তো ভাইয়েরা কি অবস্থা সবার। ঈদ কেমন কাটলো? এইবার সৌদি আরবে চাঁদ দেখা নিয়ে তো ২০১৯ সালের মতো আবার বিতর্ক সৃষ্টি হইছে। ২০১৯ সালে তারা একদিন আগেই ঈদের ঘোষনা দিয়ে দিছিলো যার কারণে বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষের ১ টা রোজা ভঙ্গ হইছিলো। বেশকিছু সোর্সমতে তারা কাফফারা হিসাবে ১.৬ বিলিয়ন রিয়াল প্রদান করে। এবারও চাঁদ দেখা আর ঈদ ঘোষনা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হইছে। কি মনে হয় এবারও কি সৌদি আরব ১ দিন আগেই ঈদের ঘোষনা দিয়ে দিছে?
আমরা বাংলাদেশীরা সাধারণত সৌদি আরবে যেদিন চাঁদ দেখে তার পরের দিন থেকে আমরা রোজা রাখি ও ঈদ করি। আমরা মূলত সৌদি আরবের উপর নির্ভরশীল হয়েই রোজা রাখা ও ঈদ করা পালন করে থাকি এক্ষেত্রে যদি সৌদি আরবে একদিন আগে ঈদের ঘোষণা দিয়ে থাকে তাহলে তো আমরা ওই একদিন আগেই ঈদ করে ফেলেছি। আমার এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয় মালয়েশিয়া থাকে তারা বাংলাদেশের সাথেই ঈদ করেছে। যদিও মালয়েশিয়া সৌদি আরবের সাথে ঈদ পালন করে কিন্তু এবার মালয়েশিয়া বাংলাদেশ একই সাথে ঈদ পালন করেছে। তবে চাঁদ দেখা ও রোজা পালন করা সম্পূর্ণ সৌদি আরবের উপর মুসলিম দেশগুলো নির্ভর করে। এক্ষেত্রে তারা যে ঘোষণা দেবে সেটাই অন্যান্য মুসলিম বিশ্বের পালন করতে বাধ্য। এক্ষেত্রে যদি একটা রোজা কম করে থাকে তাহলে সৌদি আরব অবশ্যই যে কোন একটি প্রস্তাবনা বিল পাস করবে। তবে আমার মনে হয় না তারা এরকম কিছু এবার করবে।
এটা একেবারে আজাইরা কথা। সৌদির সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নাই। সৌদি বাদ দেন, কোনো মুসলিম দেশের সাথেও আমাদের সম্পর্ক নাই। কোথাও লেখা নাই আজকে সৌদিতে ঈদ হলে কালকে বাংলাদেশে ঈদ করতে হবে। আপনি চাদঁ দেখে রোজা শুরু করবেন আর চাদঁ দেখে রোজা শেষ করবেন, এটাই হলো মাসালা। যাই হোক, প্রতিবছর সৌদির পরের দিনই আমাদের এখানে চাদঁ দেখা যায়, এজন্য হয়তো এটা ধরেই নেয়া হইছে, সৌদির পরের দিন, কিন্তু দিনশেষে এটা ভুল। আমরা তো তাও সঠিক দিনেই ঈদ পালন করার চেষ্টা করি, বাট এদিকে তো আবার চাঁদপুর বাসি এক স্টেপ আগালে লল। এখানে কোনো চাঁদপুরের কেউ আছেন কিনা? ডন্ট মাইন্ড বাট আপনারা বলদ।
চাঁদপুর সহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে সৌদির সাথে ঈদ পালন করা হচ্ছে, এমন একটা হেডলাইনের নিউজের কমেন্ট বক্সের কমেন্টগুলো পড়ে আমি টাসকি খেয়ে গেছিলাম ভাই। মানে একেবারে উমুক হাদিস, তুমুক হাদিস ইত্যাদি আজাইরা জাল লজিক দেখানো শুরু করে দিসে। এমন লেভেলের কনফিডেন্স যে তারা (যারা সৌদিকে ফলো করে), মনে হয় সৌদির বংশদূত। কি পরিমাপ মস্তিস্কের অবক্ষয় হইলে এখনো এসব কুসংস্কারের প্রচলন থাকে, আর এসবে বিশ্বাসী হয়!
ভাই কুসংস্কার সব জায়গাতেই আছে। আমাদের এখানে কিছু মানুষ বাধ্য হয়ে হয়তো আমাদের সাথেই ঈদ করে কিন্তু তর্কে বিতর্কে তারা যদি পারত তাহলে একদিন আগেই সৌদি আরবের সাথে ঈদ করত। আমাদের এলাকাতে কিছু মানুষ আছে তারা বলে চাঁদ তো একটাই তাই সৌদি আরবে যদি চাঁদ দেখা যায় তাহলে আমাদের এখানে চাঁদ দেখা গেছে এজন্য তারা সৌদি আরবের সাথে সাথে সবকিছু পালন করে থাকে। সৌদিতে যখন ২৯ টা রোজা হল অথচ মিশরে ৩০ রোজা পালন করল তাহলে আমাদের মুসলমানদের জন্য মতের পার্থক্য হলো । একটা রোজা তো কম করলে হবে না বরং এর জন্য আমাদের নিজেদেরকে জবাবদিহি করতে হবে আল্লাহর দরবারে। আমাদের চাঁদ দেখা কমিটি সরাসরি সৌদি আরব কে রোল মডেল হিসেবে গ্রহণ করে এক্ষেত্রে চাঁদ দেখা কমিটি এই একটি রোজা কম করার দায়ভার নেবে।