আমি এই জন্য বাসায় আলাদা রুম নিয়ে নিয়েছিলাম জাস্ট কাজের জন্য তারপরেও আপনার বুদ্ধিটা আমার কাছে ভালো লাগলো। আর তাছাড়া আমি যেটা মনে করি আমরা ভার্চুয়াল জগত থেকে যত টাকায় কামাই করি না কেন সেটা যদি কোন বিজনেস এর ক্ষেত্রে আই মিন ফিজিক্যাল বিজনেস বা ভার্চুয়াল বিজনেস এর ক্ষেত্রে না ইনভেস্টমেন্ট করি তাহলে আমাদের হাতে যত টাকায় থাকুক দিনশেষে দেখা যাবে যে সেভিংস জিরো।
ঘুরে ফিরে কথা একই। বাসায় আলাদা রুম থাকা মানেই সেটা আপনার আলাদা অফিস হতে পারে না। সেখানে পরিবারের সবাই একসেস করতে পারবে যে কোনো সময়। সবচাইতে বড় সমস্যা হলো ধরেন আপনি একটা কাজ খুব মনোযোগ দিয়ে করছেন, হুট করেই বললো এখনি বাজার থেকে তেল আনতে হবে। আপনার বাসা যদি গ্রামে হয়, যায়গা ভেদাভেদে বাজার হাফ কিলো থেকে ২ কিলো দূরে হয়ে থাকে। অনেকের বাসার কাছেও টুকিটাকি সদাই কেনার জন্য দোকান থাকে। কিন্তু মেইন কথা হলো আপনার কাজের মনোযোগ ছুটে গেলো। দোকানে কি আমার এটা হচ্ছে না? হ্যা, হচ্ছে, তবুও বাসায় থাকার চেয়ে অন্তত ভালো। মাঝে মাঝে মনে হয়, যেই এলাকায় আমি থাকি না, সেই এলাকার মানুষ করে কি? প্রায়ই ঘুম থেকে উঠেই শুনি অমুক টাকা দিয়ে গেছে এটা কিনে আনার জন্য, তমুকের ওটা আনার জন্য। মাঝে মাঝে মনে হয় এলাকা ছেড়ে দেই। এমনিতেই এলাকায় মানুষের মোবাইল, ল্যাপটপ, টিভি থেকে শুরু করে বিদেশীর বউদের ইমু খুলে দেয়ার জন্য অব্দি সকাল সকাল ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। মাঝে মাঝে খুব বিরক্ত লাগে।
যে পারে মানুষজন তো তার কাছেই যায়। আমি পারিনা আমার কাছে মানুষজন আসে না তার কাছে মানুষ গেলে কিছুটা সুবিধা পাবে মানুষ তার কাছেই যায়। এটাকে আপনি আল্লাহর এক প্রকার নেয়ামত বলতে পারেন । যদিও সাময়িকভাবে বিরক্তিকর লাগতে পারে তবুও আপনি পরবর্তীতে পাবেন মানুষের উপকার করতে গেলে কিছুটা বিরক্ত হতে হবে। তবে একটা কথা বলি আল্লাহ বান্দাকে তার কাছেই পাঠায় আল্লাহ বান্দার জন্য অবশ্যই তার কাছে কল্যাণকর কিছু রেখেছে।