বাংলাদেশে কী শুরু হলো? পত্রিকার ঢুকলে শুধু ধর্ষন আর ধর্ষন, বাংগালীরা কী আসলে ভালো হবে না? আজকে একটা নিউজ দেখে খুবই হতাশ হলাম, ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষন করে হত্যার চেষ্টা করেছিলো, হত্যা করতে পারে নাই, কিন্তু গত ১৩ই মার্চ আছিয়া নামের মেয়েটি পরপারে চলে যায়। ভাই বিষয়টি ভেবে দেখেছেন? ৮ বছরের মেয়ের মধ্যে কি ছিলো? তারা কী দেখে আকর্ষিত হয়েছিলো। আল্লাহ সবাইকে হেদায়েত দান করুন।
বিগত বছর গুলোতে ধর্ষণের রেকর্ড গুলো যদি দেখেন, ৮০ শতাংশ ধর্ষণ এর ভুক্তভোগী হচ্ছে ১৮ বছরের নিচের মেয়ে। মানুষের পেট থেকে জন্ম নিলেই কিন্তু মানুষ হওয়া যায় না। যারা এই ধরনের ধর্ষক, প্রতিটা কেস ই দেখবেন গোমূর্খ লোকজন যেগুলো দেখতেই অমানুষের মতো লাগে, এরা ধর্ষণ করেছে। একটা বাচ্চা মেয়ে ইভেন তার বাবার হাতে ধর্ষিত হয়েছে, এই কেস আপনি কিভাবে দেখবেন? এই জানোয়ার জন্ম নিলো কিভাবে এই দেশে? এসব ঘটনা কি বাইরের দেশ গুলোতে হয়? আমার জানা নেই। তবে আমাদের দেশ এবং আমাদের পাশের দেশ ভারতে এসব ঘটনা প্রায় রেগুলারই ঘটে থাকে। এর থেকে প্রতিকার হলো ঘাড় থেকে মাথা নামিয়ে দেয়া। এ ছাড়া আর উপায় দেখছি না আপাতত।
ধর্ষনের মতো জঘন্যতম অপরাধ এই পৃথিবীতে আর নাই। বাংলাদেশের ধর্ষন আইন অনুযায়ী অপরাধ প্রমাণিত হলে, অপরাধীর ১০ বছর থেকে শুরু করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান আছে। তবে এর কতটুকুই বা কার্যকর হয় তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। চারেদিকে যদি দেখেন হাজার হাজার লাখ লাখ কেস এখনও পেন্ডিং পড়ে আছে। আর যতোদিনে সব প্রমাণিত হবে ততদিন ভুক্তভোগী থাকবেও কিনা কে জানে। সরকারের উচিত, এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া আর অবিলম্বে আইন পরিবর্তন করা। কারন বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার যে অবস্থা তাতে সময়মতো বিচার পাওয়া এ জীবনেও সম্ভব না। ঠিক এই কারনে এরা পার পেয়ে যায়, ধর্ষনের মতো নিকৃষ্টতম কাজ করার সাহস পায়। এসব ধর্ষকদের জনসম্মুখে ক্রস ফায়ার করে মারা উচিত, যেন জানোয়ারগুলো নিজেদের পরিণতি দেখতে পারো। নয়তো পাথর নিক্ষেপ করা মারা উচিত যেমনটা ইসলামী রাষ্ট্রে হয়। যেমন কষ্ট দিয়েছে তেমন কষ্ট পেয়ে পেয়ে যেনো মরে।