সমস্যা হচ্ছে আমরা যারা ফ্রিল্যাঞ্চিং করে দুটা টাকা কামাবো সেটাকে দেশে আনার বৈধ কোন পন্থা নেই। সরকার যদি রেজিস্টার্ড করে কিছু ফি নিয়ে আমাদের টাকা দেশে বৈধ পথে আনার ব্যবস্থা করে দিত তাহলে আমরাও শান্তিতে কাজ করতে পারতাম।
ক্রিপ্টোকারেন্সি লিগ্যাল হলে সরকারের ট্যাক্স পাওয়া অনেকাংশে বন্ধ হয়ে যাবে। যেমন এখন ফ্রিল্যান্সার কিংবা যারা বিদেশে কাজ করতেছে তাদের রেমিট্যান্স থেকে যা আয় হচ্ছে তার অনেকাংশ কমে যাবে। কারন কেউ তখন আর নরমাল পথ অবলম্বন করবে না।সবাই ক্রিপ্টো ব্যবহার করবে। সরকার যেদিন ক্রিপ্টো থেকে ট্যাক্স পাবে সেদিনই কেবল ক্রিপ্টো লিগ্যাল হবে।
এই ক্ষেত্রে সরকার চাইলে একটা সলুশ্যান করতে পারে। একটা ব্লচকচেইন আমি দেখেছি (নাম মনে করতে পারছি না)। ওয়ান ইন অল টাইপ মানে এক ডোমেইন এড্রেস দিয়ে সব কয়েন রিসিভ করতে পারবে এই টাইপ কিছু। বাংলাদেশ ব্যাংক যদি তাদের নিজস্ব একি ধরনের ব্লচকচেইন লঞ্চ করে তাহলে মনে হয় রেগুলেশন কিছুটা সম্ভব। শুধুমাত্র ওই ব্লচচেইনের ব্যবহারকারীরাই ক্রিপ্টো ব্যবহার করতে পারবে।
সরকার এইগুলো নিয়ে কেমন কাজ করছে কি না সেটার কোন আপডেট কি কারো কাছে আছে?
হ্যা বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এমন একটা ব্লকচেইন প্রযুক্তি লঞ্চ করে যেখানে সব ফ্রিল্যাঞ্চারা রেজিস্টার্ড করে সব ধরণের ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন করতে পারবে এবং সেখান থেকে তারা ফির মাধ্যমে রেভিনিউ পাবে, আবার রেজিস্টার্ড ফ্রিল্যাঞ্চাররা চাইলে তাদের কারেন্সি একচেঞ্জ করে দেশে বৈধ পন্থায় ব্যাংকে অথবা বিকাশে বা অন্যকোন মাধ্যমে আনতে পারবে তাহলে সেটা হবে যুগান্তকারী পদক্ষেপ। তবে সেটা নিয়ে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকে গবেষণা করে একটা পথ বের করতে হবে। সরকার আপাতত কাজ করছে কিভাবে ক্রিপ্টো কারেন্সি লেনদেন ঠেকানো যায় সেটা নিয়ে, বৈধ পন্থা আবিষ্কার করা জরুরী বলে আমি মনে করি।