আজকে একটি বিষয় খেয়াল করলাম কিছু আমাদের বাংলার সদস্যদের প্রত্যেকেই @DdmrDdmr সাহেব থেকে মেরিট পেয়েছেন। আমিও পেয়েছি ৫টির মতো। যাহোক একটি বিষয় খুব ভালো লাগলো তাদের মত গ্লোবালের স্বনামধন্য ইউজাররা বাংলাতে মাঝেমধ্যে ঢুকে আমাদেরকে মেরিট দিয়ে যায়। আমরা যদি তাদের থেকে এভাবে মেরিট না পাই তাহলে হয়তো আমাদের রেঙ্ক বৃদ্ধি পাওয়া সম্ভব হতো না। আমাদের কমিউনিটিতে এক্টিভ ইউজার দরকার । আর এখানে সর্বদা একটিভ থাকলে গ্লোবাল থেকে মেরিট সোর্স এসে আমাদেরকে মেরিট দিয়ে পুরস্কৃত করবেন। তবে একটি বিষয় খেয়াল করলাম আমাদের এখান থেকে বেশ কয়েকজন ফুল মেম্বার হয়েছেন এবং বেশ কয়েকজন পোটেনশিয়াল হিরো মেম্বার হওয়ার পথে।
তাদের মধ্যে..
1. Crypto Library
2. NicNacCoin
আপনারা দুজন পিজ্জা কম্পিটিশনে অংশগ্রহণ করলেই আল্লাহ ভরসা হিরো মেম্বার হয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ। দোয়া করি আপনারা হিরো মেম্বার হয়ে আমাদের ফোরামের সদস্যদের সহযোগিতা ও সেবা করবেন।
DdmrDdmr এমন একজন মানুষ যার বিচরণ প্রায় ফোরামের সব জায়গায় রয়েছে , আমার অনেক পোস্টে ওনার মেরিট রয়েছে আমাদের লোকাল থ্রেডেও ও মাঝেমধ্যে তিনি এসে মেরিট দিয়ে যান, আজকে আমারও কিছু সৌভাগ্য হয়েছে এর অংশীদার হওয়ার। আর আমার এই সিনিয়র মেম্বার হওয়া পর্যন্ত যারা আমাকে সর্বোচ্চ মেরিট দিয়েছে তার মধ্যে তিনি হলেন দ্বিতীয় নম্বরে। আর উনার বানানো মেরিট ড্যাশবোর্ড দিয়ে এই ফোরামের অনেক এনালাইসিস হয়ে থাকে।
হ্যাঁ ভাই পিজ্জা কম্পিটিশন অলরেডি চালু হয়ে গিয়েছে এটা আসলে দেখেছি কিন্তু সময় হচ্ছে না পিজ্জা বানানোর ভেবেছি কাল বা পরশু বানাতে বসবো। দোয়া করবেন আর বেশি পথ দূরে নেই হিরো মেম্বার হওয়ার জন্য ।
সমগ্রহ বিশ্বেই কর ব্যবস্থা বৈচিত্রময় হয়ে থাকে। এটি সাধারনত সেই দেশের সরকার সংশ্লিষ্ঠ সকলের সাথে বসে একটি সীধান্ত নিয়ে করের পরিমান নির্ধারন করে। যার কারেনে ভিন্ন ভিন্ন দেশ ভিন্ন ভিন্ন হারে সেই দেশের মানুষের উপর কর আরোপ করে। উন্নত বিশ্বে ব্যেক্তিগত কর এবং ব্যাবসায়িক দুটি ভিন্ন হয়ে থাকে। কোন কোন দেশের করের মাত্রা প্রায় 50 শতাংশের কাছাকাছি হয়ে থাকে। আবার কিছু দেশ আছে সেখানে ব্যেক্তিগত কর প্রদান করা হয় না কিন্তু অ্যানান্য ক্ষেত্রে যেমন পন্য বা পরিসেবায় কর বেশি হয়ে থাকে। কোন কোন দেশে উচ্ছবিত্তদের জন্য একটি ধরনের কর এবং নিম্নদের জন্য আর এক ধরনের কর দেওয়ারও ব্যবস্থা রয়েছে।
