অন্য ফোরামের একটা ঘটনা শেয়ার করি।
আমি সম্ভবত গতকাল একটা পোষ্ট লিখেছিলাম আর সেটা ছিলো এরকম
এই দেশ টা একটা অসভ্য দেশ। এই দেশ কখনো শতভাগ ভালো হবে না। আমাদের দেশে সরকার পাল্টায়, কিন্তু চাদাবাজি, খুন, এগুলো কমে না। কারণ সবাই অপেক্ষায় থাকে কে কাকে লুটেপুটে খাবে। একদল খেয়ে গেছে এতোদিন, এখন আরেকদল খাচ্ছে। প্রতিবার একদল আরেকদলের চাইতে ভয়ংকর ভাবে ফিরে আসে। বিএনপি মানুষের চোখের সামনেই ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য কুত্তা পাগল হয়ে লেগে আছে।
ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই যেভাবে সারা দেশে লুটপাট করে বেড়াচ্ছে, আওয়ামীলীগের চামচা গুলো এই স্কেলে চাদাবাজি করতে পারে নাই। আওয়ামীলীগ ও চাদাবাজি করেছে, কিন্তু সেগুলো এভাবে ওপেন ছিলো না। কিন্তু এখন ওপেনে চাদাবাজি আর খুন হচ্ছে। দেশের পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। আফসোস, এইদেশের মানুষ আবারো বিএনপির হাতে দেশ টা তুলে দিবে।আমার সেই পোষ্ট কোট করে আমার এক বাংলাদেশি ভাই লিখেছেনঃ
জামাতি বয়ান ঝাড়লেন মনে হলো। ভাই বিএনপি চাঁদাবাজি করছে আপনাকে কে বললো। গত ১৭ বছর বিএনপির নেতা কর্মিদের নিকট থেকে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মিরা ধার, কর্জ, এমনকি জোর করে টাকা পয়সা নিয়েছিলো এখন সময় এসেছে সে গুলো ফিরিয়ে নেওয়ার। এবং সেগুলো ফিরিয়ে নিতে গেলেই বট বাহিনীর চাঁদাবাজি বলে প্রচার করে বেড়াচ্ছে। তবে কিছু কিছু এলাকায় ২/১ টা ঘটমা ঘটছে না এটা আমি বলবো না। একটা বড়ো দলে কিছু খারাপ লোক থাকবে এটা স্বাভাবিক। তবে অভিযোগ পেলে সাথে সাথে বহিষ্কার করে দিচ্ছে। আর অন্য দলও যে চাঁদাবাজি করছেনা এটা বলা মুশকিল।
আমি আসলে বুঝতে পেরেছি যে ভাইটি বিএনপিএর একজন নেতা, অথবা একজন দল কানা। কিন্তু এটা ভেবে অবাক হলাম যে এরা দলের জন্য রাস্তায় লেংটা হয়ে নাচতে পারবে। ইনি আমাকে বলছেন আমি জামাতি বয়ান দিছি

। আমার বাপের জন্মে আমি কোনোদিন রাজনীতি করি নাই। আর আমি রাজনীতি কুত্তার চাইতে বেশি ঘৃণা করি। বিএনপির লেটেস্ট ট্রেন্ড হইলো, যারা আওয়ামীলীগ এর পক্ষে বলে, তারা হচ্ছে স্বৈরাচার, আর যারা বিএনপির বিপক্ষে বলে, তারা জামাতি

লল।
এই ধরনের লোকেদের চোখে নিজেদের দলের কোনো অপরাধ কে অপরাধ বলে মনে হয় না। যদিও আমি কোনো দল করি না। তবে আমি মনে করি, বাংলাদেশের রাজনীতি এরকম ঘৃণ্য হওয়ার কারণ হচ্ছে এই ধরনের পা চাটা লোক। বাংলাদেশের মানুষ যেদিন থেকে নিজের সমর্থিত দল কে ক্রিটিসাইজ করতে পারবে, সেদিন থেকে বুঝবেন সঠিক রাজনীতি হচ্ছে।
চিন্তা করা যায়? এই লোক বলছে "গত ১৭ বছর বিএনপির নেতা কর্মিদের নিকট থেকে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মিরা ধার, কর্জ, এমনকি জোর করে টাকা পয়সা নিয়েছিলো এখন সময় এসেছে সে গুলো ফিরিয়ে নেওয়ার। এবং সেগুলো ফিরিয়ে নিতে গেলেই বট বাহিনীর চাঁদাবাজি বলে প্রচার করে বেড়াচ্ছে", এর মানে কি আসলে? ওনারা আসলে কি ফিরিয়ে নিতে হামলা করে? ধার কর্জ বা জোর করে টাকা নিলে সেটা ফিরিয়ে নিতে হামলা করা লাগে? পিটিয়ে মেরে ফেলতে হয়? এখন তো আপনারা ক্ষমতায় না থেকো ক্ষমতায়, আপনারা তাদের সামনে গিয়ে দাড়ালেই তো বাপ বাপ বলে টাকা ফিরিয়ে দিবে। কিন্তু আসল কথা হচ্ছে এসব ফিরিয়ে নেয়ার কাহিনী হচ্ছে নাটক। আপনারা চাচ্ছেন যে যেটা আপনাদের থেকে নিয়েছে, সেটার ২০ গুন এখন ফেরত নিবেন, আর না পেলেই খুন করবেন।
এসব নগ্ন মানুষ অনলাইনে দেখলে আমার লজ্জা লাগে।