও মাংস ফ্রিজ থেকে পচে যাওয়া টা এবং কালকে তিন ওয়াক্তে শুধু মাছ দিয়ে ভাত খেয়েছি। ২৮০০ টাকার মাছ তিন ওয়াক্তে শেষ দিয়ে দিয়েছি মাংসের কথা বাদ দিলাম কেননা আমি মাংস প্রেমিক নয় এজন্য বেশি বেশি মাছ ফ্রিজে রেখে দেই। নদী উপকূল হাওয়ায় সাথে একটা ছোট্ট বাজার হওয়াতে পরিচিত জেলেরা বাড়িতে এসে মাছ দিয়ে যায় এক্ষেত্রে বাধা দেওয়ার কোন উপায় নেই বরং মাঝে মধ্যে বাধ্য হয়েই মাছ কিনতে হয়। বিদ্যুৎ যাওয়ার ঘন্টাখানেক আগে ফ্রিজে ২৮০০ টাকার মাছ ক্রয় করে রাখলে সেই মাছ কতটুকু ফ্রিজিং হতে পারে সেটা না বলাই বাহুল্য।
যাহোক আল্লাহ তায়ালা ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে যে অঞ্চলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তারাই কেবল জানে ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ টা কত ভয়ংকর। আমাদের মাছ-মাংস নষ্ট হওয়াতে আমরা আফসোসে মরছি। আল্লাহতালা উপকূলবাসিকে হেফাজত করুক আমিন।