আমি এমন অনেক কেই জানি যারা এখন বিটকয়েন দিয়ে সবথেকে বেশি লেনদেন করে থাকে কিন্ত নিরাপত্তার জন্যে তারা মুখে শিকার করেনা, ফ্রিল্যান্সিং এর সাথে যারা যুক্ত বাংলাদেশে পেমেন্ট মেথড সীমিত হবার কারণে অনেকই এখন বিটকয়েন এর মাধ্যমে লেনদেন করে, ৩-৪ মাস আগে একটা সেমিনারে অংশ গ্রহণ করেছিলাম সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংক এর অনেক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন, তারা সবাই বলছিলেন যে তারা বিটকয়েন নিয়ে কাজ করছে, আর খুব দ্রুত তারা অন্য কোন দেশ যেখানে বিটকয়েন বৈধ তাদের থেকে সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে এবং তাদের সাথে চুক্তির মাধ্যমে বিটকয়েন কে বৈধতা কীভাবে দেয়া যায় তা নিয়ে তারা কাজ করছে ।
অনেকেই প্রশ্ন করেছিলেন যে তাহলে কেমন সময় লাগতে পারে বিটকয়েন কে বৈধতা দিতে , তখন একজন কর্মকর্তা বলেছিলেন আগামী ১-২ বছরের মধ্যে হয়তো আমাদের কার্যক্রম সম্পুর্ন করতে সক্ষম হবো ।
আমার কাছে মনে হচ্ছে যে যেহেতু বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে , খুব দ্রুত এটার বৈধতা দেয়া হতে পারে ।
আমাদের দেশে বিটকয়েনকে বৈধ না করাই ভালো। ভারতেই ৩০% কর (tax) নেওয়া হয়। আমরা ভারতের পার্শ্ববর্তী দেশ। এদেশের কথা তো সবারই জানাই আছে, দেশে হয়তো ভারতের থেকে কম ট্যাক্স নিবে না, তার থেকে আরো বেশি ধার্য করা হবে। যাইহোক বিটকয়েন বৈধ করা হলে আমাদের অনেকটাই সুবিধা হবে। রাস্তাঘাটে সমালোচনা করতে পারবো। আইনি কোন ধরনের ঝামেলায় পড়তে হবে না। খোলামেলা ভাবেই বিটকয়েন বিনিয়োগ করতে পারব। যখন আমাদের দেশে বিটকয়েন বৈধ করা হবে। আমরা ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষেত্রে বিটকয়েনের ব্যবহার করতে পারব। বাংলাদেশি বিটকয়েন বৈধ করা হলে, হয়তো দোকান থেকে আমরা বিটকয়েনের মাধ্যমে জিনিসপত্র কেনাকাটা করতে পারবো।
আস্তে আস্তে যেভাবে পুরো বিশ্বে জুড়েই বিটকয়েন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। হয়তো আমাদের দেশেও এক সময় বিটকয়েন বৈধ করা হবে।