Post
Topic
Board Other languages/locations
Re: বাংলাদেশ (Bangladesh)
by
rgfhynm
on 01/01/2021, 23:21:44 UTC
বিটকয়েন কী? বিটকয়েন হ'ল একটি ডিজিটাল মুদ্রা যা ২০০৯ সালে তৈরি হয়েছিল brick এটি অনলাইন এবং ইট-ও-মর্টার ক্রয়ের জন্য ব্যবহৃত প্রক্রিয়াজাত ডেটা ব্লক দিয়ে তৈরি একটি ডিজিটাল ক্রিপ্টোকারেন্সি। বিটকয়েন traditionalতিহ্যবাহী অনলাইন পেমেন্ট পদ্ধতির তুলনায় কম লেনদেনের ফি প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেয় এবং সরকারী জারি করা মুদ্রার বিপরীতে বিকেন্দ্রীভূত কর্তৃপক্ষ দ্বারা পরিচালিত হয়। যেহেতু বিটকয়েনগুলি সীমাবদ্ধ এবং তাদের মান বাজার বাহিনী দ্বারা নির্ধারিত হয়, বিটকয়েনগুলিও বিভিন্ন এক্সচেঞ্জের স্টকের মতো লেনদেন হয়। বিটকয়েনগুলি কোনও ব্যাংক বা সরকার কর্তৃক জারি বা সমর্থিত হয় না, বা পণ্য হিসাবে স্বতন্ত্র বিটকয়েনগুলি মূল্যবান হয় না। কোনও শারীরিক বিটকয়েন নেই, মেঘে পাবলিক লেজারে কেবলমাত্র ভারসাম্য রইল, যা - সমস্ত বিটকয়েন লেনদেনের সাথে - বিপুল পরিমাণ কম্পিউটিং পাওয়ার দ্বারা যাচাই করা হয়।

কে বিটকয়েন আবিষ্কার করেছেন? সাতোশি নাকামোটো হ'ল সেই ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সাথে যুক্ত যারা ২০০৮ সালে আসল বিটকয়েন শ্বেত পত্র প্রকাশ করেছিল এবং ২০০৯ সালে প্রকাশিত মূল বিটকয়েন সফটওয়্যারটিতে কাজ করেছিল।.

সূত্রপাত
বলা চলে, ২০০৮ সাল নাগাদ বিটকয়েন নেটদুনিয়ার কেনাবেচার মাধ্যম হয়ে ওঠে।সাতোশি নাকামাতো নামে কোনও এক ব্যক্তি বা সংস্থা বিটকয়েনের স্রষ্টা বলে মনে করা হলেও বাস্তবে তার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। সাতোশি নাকামোতো ছদ্মনামে ২০০৮ সালের অক্টোবার মাসে ৯ পৃষ্ঠার “Bitcoin: A Peer-to-Peer Electronic Cash System” শীর্ষক একটি গবেষণা প্রস্তাবনা অনলাইনে প্রকাশ করা হয়, যেখানে প্রথম বিটকয়েন সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়। যার সারসংক্ষেপে বলা হয়, এটি একটি পিয়ার-টু-পিয়ার ইলেক্ট্রনিক মুদ্রা পরিশোধের ব্যবস্থা, যেটির মাধ্যমে একজন অন্যজনের সঙ্গে কোনও তৃতীয় পক্ষ বা প্রতিষ্ঠানের কাছে না গিয়েই লেনদেন সম্পন্ন করতে পারবে। সেই সঙ্গে ‘ডাবল স্পেন্ডিং’ থেকে বিরত থাকতে পারবে। এই ব্যবস্থায় সব ধরনের লেনদেন সম্পন্ন হবে আস্থার ভিত্তিতে নয়, ‘কাজের (লেনদেন) প্রমাণের’ ভিত্তিতে এবং সব ধরনের লেনদেন একটি নিদিষ্ট নেটওয়ার্কে লিপিবদ্ধ হবে।

প্রস্তাবনা প্রকাশের পর থেকে সাতোশি বিটকয়েন ‘মাইনিং’ এর জন্য প্রথম সফটওয়্যার তৈরি করে। ‘মাইনিং’ হচ্ছে বিটকয়েন তৈরি করার পদ্ধতি। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে সাতোশি প্রথম বিটকয়েন মুদ্রা রিলিজ করে। এই সাতোশি নাকামোতোর আসল পরিচয় এখনও অজানা।

প্রতি ঘণ্টায় বিটকয়েনের মূল্য পরিবর্তিত হয়। ভারতীয় মুদ্রার নিরিখে কখনও এক বিটকয়েন ৮ লক্ষ টাকার সমান হতে পারে, কখনও তার চাইতেও বেশি।

সম্পূর্ণ ডিজিটাল উপায়ে তৈরি এই মুদ্রার বাস্তবে কোনও ফিজিক্যাল অস্তিত্ব নেই। কোনও কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক এটি নিয়ন্ত্রণ করে না। ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের উদ্যোগে বিশ্বব্যাপী এটি ব্যবহারের ফলে এর মুদ্রা ব্যবস্থা চলমান রয়েছে। পিয়ার-টু-পিয়ার ব্যবস্থার কারণে কোনও প্রতিষ্ঠান বা মিডলম্যান ছাড়াই সরাসরি লেনদেন সম্পন্ন হয়। ক্রিপ্টোগ্রাফি ব্যবহৃত হওয়ার কারণে উপযুক্ত অনুমতি ছাড়া বিটকয়েনের অ্যাকসেস নেওয়া  অসম্ভব। আর একটা ব্যাপার হল বিটকয়েনে  সম্পূর্ণভাবে ছদ্মনামে লেনদেন সম্ভব।

যত সময় যাবে বিটকয়েনের মূল্য তত বাড়বে বলে ধারনা।

পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্ক হওয়ার কারণে বিটকয়েনের ট্র্যানজাকশন বা লেনদেন দাতা ও গ্রহীতার ‘ওয়ালেট’ থেকে ‘ওয়ালেটে’ সম্পন্ন হয়। ‘ওয়ালেটে’ বিটকয়েন সঞ্চিত থাকে। এটি অনলাইন বা অফলাইন দু’রকমেই হতে পারে। একজন বিটকয়েন ব্যবহারকারীকে দুটি ‘কি’ (Keys) ব্যবহার করতে হয়। একটি ‘পাবলিক কি’ (Public Key), এটি সবার জন্য উন্মুক্ত। অন্যটি ‘প্রাইভেট কি’ (Private key), এটি গোপন থাকে এবং লেনদেনের নিশ্চয়তার জন্য ব্যবহৃত হয়।

ট্র্যানজাকশনের ইতিহাস একটি খতিয়ানে (পাবলিক লেজার) রেকর্ড করা থাকে, যাকে ‘ব্লক চেন’ (Block chain) বলে। এ ক্ষেত্রে ‘পাবলিক কি’ ব্যবহার করা হয় এবং একই লেনদেন একই ব্যবহারকারীর মাধ্যমে পুনরাবৃত্তি করা যায় না। ব্লকচেনে সর্বপ্রথম ট্র্যানজাকশনের হিসাব থেকে আজ পর্যন্ত সব হিসাব সংরক্ষিত আছে এবং নিয়মিতভাবে আপডেট হচ্ছে।