মঙ্গল শোভা যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৯ সাল থেকে, এটি প্রথম এ ছিলো আনন্দ শোভা যাত্রা নামে পরিচিত। মাত্র ৩৬ বছরের পুরোনো ইতিহাস এটি। শাহাবাগী বললে ভুল হবে না কারন, আনন্দ শোভা যাত্রা শুরু হয়েছিলো ঢাকার চারুকলার শিক্ষার্থী আর স্যার দের হাত দিয়েই। সেই সময়ে এই যাত্রা শুরু হয়েছিলো আমাদের দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে দেশের সকল মানুষকে একটু রেহাই দিতে। যাতে সবাই আতংকে না থেকে একটু স্বস্তিতে থাকতে পারে।
এই ৩৬ বছরের ইতিহাস কে একটা দেশের ঐতিহ্য বলা হচ্ছে। আমাদের দেশের বয়স মাত্র ৫৪ বছর। কিন্তু ৫৪ বছরের আগেও কিন্তু এই দেশে বিভিন্ন ঐতিহ্য ছিলো। সেগুলোই আমাদের দেশের আসল ঐতিহ্য। এই যে আনন্দ শোভা যাত্রায় শিয়াল কুত্তার প্রতিকৃতি বানানো হয়, এই কালচারের শুরু হলো কিভাবে? এই প্রতিকৃতি তো আসলে কোনো ধর্মের মানুষের সাথেই যায় না। হিন্দু ধর্মের লোকেরাও এসব প্রতিকৃতি বানায় না। তারা যাদের উপাসনা করে, সেই প্রতিকৃতি ভিন্ন।
নতুন বছর হিসেবে যে মেলা হয়, তাতে আমি তেমন খারাপ কিছু দেখি না। সবাই মেলায় যায়, হরেক রকম বাচ্চাদের খেলনা সামগ্রী, হরেক রকম মুখরোচক খাবার, এতেই আসলে আনন্দ পাওয়া যায়। আমাদের গ্রামে এখনো সেই মেলা হয়। সেই মংগল শোভাযাত্রার থেকে আমার গ্রামের মেলা অনেক বেশি উপভোগ্য।