তাছাড়া আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে এসব অসাধু লোকের জন্য আমরা পুরো সিস্টেমটাকে দোষারোপ করতে পারি না কেননা দেখুন এমন অনেক কিডনাপিং কেস আছে যেখানে মুক্তিপণ হিসেবে ফিয়াট কারেন্সি দাবি করেছে তাই বলে আমরা সেটাকে তো আর অবৈধ ঘোষণা করিনি । তেমনি আমি মনে করি এমন একদিন আসবে ক্রিপ্টোকারেন্সিকেউ এমন পর্যায়ে পৌঁছাবে যখন এখনকার ফিয়াট কারেন্সির মতন এটি ব্যবহার করা হবে তখন আমাদের আফসোস করতে হবে ।
পাবলো এস্কোবার তৎকালীন সময়ে ৩০ বিলিয়ন ডলারের মালিক ছিলেন। কথিত আছে, মেয়ে ম্যানুয়েলা এস্কোবার এর ঠান্ডা দূর করতে তিনি ডলারে আগুন ধরিয়েছিলেন। এডিট- ২ মিলিয়ন ডলার পুড়িয়েছিল।
সোর্সপাবলো এস্কোবার এর ডলার অবশ্যই কালো ছিল। তিনি ছিলেন ইতিহাসের বড় কোকেইন ডিলার। তিনি কিন্তু সব লেনদেনে ডলারই ব্যবহার করেছেন কিংবা স্বর্ন (ধারনা করলাম)। তাই বলে না ডলার নিষিদ্ধ হয়েছিল, না স্বর্ন।
২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ৩০০+ মিলিয়ন ডলার নগদ জব্দ করা হয়েছিল ড্রাগ ডিলার থেকে, অবশ্যই সেগুলো বিটকয়েন এ লেনদেন হয় নাই।
মুল কথা হচ্ছে, খারাপ কাজকে দূরে সরাতে হবে। বিটকয়েন থাকুক কিংবা অন্য যে কোন কারেন্সি থাকুক বা না থাকুক, এইসব লেনদেন চলতেই থাকবে। কিংবা অবৈধ লেনদেন চলতেই থাকবে। এইখানে বিটকয়েন প্রবলেম না। প্রবলেম অবশ্যই প্রবলেমটা, খারাপ কাজটা।
হ্যাঁ সেটাই বললাম, বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষই মানুষের করা ভুলের জন্য পুরো সিস্টেমটাকে দোষারোপ করে। বিশেষ করে আমাদের এই ক্রিপ্টো সেক্টর নিয়ে আমাদের দেশের মানুষ জনের মধ্যে একটা বিরাট অংশ এখনো এটা মনে করে যে এটা শুধু হ্যাকাররা ইউজ করে আর শুধু ইললিগ্যাল কাজে ব্যবহার করা হয়। আর এই দিক দিয়ে যে কয়েকটা দেশে এটাকে লিগাল টেন্ডার হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে সে হিসাবই রাখে না ।
দুঃখের কথা হল আমার দেখা আশেপাশে এখনো অনেক লোকজন আছে এমনকি তারা টেকনোলজি এর যুগের পোলাপান হয়েও।