আশা করি উপরের আলোচনায় আপনি আপনার উত্তর পেয়ে গেছেন। এবং কিভাবে ফতোয়াটি এসেছে এই বিষয়েও যথেষ্ট ধারণা হয়ে গেছে। তাই মুফতি ও ফতোয়া প্রদানকারীদের এইরকম দৃষ্টিকটু ভাবে দোষারোপ না করে নিজেও কিছুটা বোঝার চেষ্টা করা উচিত। পরিশেষে একটা কথাই বলবো নিজের বিবেক সবচাইতে বড় আদালত। হয়তো মহান আল্লাহ তায়ালা আপনার বিবেককেই গ্রহণ করতে পারেন। আর আল্লাহ চাইলে শিরক ব্যতীত যেকোনো গুনাহ মাফ করে দিতে পারেন। তাই আপনি আপনার বিবেকের কাছে পরিষ্কার থেকে বিটকয়েন ব্যবহার করুন এটাই আমাদের জন্য ভালো সমাধান হতে পারে।
বিষয়টা হচ্ছে কি এখানে শুধু কথা বলা হচ্ছে বিটকয়েনের অর্থ হালাল না হারাম নিয়ে, আমি মনে করি মেইন বিষয়ের কথা বলা উচিত, বিটকয়েনতো একটা কারেন্সি মাত্র তবে হ্যাঁ বাংলাদেশ সরকার বর্তমানে এটিকে বৈধতা দান করেনি এই ব্যাপারে কিছুটা প্রশ্ন তোলা যায় .
তবে আমি দেখতেছি এখানে মেইন বিষয়টা যে কোথা থেকে এই বিটকয়েন আপনি উপার্জন করছেন উপার্জনের উৎসটা এ বিষয়টা নিয়ে কথাই হচ্ছে না।
ভাই আমি বুঝতে পারছি এখানে বিটকয়েনের অর্থ হালাল না হারাম এ নিয়ে কথা হচ্ছে। তবে এখানে বিষয়টা পরিষ্কার হওয়া উচিত যে অধিকাংশ ফতোয়া প্রদানকারী সংস্থা বিটকয়েন কে হারাম ঘোষণা করেছে। আর আমার উপরের পোস্টটি তে বিস্তারিত বলার কারণ roksana.hee ভাই ডিরেক্ট আলেমদের দোষারোপ করেছে এবং এমন কিছু কথা বলেছে যা ইসলামে দৃষ্টিকটু।
@Little Mouse ভাই, আপনি যথার্থই ভালো একটা বক্তব্য দিয়েছেন, এই আলেমদের বিরুদ্ধে। এদেরকে এক কথায় বলা হয় ভাই, "চোরের মায়ের বড় গলা"! এরা চুরিও করবে, আবার ধরা পড়লে বিভিন্ন ধরনের বড় বড় ওসিহত দেবে। বিটকয়েন ব্যবহার করে যদি মানুষ ইনকাম করে তার ফ্যামিলিকে স্বনির্ভর করতে পারে, তাহলে বিটকয়েনে উপার্জিত টাকা দিয়ে কেন কুরবানী হবে না বা কেন আলেমরাই এই ধরনের বাজে বক্তব্য পেশ করে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে এবং মানুষের ঈমান নষ্ট করবে? এই অধিকার কি আলেমদের দেয়া হয়েছে, ভাই?
আমি এই জন্যই উপরে বর্ণনায় লিখেছি কিভাবে ফতোয়া প্রদান করা হয় এবং কোন কোন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে ফতোয়া প্রদান করা হয়। মনে করুন গাজা ইসলামে হারাম, এখন যদি কেউ গাঁজা চাষ করেন যেটা বিটকয়েন মাইনিং এর মত বা কেউ যদি গাঁজা বেচাকেনা করে যেটা ট্রেডিং এর মত এক্ষেত্রে দুটোই হারাম হবে। তাই আমি খুব গভীর থেকে ইসলামের ফতোয়া সম্পর্কে উল্লেখ করেছি যাতে সবার বুঝতে সুবিধা হয়। যেহেতু এটা নিয়ে এখনো মত পার্থক্য আছে তাই আমি বিশেষ কিছু বলতে চাই না তবে এমন কিছু বলা অনুচিত যেটা ইসলামী বিশেষজ্ঞদের অবমাননা করা হয়। কারণ স্বয়ং কুরআনে বর্ণিত আছে ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর নির্দেশ মান্য করো, অনুসরণ করো রাসুলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা কর্তৃত্বসম্পন্ন (ন্যায়পরায়ণ শাসক ও আলেম) তাদের।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৫৯)
আমি আবারও বলছি সব আলেমই যে কোরআন-সুন্নাহ পন্থী এবং শুদ্ধ এমনটা নয় তবে যেখানে স্বয়ং মহান আল্লাহ তায়ালা তাদের সম্মান দিয়েছেন সেখানে আমরা কিছুই নই।