যাইহোক ক্রিপ্টোকারেন্সি বলতে মেইনলি বিটকয়েন অথবা ইথার (ইথিরিয়াম) কে বোঝায়। কারণ অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলো স্টেবল না। (Although Facebooks Libra Could be a Real Game Changer)
বিটকয়েন ও ইথিরিয়ামও কিন্তু কোনো স্টেবল না, কারণ এসবের মূল্যে ওঠানামা চলেই। আর আপনার পোষ্টগুলো ভালো হচ্ছে, তবে একটি কথা বলব যদি আপনি অন্যান্যদের পোষ্ট পড়ার পর নিজে থেকে লেখেন ভালো । কিন্তু সবসময় অন্যদের পোষ্ট পড়ার পর নিজে থেকে কিছু বিচার-বিশ্লেষণ করবেন। কারণ হিসেবে বলব যে, আপনি লেখেছেন ফেসবুকের লিব্রা সত্যিকারের গেম চেঞ্জার হতে পারে। আমার ধারণা বাংলাদেশিদের ৯৯% ক্রিপ্টোব্যবহারকারী হয়তো এটা এখনো জানে না যে, ফেসবুকের এই লিব্রা প্রজেক্টটি আসলে পরিপূর্ণ ডিসেন্ট্রালাইজ/বহুকেন্দ্রিক কি না। যারা জানেন ভালো না জানলে এটা ভলো করে জেনে রাখুন যে, ফেসবুক লিব্রার সর্বশেষ তথ্য/নথি অনুযায়ী ওটা ক্রিপ্টোকারেন্সি বটে কিন্তু বিটকয়েনের কিংবা অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সির মতো পরিপূর্ণ ডিসেন্ট্রালাইজ/বহুকেন্দ্রিক নয়। এটার প্রমাণ হিসেবে এটাই বলব, আপনারা ফেসবুক লিব্রার ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখুন যে, তাদের ক্রিপ্টোকারেন্সির নোডগুলো সাধারণ ব্যবহারকারী কি চালাতে পারবে কি না। তাদের ওয়াইপেপার অনুযায়ী শুধুমাত্র তাদের যেসব পার্টনার থাকবে, তারাই শুধূমাত্র নোড রান/চালাতে পারবে, যেটি লিব্রাকে প্রাইভেট ব্লকচেইনে রপান্তর করে। আর বিটকয়েনের নোড যেকোনো ব্যক্তি চাইলে চালু করতে পারবে. যেটি বিটকয়েনকে মুক্ত/ডিসেন্ট্রালাইজ/বহুকেন্দ্রিক ব্লকচেইনে রপান্তুর করে । তাই সকলের কাছে অনুরোধ থাকবে, সঠিক বিষয়টি জানুন ।
মুলত সব ক্রিপ্টোর দাম অনুমান মুলক। তেল বা মুল্যবানধাতুর মত নয়। হয়ত বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রনের উপায় বের করার চেস্টা করা হচ্ছে, কিন্তু দিন শেষে মুল্য সেই অনুমান নির্ভর। আপনি যদি গতানুগতিক নিয়মে আপনার কয়েন / টোকেন সেন্ট্রালাইজড এক্সচেঞ্জ দিয়ে কেনা বেচা করেন তাও আপনি প্রকৃত ক্রিপ্টর ব্যতিক্রম করছেন। আমরা প্রবাদ পড়তাম, গ্রন্থগত বিদ্যা আর পর হস্তে ধন, নহে বিদ্যা নহে ধন, হলে প্রয়োজন