Post
Topic
Board Other languages/locations
Re: বাংলাদেশ (Bengali)
by
Z_MBFM
on 16/10/2023, 16:14:03 UTC

চাল, ডাল, তেল, সবজি, মাছ, মাংস, চিনি, ফলমূল, সমস্ত খাদ্য দব্য, সোনা, রুপা, গাড়ি, বাড়ি, জমি, জমা ইত্যাদি এর দাম প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবে যদি দেশের সবকিছু মূল্য প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পেতে থাকে তাহলে ডিমের খোসার মতো দেশ হয়ে যাবে। যদিও ইতিমধ্যেই আমরা জানি যে আমাদের দেশটি ডিমের খোসার মতো হয়েছে ভিতরে কিছু নেই বাইরে চকচকা। সামান্য কিছু আছে তাও প্রতিনিয়ত যেভাবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি করতেছে কয়েকদিন পর দেখা যাবে সেই ডিমের খোসা ও একেবারে ভেঙ্গে যাবে। Grin Grin

চাল ডাল থেকে শুরু করে নৃত্য প্রয়োজনে সকল কিছুর দাম অনেক গুণ বেড়ে গেছে প্রত্যেকটা জিনিসের দাম এতটাই বুদ্ধি পেয়েছে সাধারণ মানুষের সংসার পরিচালনা করা খুবই কষ্টকর হয়ে গেছে। বিশেষ করে যারা নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত আছে তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে গেলে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। অনেক ফ্যামিলিতে আছে যারা চাল-ডাল সবজি ঠিকমতো কিনতে পারেনা মাসের পর মাস গেলেও তারা গরুর মাংস খাসির মাংস খেতে পারেনা। তাই আমাদের সরকারকে এদিকে নজর দিতে হবে যাতে করে দ্রব্যমূলের দাম একটু হলেও নিয়ন্ত্রণ আসে যাতে করে সাধারণ জনগণ শান্তি মত একটু ডাল ভাত খেয়ে বেঁচে থাকতে পারে। আর এভাবে যদি প্রত্যেকটা দ্রব্যমূলের দাম বৃদ্ধি পায় তাহলে একটা সময় মানুষ না খেয়ে থাকতে হবে।

সরকার যা সিদ্ধান্ত নিবে তা আমাদের মাথা পেতে মেনে নিতে হবে তাছাড়া কোন উপায় নেই। আপনি তো আর না খেয়ে থাকতে পারবেন না। আমাদের দেশের সরকারের অবস্থা এতটুকু নিশ্চিত যে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যতে বৃদ্ধি করা হোক না কেন মানুষ অবশ্যই তা ক্রয় করবে কারণ এগুলো ক্রয় না করলে না খেয়ে মরবে। ৪০ টাকা কেজি পেঁয়াজ আমরা একটা সময় ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি কিনেছি, ৯০ টাকার পেট্রোল আমাদের এখন ১৩০ টাকা কিনতে হয়, ৮০ টাকা লিটারের তেল এখন প্রায় ২০০ টাকা, ১২০ টাকা কেজি বয়লার মুরগি এখন ১৯০ থেকে ২০০ টাকা যখন এসব নিয়ে সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে সাংবাদিকরা বড় পর্যায়ে প্রশ্ন করে তখন বড় পর্যায় থেকে উত্তর আসে পেঁয়াজ ছাড়াও রান্না হয় , তেল ছাড়াও রান্না হয় এবং কাঁঠালের কাবাব‌ তৈরি করা যায়।
তারা যেহেতু বাংলাদেশের সব থেকে বড় পর্যায়ের মানুষ তাদের পক্ষে সম্ভব পেঁয়াজ ছাড়া রান্না করে খাওয়া কাঁঠালের খাবার তৈরি করে খাওয়া কিন্তু আমরা যেহেতু মধ্যবিত্ত তাই আমাদের এগুলো দিয়ে পোষায় না। সবকিছুর পরে আমাদের এটা মেনে নিতে হবে যে আমরা হুকুমের গোলাম, ‌ যখন যা হুকুম হবে তাই আমাদের মেনে নিতে হবে।
আপনি কেন শুধুমাত্র সরকারের দোষ দিচ্ছেন? জিনিসপত্রের দাম বাড়ার জন্য সবচাইতে বেশি দায়ী হচ্ছে সিন্ডিকেট পার্টি এবং বড় বড় ডিলাররা। সরকারের এ কার পক্ষে সবকিছু কন্ট্রোল করা সম্ভব না আর এ কারণেই সরকার আপনার আমার মত অন্য কাউকে দায়িত্ব দেয় আর এদিকে যে দায়িত্ব পায় সে ইচ্ছামত নিজের তহবিল গুছাইতে শুরু করে। বাংলাদেশের এমন করুন অবস্থার জন্য দায়ী বাংলাদেশের আইন ব্যবস্থা বাংলাদেশে আইন আছে কিন্তু এর প্রয়োগ নাই  আর প্রয়োগ তার ওপরে আছে যে অসহায়। এগুলো নিয়ে কিছুই বলার নাই কারণ এগুলো আমরা যতই বলি তাতে কোন সমাধান হবে না। আসলে আমি সরকার বা কোন সিন্ডিকেট পার্টির দোষ দেবোনা দোষ হলো আমাদের নিজেদের। একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী , এমপি মন্ত্রী, এসপি ডিসি ম্যাজিস্ট্রেট, জজ ব্যারিস্টার, রেমিটেন্স যোদ্ধা, ফ্রিল্যান্সার, বড় বড় বিজনেসম্যান সবাই তো মানুষ তাহলে তাদের মধ্যে আর গরিব মানুষের মধ্যে পার্থক্য এটাই যে তারা পরিশ্রম করে ওই পর্যন্ত নিজেকে গড়তে সক্ষম হয়েছে আর যারা এখনো গরিব তারা কোনদিন চেষ্টাই করে নাই নিজেকে সফল করবে কিভাবে? যারা বড় বড় বিজনেসম্যান বা বড় বড় পজিশনে আছে তারা কিন্তু একদিনে তার সেই পজিশন পাই নাই তারা সেই পজিশন পর্যন্ত যাইতে দিনরাত বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম করছে তারপর যাইতে পারছে। আর যারা বড় বড় পজিশনে আছে তারা ঠিকই আরাম আয়েসে জীবন কাটাইতেছে পণ্যের দাম কতটুকু বাড়লো বা কমলো এটার জন্য তাদের কোন মাথা ব্যাথা নাই। কেউ জন্মের থেকে বড়লোক হয়ে জন্মায় না। আপনি গরিবের জন্মাইছেন এটা আপনার দোষ না কিন্তু আপনি যদি গরীব হয়ে মরেন তাহলে সেটা সম্পূর্ণই আপনার দোষ। আর এটা ফল আপনার নিজেকেই ভোগ করতে হবে