ভাইরে ভাই আমার জীবনের বাস্তব কিছু কাহিনীর সাথে আপনার ঘটে যাওয়া ঘটনাটির ১০০% মিল আছে।
+1
আমার বড় ভাই চাচাতো ভাই ভ্যান চালক, দুটো মেয়ে হওয়ায় সে একটু হতাশ। বিয়ে-শাদীর বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা করে সব সময় যদিও বাচ্চা দুটোর বিয়ে হতে মিনিমাম আরো ১০ বছর লেগে যেতে পারে। তবুও ভাইজান প্রতিমাসে ২০০০ টাকার একটি প্যাকেজ ডিপিএস করে। মনে হয় ৯ মাস থেকে ১০ মাস ডিপিএস রান করার পর হঠাৎ করে আমার কাছে আসে যে ডিপিএস রান করতে পারবে না। যাহোক একদিন গেলাম অফিসারদের সাথে কথা বলতে। অফিসাররা যেভাবে বলে তাতে করে জিপিএস করার সময় তারা বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে কোন সমস্যা নেই বলে অনুপ্রেরণা দেয় কিন্তু যখন কোন কারণে সেই ডিপিএস ভাঙতে যায় তখন শুরু হয় বিভিন্ন তালবাহানা। আমার টাকা আমি নেব অথচ মিনিমাম দুবছর, আপনার আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। কেন ভাঙবেন কি করবেন ইত্যাদি ইত্যাদি হাজার প্রশ্ন। যদিও ঐদিন ভেঙ্গে ফেলার অ্যাপ্লিকেশন করি কিন্তু টাকা পেতে সমস্যা হতে হয়নি।
আমার সমস্যা হয়নি যদি একটু কারণ আছে কেননা ওই শাখায় আমার একজন পরিচিত অফিসার আছে সে আমার সাথে তালবাহানা করতে পারেনি। কিন্তু অন্যান্য যারা সাধারন লোকজন থাকে তাদেরকে অবশ্যই একাধিক দিন ঝামেলা সম্মুখীন হতে হয়। এটা ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কখনো উচিত নয় কেননা যারা ডিপিএস করে তারা মূলত অনেকগুলো টাকা একত্রে গোছানোর জন্যই ডিপিএস করে যেন সে তার বিপদে বা প্রয়োজনে কাজে লাগাতে পারে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সেই ডিপিএস এর টাকা দিতে অনেক তালবাহানা করে যা মোটেই উচিত না।