অফলাইন মানে সেই ছোট্টবেলা যেখানে কোন মোবাইল ছিল না ছিলনা কোন যান্ত্রিক সভ্যতা। ছোটবেলায় কলা গাছের খোসা ছাড়িয়ে গাড়ি বানিয়ে ধুলুচরে গিয়ে প্রচুর বাতাসের মধ্যে ছেড়ে দিয়ে দৌড় মারতাম। ঠিক ওরকম কিছু করিনি কিন্তু ছোট্ট একটি ফুটবল লীগের আয়োজন করেছি। পা গোল ফুটবল লিগে এলাকার ফ্রী ফায়ার খেলা পোলাপানদের নিয়ে পাঁচটি গ্রুপে ভাগ হয়ে পাঁচ টিম অংশগ্রহণ করেছে। দারুন কাটছে সময় কিন্তু যতই কাটুক ইন্টারনেট ছাড়া প্রতি মুহূর্তই যেন জেলখানার মত। যদিও এখন পর্যন্ত জেলখানার অভিজ্ঞতা অর্জন হয়নি তবুও রূপক অর্থে ব্যবহার করলাম। আপনার মত আমিও ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনার পাশাপাশি মোবাইলে এসিপি প্রদ্যুমানের সিআইডি দেখে দিন পার করেছি। আমার বউ সিআইডির ব্যাপক ভক্ত তাই অনেক আগেই সিআইডি ফোনে নামিয়ে রেখেছিল যা আমার এই মুহূর্তে ব্যাপক কাজে লেগেছে। পরিশেষে নদী অববাহিকায় বাড়ি হওয়ায় বন্যা মৌসুমে নদীতে মাছ ধরে পার করেছি। সর্বপুরী বলতে গেলে অফলাইনে জীবনটা সত্যি মজাদার ছিল কিন্তু প্রতিমুহূর্তে বিটকয়েন ফোরামের কথা মনে ছিল। অফলাইনে থাকা আমাদের বাংলাদেশী ভাইয়েরা সবাই গত সপ্তাহের পেমেন্ট মিস করেছে। দেখলাম Shasan ভাই, Bitcoin_people ভাই, HelliumZ ভাই, Z_MBFM ভাই , Crypto Library ভাই আরো কিছু ভাইয়েরা দেখলাম প্রেমের মিস করেছে এবং অলরেডি একটি তারকা চিহ্ন পেয়েছে। এগুলা সবই আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশের নেট ব্যবস্থার ফল।
আমার কথা যদি বলি তাহলে কালকে সকালে আমার ওয়াইফ আমাকে বলতেসে যে তোমাকে মনে হয় এই তিন বছরে আমি এই প্রথম এতো ফ্রী থাকতে দেখলাম।
মজার বিষয় হচ্ছে গিয়ে আমিতো অফলাইন এ ফ্রী টাইম পার করতেসি কিন্তু আমার ক্লায়েন্টরা তো আর সেটা বুঝতেসে না একটা সিগনেচার ক্যাম্পেইন লাঞ্চ করার প্ল্যান ছিল সেটা maybe হাত থেকে চলে যাইতেসে। টেলিগ্রামে মেসেজ আসতেসে কিন্তু আপলোড বা মেসেজ সেন্ড হচ্ছে না। এরকম বিপদে মনে হয় কোনো দিন পরি নাই।
আর দেশের অবস্থা না জানতে পারার কারণে অনেক্টটা দম বন্ধ লাগতেসে কি হলো এই স্বৈরাচার সরকার আর কত মানুষের জীবন নিলো।