আজ বিশ্বব্যাপী কর্মবিরতি করা হয়েছে যেখানে গাজাবাসির উপর জেনোসাইড বন্ধ না হলে কর্মবিরতির অব্যাহত থাকবে। তবে খুব দুঃখের বিষয় আমরা মুসলিম বিশ্বে যে সকল দেশগুলোকে আইডল মানি সে সকল দেশগুলো এই ইজরায়েলী জেনোসাইডে চুপ থাকে। তুরস্ক, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাকিস্তান এই সমস্ত দেশ চুপ করে বসে আছে। আসলে আমাদের মুসলমানদের রক্তে বেঈমানির স্রোত বইছে। আমরা আসলে গাঁজাবাসির আর্তনাদে আমাদের অন্তর কেঁপে উঠে না। আসলে আমরা মুসলমান নামে শুধুমাত্র রয়েছি কিন্তু আমাদের শরীরে বেঈমানির রক্ত বইছে।
আমাদের প্রতিবাদ শুধুমাত্র কর্ম বিরতিতে কর্ম পরিধিতে না। আমরা এদিকে কর্ম বিরতি পালন করব শত্রুপক্ষ অপরদিকে কর্মপরিধি বাড়িয়ে বিজয়ের পথ সুগাম করবে।
আমরা কতটা প্রতিবাদ করতে পারি সেটা তো আছিয়া কান্ডের প্রেক্ষাপট থেকেই বোঝা যায়, দুই এক দিন লাফালাফি করবো তৃতীয় দিন নতুন একটি ইস্যুর জন্ম হবে চতুর্থ দিন প্রতিবাদের ভাষা ভুলে যাব।
আমরা তো সবাই কমবেশি মোবাইলে ভিডিও দেখি সেখানে ফিলিস্তিনি শিশুদের আর্তনাদ, ক্ষুধার যাতনা, মাতা পিতা হীনতা আল্লাহ কি বিভৎস চিত্র 😭
আমরা মুসলিম হিসেবে লজ্জিত, মুসলিম হিসেবে আমি সত্যিই লজ্জিত।
আমরা সেই রকম একটি জাতি , কয়েকদিন আগে আছিয়ার জন্য আমরা রাজপথে সোচ্চার ছিলাম কিন্তু দেখেন কই থেকে তরমুজ ওয়ালা এসে আছিয়া ইস্যু খেয়ে দিল। এটাই বাংলাদেশ আজ আমরা একটা বিষয় নিয়ে খুব বেশি লাফালাফি করব আর কি থেকে আর একটা তুচ্ছ ঘটনা এসে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে ধামাচাপা দিয়ে দেবে। আপনার কোন কাজই ভালোভাবে ফিনিশ করতে পারবো না। আচ্ছা তরমুজ ওয়ালার মধু মধু কিরে কিরে খুব কি গুরুত্বপূর্ণ ছিল, অথচ এই অর্থহীন কথাটুকুই আছিয়ায গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু চাপা দিয়ে দিল।