এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কম করে হলেও তিন বছর সময় পাবে আর তার চেয়েও বেশি পেতে পারে আমার ধারণা সো যেহেতু তারা একটা দীর্ঘ সময় পাবে তাই আপনারাও দেখতে পাবেন তরুণদের নিয়ে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে আরেকটি রাজনৈতিক সংগঠন বা দল তৈরি হবে এবং ভবিষ্যতে যখন একটা ফেয়ার ইলেকশন করা হবে তখন তাদের থেকে একটা বড় অংশ সংসদ সদস্য পথ পাবে আমি আশা করতেছি। বিএনপিকে একবারে বাদ দেওয়া যাবে না কারণ আপনি হয়তো একজন সচেতন নাগরিক কিন্তু যুবক হিসেবে এ দেশে এমন অনেক বয়স্ক মানুষ আছে গ্রামগঞ্জে তারা বিএনপিকে ভোট দিবে।
আমি মনে করি দেশ গঠনের জন্য যদি তাদের ৫ বছর লাগে, তারা সেটাই করুক। তবে আমার আশংকা যে বিএনপি এটা হতে দেবে না। বিএনপি অলরেডি যেরকম ছ্যাঁচড়ামো শুরু করছে, মনে হচ্ছে সব ক্রেডিট আসলে ওনাদের নিজেদের। আজকেও এক যায়গায় যাবো বলে বের হলাম, পুরো একটা চৌরাস্তা ব্লক করে ওনারা গান ছেড়ে গাড়িতে নাচানাচি করছেন আর চারদিকের গাড়ি গুলো চুপচাপ বসে আছে। কেউ কিচ্ছু বলছে না কারণ, এখানে কথা বললেই গাড়ি ভাংচুর করবে। আমি মনে করি, সঠিক একটা সিস্টেম করে দিয়ে যাক এই সরকার, যেনো পরে অন্যান্য দল গুলো ক্ষমতায় আসলেও তারা যেনো চাইলেই স্বৈরাচার না হতে পারে। এর মধ্যে পুলিশের কিছু দাবি আছে, যেগুলোর আসলে যুক্তি আছে। পুলিশ চাচ্ছে যে তারা আর কোনো রাজনৈতিক দলের জন্য কাজ করবে না, তারা চাচ্ছে আলাদা কমিশনের আন্ডারে কাজ করতে। প্রতিটা দল আসলে পুলিশকে নিজের কাজে ব্যাবহার করে। দেশের সংবিধান সংশোধন করা জরুরী। তবে কষ্টের ব্যাপার হলো যে সরকার ক্ষমতায় যাবে, তারাই তো সংবিধান সংশোধন করে নিজেদের মতো করে নেয়। যেমন হাসিনা সরকার সংবিধান সংশোধন করে নিরপেক্ষ নির্বাচন এর সিস্টেম ই বদলে দিয়েছে।