সম্প্রতি আমি নিউজে দেখেছি, বাংলাদেশি মদ কোম্পানি কেরু নাকি হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করছে। তো তাদের এসব মদও তো কেউ না কেউ কনজিউম করতেছে। দেশি মদ ছাড়াও কিন্তু বিদেশি বিভিন্ন ব্যান্ডের মদ (বৈধ অবৈধ পরের বিষয়) বিভিন্ন বার সহ অনেক জায়গায় বিক্রি হয়। হ্যাঁ এখানে হয়তো লাইসেন্স এর একটা বিষয় রয়েছে। কেরু বৈধ ভাবে তাদের ব্যবসা করেতেছে, আর যেগুলো মদ ধরা পড়ছে সেগুলো সব অবৈধ। বাট মদ তো মদ ই। হোক সেটা দেশি বা বিদেশি, মদের উপাদান তো আর চেন্জ হচ্ছে না, হয়তো আ্যালকোহলের মাত্রা আলাদা হতে পারে, বাট জিনিসটা তো যেই লাউ সেই কদুই। আশা করি বুঝতে পেরেছেন কি মিন করছি।
হয়তো বাংলাদেশে এখন এমন কোনো ইনফ্রাস্ট্রাকচার নেই, বা এসব হ্যানডেল করার মতো জনবল নেই। পৃথিবীর অন্যন্য দেশে এসব কিভাবে কি করা হয় তাও আমি জানিনা। আমি প্রায়ই একটা বিদেশি ভিডিও দেখতাম যেখানে এয়ারপোর্টে থাকা কাস্টমস্ অফিসারা মদ, সিগারেট, বা মাদকদ্রব্য সহ বিভিন্ন অবৈধ জিনিস জব্দ করতো। নিশ্চয় তারা এসব ফালায় দেয় না। কিছু না কিছু তো অবশ্যই করে।
আপনাদের মাথায় কখনো কি এমন প্রশ্ন এসেছে? আমার মাথায় প্রায়ই এমন প্রশ্ন ঘোরে, বাট উত্তর পাই না। এটা কিন্তু কোনো মজার বিষয় না, একবার ভালোভাবে চিন্তা করে দেখুন তো।
সত্যিকার অর্থে জানার কোন শেষ নেই। ওপি কে ধন্যবাদ যে উনি উনার মনের লুকোনো প্রশ্নটি করেছে। এখানেও অনেক কিছু জানারও আছে। প্রথমত বলতে চাই বিধিমালা দিয়ে কোন লাভ নেই যদি আমাদের মধ্যে কোন পরিবর্তন না আসে।
কারন আমি যতদুর জানি যে যেই পরিমান মদ জব্দ করা হয় তার চেয়ে বেশি পরিমান মদ কিন্তু ঠিকই আমদানি করা হচ্ছে যেমনটি আমরা শোনা বারের দিকে তাকালে বুঝতে পারব। আমি এখানে সোনার বারের কথা শুধুমাত্র রিলেট করার জন্য উল্লেখ করলাম। আমরা প্রায়ই সোনার বার গুলো এয়ারপোর্টে জব্দ করতে দেখি এবং আমার যা মনে হয় যে এই ধরনের নিউজ আমি ছোট বেলায় থেকেই দেখে আসছি। সেখানে একটি বার চিন্তা করুন এতদামি সোনার বার গুলো ধরা পরার পরও তা দেশে অবৈধভাবে আনা হয়। এর অর্থ হল যারা সোনা আনছেন তারা গড়ে 100 টি বার আনলে সেখানে 5 টি বার যদি জব্দ করার জন্য রাখেন যাতে তাদের কোন প্রবলেম না হয়। যদি তাই না হত তাহলে অবৈধভাবে সোনা আনা বন্ধ হত। আপনি কি কখনও সোনা বৌধভাবে আমাদের দেশের ইমপোর্ট করার কথা শুনেছেন? আমি শুনিনি তবে অবশ্যই বৈধভাবে ক্রয় করা হয় যার পরিমান হতে পারে খুবই সামান্য। ঠিক মদের ব্যাপারটিও প্রায় একই। যে পরিমান মদ জব্দ বা নস্ট করা হচ্ছে তার চেয়ে বেশি আনা হচ্ছে। আনার জন্য যদি 20 শতাংশ লস দিয়েও আনা হয় তবুও ব্যবসায়িরা লাভবান হবে।
অবশ্যই প্রতেকটি জিনিসেরেই পজিটিভ এবং নেগেটিভ দিকগুলো রয়েছে। আমরা যদি মদকে শুধুমাত্র নেশা হিসেবে মনে করি তাহলে এটি নেতিবাচক দিককে প্রভাবিত করবে কিন্তু এর যে কিছু পজিটিভ দিকগুলো আছে তা আমরা এড়িয়ে যাই।
মদ্যপান নিষিদ্ধ এটি শুধুমাত্র লিখিত একটি আইন কিন্তু এর প্রয়োগ তেমনভাবে প্রতিফলিত হয় না। কয়জন লোক মদ্যপানের জন্য জেলে গিয়েছে? যারা মদ্যপান করে তারা ঠিকই যে কোন উপায়ে মদ্যপান করছে। যদি প্রশাসন তাদের কে বিরত রাখতে পারত তাহলে অন্তত্য ভাবতাম যে এই আইনটি শুধুমাত্র লিখিত নয় যার প্রয়োগও আছে।
মদ্যপান যে শুধুমাত্র অন্যধর্মের লোকই করে তা নয় মুসলিমদের মধ্যেও এখন এটি কালচারে পরিনত হয়েছে এবং আর্ন্তজাতিক বিশ্বে মুসলিম দেশগুলোতে এর প্রভাব দিন দিন বেড়েই চলেছে।