Post
Topic
Board Other languages/locations
Re: বাংলাদেশ (Bengali)
by
Bitcoin_people
on 25/03/2023, 02:01:18 UTC
Deutsche Bank মাএ 1 সপ্তাহে 32% কমছে, 24 ঘন্টায় 9% কমেছে সম্ভবত কিছুই...🤨
ব্যাংকগুলোর অবস্থা খারাপ, তাই হওয়ার ছিল। সাতোশি নাকামোতো এমনি এমনি বিকল্প খোজেন নি অবশ্যই। আমরা ব্যাংকে আমাদের কষ্টার্জিত টাকা জমা রাখি নিরাপদ মনে করে, তারা আমাদের টাকা নিয়ে লোন দেয় অন্য মানুষকে। অন্য মানুষ ফেরত দিতে না পারলে কিংবা ব্যাংকের কোন আর্থিক ক্ষতি হলে আমাদের টাকা ফেরত দেয়ার জন্য তারা কি কোন পরিকল্পনা রাখে? অবশ্যই না। বাংলাদেশে ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকে সম্ভবত ৫০০ কোটি টাকা জামানত রাখতে হয়। কিন্তু একটি ব্যাংক এর চেয়ে অনেক বেশি লেনদেন করে। আমাদের টাকার নিরাপত্তার কথা ভেবে তারা কিন্তু নিজেদের কাছে কিছুই রাখে না, সবই অন্যান্য মানুষকে ধার দেয়। খারাপ কিছু হলে চিপায় পরে গ্রাহকরা। এইরকম সিস্টেম কলাপ্স করা উচিত। আমরা শুধুমাত্র ট্রেইলার দেখলাম আমেরিকা থেকে। শীঘ্রই অনেক ব্যাংক দেউলিয়া হতে থাকবে।
আমার মনে হয় এই ধাক্কা গুলোই  পরবর্তীতে  ক্রিপ্টোকারেন্সি রেগুলেশন তৈরি করতে সাহায্য করবে।  আমেরিকার  তিনটি বড় নামকরা ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার পর এখন ইউরোপের  এইসব ব্যাংকগুলোতে   দর্পতন ঘটতেছে,   আজকের নিউজ জার্মানির ডয়চে ব্যাংক  নিয়ে,  কিছুদিন আগে দেখলাম সুইজারল্যান্ডের নামকরা ব্যাংক  সুইস ক্রেডিট এর দর পতন ঘটতেছে ধারণা করা যাচ্ছে যে   সুইজারল্যান্ড এর সরকার এর থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ঋণ নেওয়ার পরেও এ ব্যাংকের  দেউলীআত্ত থামানো কঠিন হবে.  ইতিমধ্যেই এটি সরকার থেকে ৫৪ বিলিয়ন ধার নেওয়ার জন্য আবেদন করেছে-
বিস্তারিত- https://dhakamail.com/international/78197
আশঙ্কায় আছি আমাদের বাংলাদেশের ব্যাংক সমূহ নিয়ে সবগুলোর অবস্থায় তো নড়বড়ে রয়েছে যা কিছু সঞ্চয় আছে  তার সিংহভাগই এসব ব্যাংকে জমা রেখেছি।  ইউরোপ আমেরিকার হাল দেখে আমাদের অবস্থা যে কি হবে সেটা ভাবতেছি। সম্পূর্ণ ফান্ড বিটকয়েন এ ইনভেস্টমেন্ট করা থেকে বিরত রয়েছে কারণ এর হাই ভোলাটি এর কারণে দরকারের সময় প্রবলেম করতে হবে দেখে।  এখন মনে হচ্ছে ফিজিক্যাল অ্যাসেট বানানোর ছাড়া আর কোন উপায় নাই, জায়গা জমি কেনা ইত্যাদি।
বিশ্বের বড় বড় দেশের ব্যাংকগুলো যেভাবে দেউলিয়া হচ্ছে এতে অর্থনীতির অনেক সংকট দেখা যায়। সুইজারল্যান্ড এর মত ব্যাংক ৫৪ বিলিয়ন ধার নেওয়ার নিয়েছে তাহলে কতটা অর্থের ঘাটতি পড়ে গিয়েছে সুইচ ব্যাংকে।‌আরো‌ বলেছে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকিং সেক্টরে একাধিক ব্যর্থতার পর ক্রেডিট সুইস ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য এতোটাই পড়ে যায় যে তা ইউরোপের অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় ঋণপ্রদানকারী সংস্থাগুলোর ওপর প্রভাব ফেলে। এতে বিশ্বের ব্যাংকিং খাতে আরও গভীর সমস্যা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যেভাবে অর্থনৈতিক প্রবলেমে পরেছে ব্যাংকটি এতে ২০২৪ সাল নাগাদ লাভজনকও হয়ে উঠতে পারবে না বলে পূর্বাভাস রয়েছে।


আর যদি আমাদের বাংলাদেশের অর্থনৈতিকগুলো দিকে লক্ষ্য করা যায় তাহলে দেখা যাবে সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। যেভাবে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতির কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে, অন্যদিকে ডলার সংকটে আমদানি এবং ব্যাংকিং খাতেও রয়েছে সংকট। এতে সারা দেশের মানুষ একেবারেই নিঃস্ব হয়ে গেছে বাংলাদেশের সবকিছুর দাম অত্যাধিক বৃদ্ধি এর কারণে গরিব অসহায় লোক গুলো খাবার সংকটে ভুগছে। খাদ্যশস্য এর দাম সহ বিদ্যুৎ জ্বালানি তেল গ্যাস সহ সবকিছুর মূল্যই উর্ধগতি। এতে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের কি হবে এটা বলা খুবই মুশকিল কেননা বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে ঋণ নিয়েছে ইতিমধ্যে। আর বাংলাদেশ ব্যাংকগুলোর অবস্থা বর্তমানে অনেক খারাপ বিভিন্ন বৈদেশিক ঋণ রয়েছে ব্যাংক গুলোতে।
BBC news