বহুকাল আগে থেকেই একটা ধারণা সবার মধ্যে রয়েছে যে চোরের দশ দিন গৃহস্থের একদিন কিন্তু বিষয়টা সম্পূর্ণ উল্টো দিকে মাথা দিয়েছে। কয়েকদিন আগে বাইবিট এক্সচেঞ্জ হ্যাকিং হওয়ার ঘটনা সবার জানা থাকার কথা। সেখানে ইথেরিয়ামের প্ল্যাটফর্ম থেকে হ্যাকিং করা হয়েছে এবং পরে একটি তথ্য প্রকাশিত হয়েছে যেখানে ইথেরিয়ামের মালিক বিটালিক বুটেরিনের ইথিরিয়াম সংখ্যা আনুমানিক খুব সম্ভবত কাছাকাছি 2 লক্ষ 30 হাজারের উপরে। কিন্তু হ্যাকিং যে করেছে তার ওয়ালেটে ইথিরিয়ামের সংখ্যা চার লক্ষ বিশ হাজারের কাছাকাছি।
তাহলে কি বুঝতে পারলাম চোরের ওয়ালেটে মালিকের চেয়ে টাকা বেশি। এই চোর কোন এক সময় ইথেরিয়াম এর মালিক দাবি করতে পারে।
যদিও বিষয়টি আপনি মজা করে বলেছেন, তাও বলছি...
ব্লকচেইনের দুনিয়ায় বেশি টোকেন থাকলেই কেউ সেই চেইন এর মালিক হয়ে যায় না। বেশিসংখ্যক নোড যে নিয়মাবলীকে কার্যকর করবে, ব্লকচেইনে সেটাই আইন। আবার বেশিসংখ্যক নোডের সৎ থাকার জন্যে বেশি টোকেন অধিকারীর সমর্থন প্রয়োজন। এই পারস্পরিক নির্ভরতার ভিত্তিতেই এগিয়ে চলে ব্লকচেইন।