আমারও ঠিক একই অবস্থা হয়েছে আজকে সারা রাত জাগনা ছিলাম সকাল দশটায় ঘুমাইছি একটার আশেপাশে এই যুদ্ধবিমানের উড়ে যাওয়ার ফাউন্ডে ঘুম ভেঙ্গে গিয়েছে। তার একটু পরেই দেখি ফেসবুকে এই অবস্থা। আশঙ্কা করা হচ্ছে অনেক হতাহত হয়েছে এবং হয়তোবা সামনে আরো নিহতের সংখ্যা শোনা যাবে।
কিন্তু সমস্যা হইলো উৎসুক বাঙালির ভিড়ের জন্য উদ্ধার কাজ ঠিকমতো করতে পারছে না।
পাইলটের একদম বীভৎস অবস্থা হয়েছে।
এগুলো দেখে মেনে নেয়া অনেক কষ্টকর একটা ব্যাপার। চোখের সামনে এরকম ছোট ছোট বাচ্চা গুলো। একটা স্কুল শিক্ষার্থীর যে বর্ণনা শুনেছি, ও যেভাবে বলছে যে কারো মাথা নাই, কারো হাফ বডি নাই। কারো মাথার মগজ নাই। কারো হাত পা আলাদা হয়ে গেছে, এগুলো শুনে আসলে কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। ছোট ছোট বাচ্চা গুলো কিছুই বুঝে না। প্লে থেকে ৮ম শ্রেনী অব্দি সম্ভবত সেই বিল্ডিং এ ক্লাস করে। এই ছোট ছোট বাচ্চা গুলো কিভাবে এই ধকল সামলাবে? আমার নিজের বাচ্চাকে এরকম সিচ্যুয়েশনে কখনোই কল্পনা করতে পারি না। ছোট ছোট মাসুম বাচ্চা গুলোর হাত পা আলাদা হয়ে যাওয়ার খবর শুনেই কষ্ট হচ্ছে। নিজের চোখে দেখার সাহস নেই আমার। বাচ্চা গুলোর জন্য অনেক কষ্ট হচ্ছে। যদিও আমার এক ফ্রেন্ড সেখানে যেতে বলেছিলো, ভেবে দেখলাম সেই এলাকা এমনিতেই মানুষ দিয়ে ভরে গেছে। আমি গেলে সেখানে কোনো হেল্প হবে না। উদ্ধার কাজ চলছে। তবে হয়তো হাসপাতালে রক্ত দিতে পারতাম।