একটি দেশের উন্নতির লক্ষ্যে কর প্রদান করা প্রতিটি নাগরিকেরই দায়িত্ব। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেও এটি একই রকম হওয়া উচিত। কারন কর না দিলে সরকার দেশের উন্নয়ন করতে পারবে না। বিভিন্ন পরিসংখ্যান দেখলে সহজেই অনমান করা যায় বাংলাদেশ কর প্রদানে অনেক নিচের অবস্থানেই আছে। দেশের উন্নয়ন না হলে সাধারন নাগারিকদের অবস্থার উন্নতি হবে না। দেশ যখন আর্থিকভাবে শক্তিশালি হবে তখন দেশের মানুষ সর্বোচ্চ সুবিধা ভোগ করতে পারবে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমার যেটি ধারনা সেটি হল দুর্নিতি এমন একটি পর্যায়ে গিয়েছে যা এখন সাধারন মানুষের বুঝতে বাকি নেই। অনেক সরকারী প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে কাজ করতে গেলে ঘুস ছাড়া হয় না। মানুষের অতিরক্তি লোভ দেশটির একটি শক্ত কঠামো দুর্বল করে ফেলছে। আমরা প্রায়ই সরকারকেই শুধু দোষারোপ করে থাকি। কিন্তু একটি বিষয় আমাদের ভাবা উচিত যে একজন মানুষ যে দলেরই হোক তার দ্বারা পুরো একা সমালানো যাবে না। সে জন্য অন্যেদেরকে দায়িত্ব দিয়ে রাখা হয়। সেই দায়িত্ববান লোকেরা যদি দুর্নিতির সাথে সম্পুৃক্ত হয় তখন সরকারের পক্ষ্যে সব কিছু সমাধান করা সম্ভব হয় না। এজন্য প্রয়োজন ব্যেক্তিগত সচেতনতা। আমি এই কথা গুলো এজন্য বলালাম কারন আমি দেখেছি অনেকেরেই যথেস্ট আর্থিক ব্যবস্থা আছে অথচ তারা সরকারকে ট্রাক্স প্রদান করে না। আমি তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা নানা দুর্নিতির কথা তুলে ধরে। সেই সব কথা শুনলে অনেকেরই ট্রাক্স পে করার প্রতি নেতিবাচক ধারনা আসতেই পারে।
আমি ব্যেক্তিগতভাবে যা মনে করি ট্রাক্স পে করা উচিত সরকার যেটাই ধরুক আপনার সাধ্য অনুযায়ি যদি হয় তাহলে ট্রাক্স পে করেন। উন্নত বিশ্বের চেয়ে ট্রাক্স পে করারতে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি।
তবে বর্তমানে অর্থনেতিক পরিস্থিতি বিশ্বের কোথাও ভাল নেই সেই হিসেবে পরিবেশ স্বাভাবিক হয়ে উঠা না পর্যন্ত নতুন করে কর বৃদ্ধি করলে জনসাধারনের উপর বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃস্টি হবে যা এই সময় উচিত নয় বলে আমি মনে করি কারন দ্রব্যমুল্য ইতমধ্যে দ্বিগুন হয়ে গিয়েছে।
আমরা তো ভাই সবদিক থেকেই পিছিয়ে রয়েছি , যেমন দেখুন ডেনমার্কের মাথাপিছু আয় কত আর বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় কত। ওদের মাথাপিছু আয় হিসেব করলে ৫০পার্সেন্ট ট্যাক্স পে করেও ওরা ওদের ওই টাকা দিয়ে ভালোভাবে মানসম্মত জীবন যাপন করতে পারবে । আমাদের দেশে ঠিক উল্টোটা রয়েছে যেমন রয়েছে দুর্নীতি তেমনি রয়েছে ট্যাক্স নিয়ে ছেলে খেলা।