সরকার যা সিদ্ধান্ত নিবে তা আমাদের মাথা পেতে মেনে নিতে হবে তাছাড়া কোন উপায় নেই। আপনি তো আর না খেয়ে থাকতে পারবেন না। আমাদের দেশের সরকারের অবস্থা এতটুকু নিশ্চিত যে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যতে বৃদ্ধি করা হোক না কেন মানুষ অবশ্যই তা ক্রয় করবে কারণ এগুলো ক্রয় না করলে না খেয়ে মরবে। ৪০ টাকা কেজি পেঁয়াজ আমরা একটা সময় ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি কিনেছি, ৯০ টাকার পেট্রোল আমাদের এখন ১৩০ টাকা কিনতে হয়, ৮০ টাকা লিটারের তেল এখন প্রায় ২০০ টাকা, ১২০ টাকা কেজি বয়লার মুরগি এখন ১৯০ থেকে ২০০ টাকা যখন এসব নিয়ে সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে সাংবাদিকরা বড় পর্যায়ে প্রশ্ন করে তখন বড় পর্যায় থেকে উত্তর আসে পেঁয়াজ ছাড়াও রান্না হয় , তেল ছাড়াও রান্না হয় এবং কাঁঠালের কাবাব তৈরি করা যায়।
তারা যেহেতু বাংলাদেশের সব থেকে বড় পর্যায়ের মানুষ তাদের পক্ষে সম্ভব পেঁয়াজ ছাড়া রান্না করে খাওয়া কাঁঠালের খাবার তৈরি করে খাওয়া কিন্তু আমরা যেহেতু মধ্যবিত্ত তাই আমাদের এগুলো দিয়ে পোষায় না। সবকিছুর পরে আমাদের এটা মেনে নিতে হবে যে আমরা হুকুমের গোলাম, যখন যা হুকুম হবে তাই আমাদের মেনে নিতে হবে।
সরকারের একার সিদ্ধান্তে দেশ চলে না। মন্ত্রিসভায় যতগুলো সদস্য আছে সবার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। আমার মনে হয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ার পেছনে শুধু সরকারের হাত নেই কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী যেমন বড় বড় ডিলার এবং সিন্ডিকেট যারা করে তাদের হাত ধরেই এইসব নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। দ্রব্যমূলের অর্ধগতির কারণে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে জীবন যাপন করা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। বর্তমানে পিয়াজের দাম কিছু কমলেও কাঁচামরিচের দাম কিন্তু অনেক বেশি। গত সপ্তাহে আমাদের এলাকার এক নিজস্ব হাট থেকে কাঁচা মরিচ 280 টাকা কেজি করে কিনেছি এবং আমি একটি বয়লার মুরগী কিনেছি যার দাম ছিল 190 টাকা কেজি। সয়াবিন তেল এখনো কিনতে হয় ২০০ টাকা কেজি করে। এটাই হয়তো আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ। এগুলোই তার প্রমাণ।