ব্লকচেইন নিয়ে সম্ভাবনা অনেক রয়েছে, কিন্তু কোন ধরনের ব্লকচেইন সেটি আগে ভাবতে হবে। কারন জুনায়েদ স্যার এর আগেই একটি কনফারেন্সে বলেছিলেন, বাংলাদেশে ব্লকচেইন প্রযুক্তির অগ্রগতির জন্য কাজ করবেন কিন্তু বিটকয়েনকে বৈধ করার সম্ভাবনা কম। আর একটি বিষয় হলো,বাংলাদেশের কিছু আইটি ফার্ম আছে যেগুলো প্রাইভেট ব্লকচেইন সিস্টেম দুবাইকে প্রদান করে থাকে। আর ব্লকচেইন অলিম্পিয়াডে আমিও অংশগ্রহণ করার জন্য শাহজালাল ইউনিভার্সিটির এক ভাইয়ের কাছে পরামর্শ চাইছিলাম। আর তার কথা থেকে আমি যতটুকু বুঝতে পেরেছিল, বর্তমানে এসব অলিম্পিয়াড হচ্ছে প্রাইভেট সেক্টরগূলোর জন্য এবং সেটি প্রাইভেট ব্লকচেইন নিয়েই বলা যায়। তাই আমি এখন পর্যন্ত ব্লকচেইন নিয়ে লেখা খবরগুলোতে তেমন আশাবাদী না যে, বিটকয়েন খুবই তাড়াতাড়ি বাংলাদেশে বৈধ কিংবা রেগুলেশন হবে। অন্যান্যদের মতামতের অপেক্ষায় রইলাম।
আসলে ব্লক চেইন নিয়ে কাজ শুরু হলে বিটকয়েনের দিকটি অটোমেটিক উঠে আসবে। ব্লকচেইন নিয়ে যখন ভালোভাবে কাজ শুরু হবে তখন অবশ্যই মানুষ বিটকয়েন সম্পর্কে আরও গভীরভাবে জানবে বিটকয়েনের বিভিন্ন পজিটিভ দিক গুলো সবার সামনে উঠে আসবে। তখন হয়তো দেশের সরকার কিংবা সরকারের উচ্চপদস্থ যারা আছে তারা বিটকয়েন নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করবে। হ্যাঁ এটা সত্যি যে অনেক দ্রুত খুব ভালো সংবাদ আসবেনা, তবে একটি নিয়ে যখন কাজ শুরু হবে তখন অবশ্যই ভালো কিছু আমরা আশা করতে পারি।
অনেকেই ব্লকচেইন বলতে শুধু ক্রিপ্টো বা বিটকয়েন কেই বুঝে অথচ ব্লকচেইন টেকনোলজি আরো অনেক বিসতৃত এবং দৈনন্দিন জীবনেও ব্লকচেইন এর অনেক ভালো ব্যবহার করা সম্ভব। নির্বাচন স্বচ্ছ করার জন্যে ব্লকচেইন এর ব্যবহার খুবই কার্যকরী এবং অনেক দেশে এটা পরীক্ষা মূলক ভাবে ব্যবহার শুরু ও করা হয়েছে। বাংলাদেশে ব্লকচেইন নিয়ে কাজ শুরু করলে ক্রিপ্টো নিয়েও সরকার কিছু না কিছু পদক্ষেপ নিবে বলেই আশা করি।