কথায় আছে না ভাই, দাঁত থাকতে দাঁত এর মর্যাদা বোঝে না বাঙালি। এইটাই সত্য। আমাদের কে ক্রিপ্ট থেকে বঞ্চিত করে নিজেরা ঠিকই হাজার হাজার কালো টাকা বিটকয়েন এ বানায় ওয়ালেট ভর্তি করে রাখছে। কে এখন কি বলবে? কার কিছু বলার সাহস আছে?
এটা বাংলাদেশ ভাই, আপনার ও আমার কথায় এই দেশে কোন রাজনৈতিক পরিবর্তন আসবে না। আপনি ও আমি এদেশে ক্রিপ্টো কারেন্সি নিয়ে যত ইতিবাচক কথা বলি না কেন রাজনৈতিক মহল থেকে ক্রিপ্টো কারেন্সি কখনো বৈধতা পাবে না ।
আচ্ছা মনে করেন ক্রিপ্টো কারেন্সি বাংলাদেশে বৈধতা পেয়েছে তাহলে বাংলাদেশের যে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তাতে করে বাংলাদেশের সমস্ত কালো টাকা বিদেশ ট্রান্সফার করতে একদিনও লাগবেনা। যে দেশে ব্যাংকের টাকা লুটপাট করা একটি রাজনৈতিক ধর্ম হয়ে দাঁড়িয়েছে সে দেশে আপনি কিভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহারের অনুমতি নিয়ে আফসোস প্রকাশ করেন।
যে দেশ এ সাধারন কারন এ সরকার এর নির্দেশে ছাত্র হত্যা করে গুম করে দেওয়া হয়, সে দেশ এর উন্নতি এর জন্য কথা কে বলবে? ডিজিটাল বাংলাদেশ! একমত ভাই আপনার লগে। পুরাই হাস্যকর। দিন এ ২/৩ ডা কইরা নিউজ আসে, এই মেয়ে এইডা করছে এই পোলা এইডা করছে অনলাইন এ কাজ করে। ক্রিপ্ট তো অনলাইন বিজনেস, তাইলে এইডা করলে সমস্যা ডা কই।
ভাইজান এই দেশে আপনি অনেক অন্যায় কাজ করেন অথবা আরো বড় কোন কিছু করে ফেলুন দেখবেন শুধুমাত্র ব্যাকআপ থাকলেই আপনি সাত খুন মাফ পেয়ে যাবেন। অনলাইন ইনকাম করা বাংলাদেশে অবৈধনা কিন্তু অনলাইনে জালিয়াতি করলে অবশ্যই আইনি ঝামেলা হবে। ২০১৭ সালের আগেও পরে ক্রিপ্টো কারেন্সির উপর কর্মকাণ্ড চালালে আইনি ও পুলিশি অনেক ঝামেলা হতো কিন্তু বর্তমানে পুলিশি ঝামেলা একটু কম হচ্ছে। তবে বাংলাদেশের জন্য ওপেনে ক্রিপ্টো কারেন্সি নিয়ে আলোচনা ও বিজনেস না করাই ভালো।
যাই হোক, যা বলছি এই পোস্ট এ হয়ত আমারেও গুম কইরা দিতে পারে। যদি পোস্ট না করি তাইলে দোয়া কইরেন যেন মরার পর জান্নাত পাই।
ভাই আপনার মনে অনেক দুঃখ সেটা আপনার পোস্ট করে ইতিমধ্যে বুঝতে পেরেছি। আপনি ও আমি ভাই ডাল দিয়ে ভাত খাবো সোজা পথে হেটে যাবো এই নীতির উপর থাকতে হবে। আমরা ভাই খেটে খাওয়া মানুষ, সাধারণ মানুষ হিসেবে দুমুঠো ডাল ভাত পেলেই চলবে। এই ফোরামে দু'চারটে আবেগী কথা বলে কোন লাভ হবে না ভাই। আসুন আমরা সবাই মিলে আত্ম সংযমী হয়ে মিলেমিশে কাজ করি ও বাংলাদেশ থ্রেডকে একটি সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর হই।