Post
Topic
Board Other languages/locations
Re: বাংলা (Bengali)
by
Crypto Library
on 07/08/2024, 18:50:01 UTC
হাসিনা স্বৈরাচার চোর বাটপার খুনি সবকিছুই করেছে এবং এটা তার প্রাপ্য ছিল যার কারণে সে পালিয়ে গিয়েছে নিজের জন্মভূমি থেকে। তবে আমরা যদিও বাঙালি জাতিরা অনেক আনন্দ উপভোগ করছি এই দৃশ্যগুলো দেখে তাছাড়া প্রত্যেকেই শেখ হাসিনার এই পদতাকে অনেক খুশি হইছে এবং সারা বাংলাদেশের সব জায়গা থেকে মিষ্টির দোকানে মিষ্টি শেষ হয়ে গিয়েছে।
তবে আমি বলতে চাই এখানে অনেক অশিক্ষিত মূর্খরা রয়েছে যারা শেখ মুজিবরের ছবিগুলোতে এবং যারা স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ হয়েছিল তাদের যে ভাস্কার্য গুলো ছিল সেগুলো যেভাবে ভেঙে ফেলেছে এটা মোটেও ঠিক করেনি। আমরা জানি শেখ মুজিবর এর অনেক অবদান রয়েছে এই বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পিছনে এবং তিনি বাঙালি জাতিকে স্বাধীন একটি দেশ এনে দিতে পেরেছিল। যদিও বেশিরভাগ লোকেরাই শেখ মুজিবর কে অনেক শ্রদ্ধা করে কিন্তু শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর তার বাবার সাথে যে ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে লোকেরা এটা মোটেও ঠিক হয়নি যদিও এটি সবচেয়ে ভুল কাজ ছিল। তবে এখানে শেখ মুজিবরের কোন দোষ ছিল না বরং তার মেয়ের দোষের কারণে বাবার এত বড় রিপোর্টেশন নষ্ট হয়ে গেল বাঙালি জাতির কাছে। যেহেতু বর্তমানে শেখ মুজিবরের সকল কিছু বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করেছে এবং সব জায়গায়ই প্রায় তার ভাস্কার্য গুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে সেক্ষেত্রে পরবর্তী প্রজন্ম, শেখ মুজিবর এর ইতিহাস গুলো হয়তো ভুলে যাবে। তাই আমি মনে করি এই কাজটি করা মোটেও ঠিক হয়নি মেয়ের ভুলের কারণে বাবার উপর মানুষ রাগ খাটিয়েছে।
আসলে আমি মনে করি এখানে ওদেরকে দোষ বা মূর্খ বলে লাভ নেই, এখন বর্তমানে যে সব কর্মকাণ্ড দেখতেছেন বিশেষ করে শেখ মুজিবর রহমান এর প্রতিকৃতি ভাঙাচোরা বা পোস্টার লিফলেট নামিয়ে ফেলা এগুলো সব কিছুই শেখ হাসিনার স্বৈরাচার ১৫ বছর শাসন করার ফল বের হচ্ছে।
কারণ হাসিনা একটা জিনিস নেই যেখানে শেখ মুজিবরের নামকরণ করা বাদ দিয়েছে, ভালো ভালো মুভি নামকরণে যে সব স্থাপনে ছিল সেখানে তারা নিজেদের পরিবারের মানুষজনের নামকরণ করেছে।
শেখ মুজিবর একজন ভালো নেতা ছিলেন, হয়তো তার ৭ই মার্চের ভাষণ টি না দিলে বাংলার মানুষ তাদের সবটা বিলিয়ে দিয়ে যুদ্ধ করত না। তবে আমি এটাও মানি স্বাধীনতার পরে সে যে বাকশাল এক নায়কত্রন্ত স্বৈরাচার  শাসন ব্যবস্থা চালু করেছিল এর জন্যই তার করুন পরিণত হয়েছিল। ক্ষমতালোভি কেউই ভালো না সেটা হোক বিএনপি আওয়ামীলীগ জামাত বা অন্য কেউ।

এটাও আরেকটা গুজব। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ কয়েকবার কয়েকটা তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে যেগুলোর কোনো সত্যতা নেই। সবাই কোনো প্রকার সোর্স ছাড়া এসব গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে। যে সমন্বয়করা ১০ থেকে ১৫ জনের নাম প্রস্তাব করেছেন, সেটা এখনো প্রকাশ করা হয়নি। এর কারন হলো, সেনাবাহিনী প্রধান সহ অন্যান্য সকলের মতামতের একটি ব্যাপার রয়েছে। আগামী ২৪ ঘন্টা পার হলে সঠিক তালিকা দেখা যাবে। প্রথম আলো অন্তত এরকমটাই বলছে।
আমার কাছে এই ধরনের আরেকটা লিস্ট আছে যেখানে কিছু কিছু স্বনামধন্য ইউটিউবারদের মন্ত্রী পদে রাখা হয়েছে যদিও লিস্টটি ভুয়া তারপরও আমি ওই ধরনের লিস্ট অনুযায়ী যদি অন্তর্বর্তী কালীন সরকার গঠন এবং পরবর্তীতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটের মাধ্যমে তাদেরকে নির্বাচিত করা যায় তাহলে খুশি হতাম।