Post
Topic
Board Other languages/locations
Merits 1 from 1 user
Re: বাংলাদেশ (Bengali)
by
Shishir99
on 13/08/2023, 18:08:07 UTC
⭐ Merited by 2Pizza410000BTC (1)
বিভিন্ন উপায়ে সঞ্চয় করা যায় যেমন ব্যাংকে ডিপিএস করে,লাইফ ইন্স্যুরেন্স করে,কেউ আবার মাটির ব্যাংকেও টাকা রাখে। ব্যাংকে ডিপিএস এবং লাইফ ইন্স্যুরেন্স এই দুটিতে প্রত্যেক মাসে একটি নির্দিষ্ট অংকের টাকা রাখতে হয় এগুলো ২/৫/১০/১৫ বছর পর টাকা উঠানো যায়। আমি মনে করি আমাদের এখনই সঞ্চয় করা উচিত এই যুবক বয়স থেকেই।

যেহেতু ব্যাংক, ডিপিএস এবং লাইফ ইন্স্যুরেন্স এর কথা এসছে, আমি একটু শেয়ার করতে চাই।
আমি আমার জীবনে কোনোদিন কাউকে এসব যায়গায় সঞ্চয় করার কথা বলবো না। কারন নিজের চোখে এবং নিজে যা ফেস করেছি, তারপর অন্য কাউকে এসব মেথডে সঞ্চয় করার জন্য উপদেশ দেয়ার সাহস করা ঠিক হবে না। বাংলাদেশের গ্রাম গন্জের আনাচে কানাচে যায়গায় দেখবেন নানান ধরনের লাইফ ইন্স্যুরেন্স এর অফিস করে বসে আছে। আপনারা নিজেরা কি কেউ লাইফ ইন্স্যুরেন্স ভেঙ্গে দেখেছেন? বা কারো এ ব্যাপারে কোনো এক্সপেরিয়েন্স আছে কি? বাংলাদেশের ৯৫% লাইফ ইন্স্যুরেন্স ধানাই পানাই কোম্পানি। আপনার লাইফ ইন্স্যুরেন্স এর কিস্তি গুলো চলা কালীন আপনার প্রয়োজন হলেও সেখান থেকে আপনি টাকা নিতে পারবেন না। নিতে পারলেও কোনো লাভ পাবেন না। আর সব চাইতে বড় তাল বাহানা শুরু হবে যখন এর মেয়াদ শেষ হবে। ধরেন আপনি ১০ বছর যাবৎ লাইফ ইন্স্যুরেন্স এর টাকা জমিয়ে আসছেন। ১০ বছরে জমেছে ৫ লাখ টাকা। লাভ সহ হয়তো আপনাকে ৭ লাখ দেয়ার কথা ছিলো। এবার আপনাকে হয়রানী করার পালা শুরু। প্রথমেই আপনাকে করতে হবে একটা টিন সার্টিফিকেট। সকল কাগজপত্র জমা দেয়ার পর শুরু হবে টাকা হাতে পাওয়ার অপেক্ষা। সেই অপক্ষো কবে শেস হবে কেউ জানে না। যদি ইউটিউব বা ফেইসবুকে লাইফ ইন্স্যুরেন্স প্রতারনা লিখে সার্চ করেন, হাজারো সার্চ রেজাল্ট পাবেন। যেখানে মানুষের লাইফ ইন্স্যুরেন্স এর মেয়াদ শেষ হয়েছে ৫ বছর আগে আর ৫ বছর ধরে টাকা জন্য অপেক্ষা করছে কিন্ত টাকা পাচ্ছে না। ধর্মের নাম করে বেশিরভাগ লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি খুলছে। এরা এম এল এম মতো কাজ করে। যিনি লোক ভর্তি করে দেয়, প্রথম ২-৩ কিস্তি থেকে ওনাকে কমিশন দেয়। এটা এক প্রকার স্ক্যাম। আপনার খুব ক্ষমতা থাকলে কিছু টাকা পেতে পারেন। আবার দেয়ার সময় এই চার্জ সেই চার্জ বলে টাকা কেটে রাখবে। আমি সব কোম্পাানির কথা বলছি না। তেবে ম্যাক্সিমাম কোম্পানি এগুলোই করে থাকে। আমার বেশ কয়েক জন পরিচিত ভুক্তভোগি আছে।

এবার আসেন ব্যাংক এর ডিপিএস এর কথায়। ডিপিএস খোলার আগে যেসব নিয়মের কথা বলেছিলো, সব কিছুই আমার ফেভারে যায়। বিপত্তি বাদে যখন আর ডিপিএস চালাবো না বল্লাম তখন থেকে। ডাচ বাংলা ব্যাংক এর এজেন্ট ব্যাংকিং এ মাসে ২৫০০ টাকার ডিপিএস চালাচ্ছিলাম। হঠাৎ করেই মনে হলো ডিপিএস চালানোর চাইতে গোল্ড এ ইনভেষ্ট করা বেটার। তো ডিপিএস ভাংতে গিয়ে শোনলাম এখন ভাংগা যাবে না। মিনিমাম ১২ মাস হতে হবে। আবার ১২ টা কিস্তিও দিতে হবে। আমি যদি ১২ মাসে ১২ কিস্তি না দিয়ে ডিপিএস ক্লোজ করি, তাহলে ভ্যাট ট্যাক্স কাটবে। এতোদিন বলে আসছিলো লাভ সহ দিবে। সেই ভ্যাট ট্যাক্স এর পরিমান নাকি অনেক। ১২ মাসে ৩০ হাজার জমবে এর মধ্যে থেকে ৪৫০০ টাকার মতো কেটে রাখবে। বাধ্য হয়ে ১২ মাসে ১২ কিস্তি দিলাম। এবার এপ্লিকেশন করার পালা। এপ্লিকেশন জমা দেয়ার পর আজ না কাল, কাল না পরশু বলে বলে প্রায় ২০ দিন পরে একাউন্ট এ টাকা ক্রেডিট হলো। ব্যাংক এ টাকা রাখা মানে সেটা আর আপনার না। আপনার ইচ্ছামতো আপনি তুলতে পারবেন না।

১০ লাখ টাকা ব্যাংক এ রাখার পর ১০ বছর পর সেটার বভ্যালু হবে ১ লাখের মতো তার ও কম। একই সময়ে গোল্ড কিনে রাখলে ১০ বছর পর সেটার ভরিরে দাম সময়ের সাথে সাথে বাড়বে। বিটকয়ের এর রিটার্ন আরো ভালো আসতে পারে।

নোটঃ কোনো প্রকার ফিনান্সিয়াল এডভাইজ নয়। যে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে নিজে থেকে সব যাচাই করে সিদ্ধান্ত নিন।