বিটকয়েন নাজায়েজ হলে বিটকয়েনের টাকায় কুরবানী নাজায়েজ হবে কি?
~××
××~
নিজের বিবেক হচ্ছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ আদালত। এত সকল বুঝিনা শুধুমাত্র একটাই কথা বলতে চাই অন্যের হক মেরে, ঘুষের টাকায় কুরবানি করার চেয়ে না করাই ভালো। ওই সকল কুরবানী শুধুমাত্র লোক দেখানোর জন্য। আর লোক দেখানো কুরবানী আল্লাহর দরবারে পৌঁছাবে না।।
আল্লাহ তাআলা বলেছেন আমার কাছে কুরবানীর গোস্ত মাংস চামড়া কিছুই পৌঁছায় না, আমার কাছে শুধু পৌঁছায় তোমাদের তাকওয়া।
বিটকয়েন বাংলাদেশে লেনদেন অবৈধ কিন্তু পৃথিবীর অন্যান্য মুসলিম দেশে বিটকয়েনের বৈধতা পেয়েছে। তাহলে কি আমরা তাদের ফতোয়াকে উড়িয়ে দিতে পারব। সে দেশেও তো কুরবানি হবে। তারাও তো আল্লাহর দেওয়া হালাল-হারাম ভালোভাবেই বোঝে।
আচ্ছা সহজ কথায় বুঝিয়ে দেই, আমরা পরিশ্রম করে কিছু বিটকয়েন উপার্জন করি এবং সেই বিটকয়েন বিক্রি করে যে টাকা পাই তা দিয়ে কুরবানী করলে আমার মনে হয় না সেটা নাজায়েজ হবে বরং একটি সৎ উপায়ে উপার্জিত টাকায় কুরবানী হবে ।
আমরা যারা বাংলাদেশে বেশ কয়েকবার চাকরি ইন্টারভিউ বোর্ডে থেকে শুধুমাত্র ঘুষ দিতে না পেরে চাকরি হয়নি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করে দেখুন কোনগুলা সৎ উপার্জন এবং কোনগুলা নাজায়েজ উপার্জন। আপনি বাংলাদেশ থেকে বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন বাংলাদেশের কয়জন চাকরিজীবী সত উপায়ে উপার্জন করে কুরবানী দিতে পারবে। হয়তো মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ আছে যারা যারা সৎ উপায় উপার্জন করে সৎ পথে খরচ করে।
তবে বিভিন্ন মহাদ্দিস ও শায়েখ রয়েছেন যারা অনেক ভালো বোঝেন হালাল-হারাম সম্পর্কে। তাদের কেউ কেউ বিটকয়েনকে নাজায়েজ বলেছেন আবার কেউ কেউ বিটকয়েনকে হালাল বলেছেন। তবে আপনারা আমরা সৎ ভাবে জীবন যাপন করলেই ভেতরে আত্মতুষ্টি থেকে এর সদ উত্তর পাবেন কোনটি নাজায়েজ এবং কোনটি জায়েজ।