দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাতিসংঘ তৈরি করা হয়েছিল যাতে পৃথিবীতে শান্তি বজায় থাকে এবং আর কোন বড় যুদ্ধ সংঘটিত না হয়।জাতিসংঘ চাইলে অবশ্যই এই যুদ্ধ বিরোধী দিতে পারে কিন্তু কেন তারা এই বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না সে বিষয়টা আমি বুঝতে পারছি না।
ইসরাইল এবং ফিলিস্তিন এর মধ্যে প্রতিনিয়তই কিন্তু ছোটখাটো যুদ্ধ হয়ে থাকে। আসলে ফিলিস্তিন মূলত মুসলিম দেশ মুসলিমদের অন্যতম পবিত্র একটি মসজিদ হলো আল-আকসা। এই আল আকসা মসজিদে ইহুদি পন্থীরা নানারকম অপবিত্র ও অসামাজিক কার্যক্রম করে থাকে যার জন্য ফিলিস্তিনের মানুষদের সাথে তাদের ঝগড়া লেগে থাকে। ইহুদিরা জোর করে এই আল আকসা মসজিদ দখল করে নিয়েছিল তবে বর্তমানে এই যুদ্ধের মাধ্যমে আল আকসা মসজিদ ইহুদিদের হাতে থেকে মুক্ত হয়েছে।
কিন্তু ইসরাইল এবং হামাসের যুদ্ধে আমি জাতিসংঘের নিশ্চুপ অবস্থান লক্ষ্য করছে।
জাতিসংঘ চাইলেই যুদ্ধ থামাতে পারে এটা ঠিক। তবে বরাবরের মতো ইসরাইলিদের হাতে ফিলিস্তিনিরা নিপীড়িত, লাঞ্ছিত হয়ে আসছে। এমনকি ইসরাইলিদের সৈন্যদের কাছে অনেক ফিলিস্তিনি শিশুসহ প্রায় অনেক লোক মারা গেছে।জাতিসংঘ কিন্তু অনেক গুলো বড় দেশের সমন্বয়ে একটি সংঘ। যেমন সৌদি আরব, রাশিয়া চীন,ইরাক,ইরান, যুক্তরাষ্ট্রসহ, তুর্কি সহ আরো অন্যান্য উন্নত এবং বড় দেশগুলো। এই বড় বড় রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অধিকাংশ রাষ্ট্রই এখন ফিলিস্তিনের পক্ষে। জাতিসংঘ যদি ভুল করে ইসরাইলের সাথে হাত মিলায় তাহলে যেসব দেশ ফিলিস্তিনিদের সাপোর্ট করছে বিশেষ করে মধ্য প্রাচ্যের অধিকাংশ দেশগুলো মুসলিম তারা অবশ্যই ফিলিস্তিনকে সাপোর্ট করবে। আর এই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো র অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে তেল যা সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরবরাহ করা হয়। যদি জাতিসংঘের বিরোধিতার কারণে এই তেলের সরবরাহ ব্যাহত হয় তাহলে বিশ্ব বাজারে ভয়াবহতা নেমে আসতে পারে এমনকি অর্থনৈতিক মন্দার সৃষ্টি হতে পারে। হয়তো এর জন্যই জাতিসংঘ এখনও নিশ্চুপ রয়েছে।
[/quote]