একদম ঠিক বলছেন ভাই ইমোশন কন্ট্রোল আগে, তবে ট্রেডিং এর সম্পর্কে ফান্ডামেন্টাল এবং টেকনিক্যাল নলেজ না থাকলে সে যদি ট্রেডিং করে, তাহলে তো এটা অনেকটা জুয়া মতনই ভাবা যায় এইজন্য আর কি বললাম।
এইবার বুঝতে পেরেছি আপনি কি বুঝাইতে চেয়েছেন। আগে নলেজ, তারপর ইমোশন কন্ট্রোল এবং তারপর এক্সপেরিয়েন্স। হ্যা এই বিষয়ে আমি একমত। কারণ নলেজ না থাকলে আপনি কোন বিষয়ে ইমোশন কন্ট্রোল করবেন? আগে জানতে হবে, তারপর সেই বিষয়ে ইমোশন কন্ট্রোল করতে শিখতে হবে এবং তারপর এর প্রয়োগ করে ফলাফল পাবো আমরা।
আমি আগের পোস্ট এ ইমোশন কন্ট্রোল এর উপায় নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছিলাম। নিচে কিছু উপায় লিখলাম, আপনাদের আরো কিছু জানা থাকলে আমাকে জানাবেন। `সর্বপ্রথম আমাদের শিখতে হবে। ক্রিপ্ট কারেন্সি কি, ব্লকচেইন কি, এগুলা কিভাবে কাজ করে। কোন কয়েন নিয়ে আপনি শর্ট অথবা লং টার্ম এর মধ্যে বেশি প্রফিট করতে পারবেন এগুলো নিয়ে রিসার্চ করতে হবে।
`আপনার ইনভেস্ট থেকে কত সময়ে আপনি কত প্রফিট পেতে চান তার একটি নির্দিষ্ট টার্গেট করতে হবে। তবে তা অবশ্যই এনালাইসিস এর মাধ্যমে করতে হবে। অন্যথায় আপনি কম বা বেশি লাভ পেলে হয় regret ফিল করবেন অথবা বেশি পেলে greedy ফিল করবেন। এথেকে আপনার মধ্যে ইমোশন এর সৃষ্টি হবে। এইজন্য টার্গেট এনালাইসিস এর থেকে কম রেখে টার্গেট পূরণ হওয়ার সাথে সাথে ট্রেড ক্লোজ করে দিতে হবে।
`রিস্ক ম্যানেজমেন্ট, এটি আসলে কি? সবসময় বলা হয় আপনি অই টুকু অর্থ দিয়ে ট্রেড করেন যা আপনি হারাতে প্রস্তুত। আপানর দৈনন্দিন কাজ এবং বেঁচে থাকার জন্য প্রয়জনীয় অর্থ দিয়ে কখনই ট্রেড করবেন না। যেটি হারালে আপনার দৈনন্দিন জীবনে কোনো প্রভাব ফেলবে না সেটি দিয়ে ট্রেড করুন। যদিও আমরা ওই অর্থ দিয়ে করি তা সত্বেও কি কেউ নিজ ইচ্ছায় টাকা হারাতে চাইবে? ক্রিপ্ট মার্কেট এর কথা বলা যায়না। যেকোনো সময় একটা কিছু হয়ে যেতে পারে। আপনার ট্রেড লস এর দিকে চলে যেতে পারে হাজার এনালাইসিস করার পরও। রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বলতে আমরা স্টপ লস এবং টেক প্রফিট সেট করা কে বুঝি। এতে করে একটি নির্দিষ্ট পরিমান লস এবং লাভ এর আগেই ট্রেড ক্লোজ হয়ে যাবে। এর ফলে আমরা লস এর পরিমান কমাইতে পারব যেনো আমরা পরের ট্রেড এর জন্য যথেষ্ট অর্থ রাখতে পারি। আর টেক প্রফিট হচ্ছে টার্গেট সেট করার মতই। যা আপনি এনালাইসিস করেছেন যেন ফলাফল একই থাকে এবং দাম বেশি হইলেও যেন আমরা লোভ এ না পরি।
`আপনি যেই ট্রেডিং রুলস ফলো করতেছেন ওইটাই মেনে চলুন। এর বাইরে যাবেন না ট্রেডটি ক্লোজ হওয়া পর্যন্ত। এর বাইরে গেলেই ফলাফল ভিন্ন আসবে এবং ইমোশন এর শিকার হবেন।
`সর্বশেষ বিষয় হচ্ছে হারতে শিখুন। আপনাকে সিখতে হবে যে লস করলে কেমন লাগে এবং এটি বার বার এক্সপেরিয়েন্স করতে করতে আপনি এটিতে আর ইমোশোনালি প্রভাবিত হবেন না। এজন্য ট্রেডিং জার্নি কম অর্থ দিয়ে শুরু করতে বলা হয়েছে। আগে ট্রায়াল দিয়ে শিখুন, পরিচিত হয়ে নিন, তারপর আপনি যখন পাকা হয়ে যাবেন তখন বেশি এমাউন্ট দিয়ে প্রপার ভাবে ট্রেডিং করুন।
২/১ টা বিষয় আপাতত মাথায় নেই এখন, তবে এগুলাই সাধারনত ফলো করলে আশা করি ইমোশন এর উপর ভালো কন্ট্রোল আনতে পারবেন। আপনাদের জানা কিছু থাকলে অবশ্যই জানাবেন।