Post
Topic
Board Other languages/locations
Merits 2 from 2 users
Re: ট্রেডিং এর ক্ষেত্রে আবেগকে নিয়ন্ত্রণ কর&
by
Bitcoin_people
on 21/10/2023, 01:20:09 UTC
⭐ Merited by Bd officer (1) ,HelliumZ (1)
আমরা যারা ক্রিপ্টো ট্রেডিং করি, তাদের সব সময় আবেগ কে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার, কারন আপনি যদি আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন তাহলে আপনি ক্রিপ্টো তে অনেক ক্ষতিতে পরবেন আবেগ নিয়ে ট্রেড না করে বাস্তববাদী হয়ে ট্রেড করার চেষ্টা করুন -


  • অতিরিক্ত লাভের আশা করা যাবে না যে আপনি একটা কয়েনে ইনভেস্ট করেই ধনী হয়ে যাবেন
  • ধরেন আপনি কোন একটা কয়েনে এন্ট্রি নিয়েছেন কোন কারনে মার্কেট কিছুটা নিচে চলে গেল সেটা দেখে ভয় না পেয়ে বা আবেগেরবশত না হয়ে  আপনি আগে ওই টোকেনটা কন্ডিশন দেখেন এটা কি কন্ডিশনে আছে তার পরে ঠান্ডা মাথায় সিদ্দ্যান্ত নেন ।
  • কোন কয়েন বা টোকেন এ ইনভেস্ট করার পরে সেটা বারে বারে দেখা থেকে বিরত থাকুন আপনি একটা নির্দিষ্ট টার্গেট দিয়ে সেল অর্ডার বসিয়ে রাখুন
  • মার্কেটের কন্ডিশন বুজে ট্রেড  করুন হুটহাট কারো কথায় আবেগের বসে ইনভেস্ট করে বসবেন না
উপরে কথাগুলো একজন বিনিয়োগকারী জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একজন বিনোদকারীকে অবশ্যই বেশ কতগুলো বিষয় খেয়াল রেখে ট্রেডিং বা হোল্ডিং করতে হবে। ট্রেডিং এর ক্ষেত্রে ইমোশন বা আবেগ অবশ্যই বর্জন করতে হবে। আবেগ বা ভয় নিয়ে ট্রেডিং করতে গেলে আপনাকে অবশ্যই লোকসানের সম্মুখীন হতেই হবে। আপনি যেখানে কোন একটি টোকেন হোল্ড করেছেন কিন্তু বেশ কয়েকদিন পর দেখলেন আপনার কিছু পরিমাণ প্রফিট এসেছে ওই সময় যদি আপনি আবেগের বশবর্তী হয়ে আপনার পুরো টোকেন বিক্রি করে দেন সে ক্ষেত্রে আপনার টোকেন পরবর্তীতে আরো বেশি পরিমাণে পাম্প করলে শুধুমাত্র আবেগের জন্য অনেক সময় বড় ধরনের প্রফিট মিস করতে হয়। তাই আবেগ নিয়ে ই কখনো ট্রেড করতে চাওয়ার উচিত নয়।
আমরা যারা ক্রিপ্টো ট্রেডিং করি আবেগ দিয়ে  ক্রিপ্টো ট্রেডিং করা যাবে না কারণ আমরা যদি আবেগ দিয়ে ট্রেডিং করার চেষ্টা করি তাহলে আমাদের সিদ্ধান্তটা সঠিক হবে না। আমরা যখন কোন কিছুতে ট্রেডিং করার জন্য চিন্তা ভাবনা করি তাহলে আমরা যদি বেশি আবেগপ্রবণতা হয়ে পড়ি সেটাও আমাদের জন্য অনেকটা ক্ষতিকর । ট্রেডিং করতে গেলে আবেগ বা ভয় পেলে চলবে না আমাদেরকে অনেক সতর্কতার  সঙ্গে ট্রেডিং করতে হবে। আমরা যদি কোন কিছু ট্রেডিং করি অতিরক্ত লাভের আশা করা যাবে না যেমন আমি ও কয়েন ইনভেস্ট করলাম এটা করার জন্য আমি  কোটিপতি হয়ে যাবে এরকম মনোভাব রাখা যাবে না। যদি এরকম মনোনিবেশ নিয়ে আমরা কোন কিছুতে ট্রেডিং করি তাহলে ব্যবসা করতে গেলে ঝুকি তো থাকবে সেটা আমাদেরকে মেনে নিতে হবে কিন্তু সব সময় যে আমি এই মনোভাব নিয়ে ব্যবসা করলে  ক্ষতি হয়ে যায়।
আমরা সাধারণত যারা ছোট ছোট ট্রেডার তারা সহজে আবেগ কন্ট্রোল করতে পারব না। বিশেষ করে ধরুন আমি ১০০ ডলার বিনিয়োগ করলাম কিছুদিন পর দেখলাম আমার ওয়ালেটে ১৩০ ডলার শো করছে। যেহেতু আমি একটি ছোট ট্রেডার তাই আমার কাছে এখানে ৩০ ডলার অনেক বেশি এখানে আমার আবেগ কাজ করবে না। তাই যতই আবেগের কথা বলি না কেন ৩০ ডলার প্রফিট মানে অনেক কিছু তাই আমি কোন কিছু তোয়াক্কা না করে বিক্রি করে দেব। তাই বিশেষ করে যেখানে বিবেক কাজ করে সেখানে আবেগের কোন জায়গা নেই। তাছাড়া যারা বড় বড় ট্রেডার তাদের অবশ্যই এরকম আবেগ কন্ট্রোল করার সিস্টেম জানা আছে। মনে করেন মাইকেল সেলার এক লক্ষ 58 হাজারের উপরে বিটকয়েন ওয়ালেটে সঞ্চয় করে রেখেছেন। তার প্লান সে এটি হোল্ড করে রাখবে তাই বিটকয়েন ৭০ হাজার ওঠার পরও তিনি কিন্তু বিটকয়েন বিক্রি করেননি। তাই তাদের ক্ষেত্রে বিবেক আবেগ দুটোই সমানভাবে কাজ করে কিন্তু কখনো বিবেকের কাছে আবেগ জয়লাভ করে না বরং তারা ইমোশন কন্ট্রোল করার ক্ষমতা আছে বলেই বর্তমানে তারা পৃথিবীর বড় বড় ইনভেস্টারদের মধ্যে একজন।
ছোট ট্রেডাররা বেশিরভাগ সময় যদি লসের সম্মুখীন হয় তখন তাদের অনেকটা আবেগ কাজ করে এবং সেটা কন্ট্রোল করতে পারে না। আপনি যদি ১০০ ডলার বিনিয়োগ করেন সেখান থেকে যদি প্রফিট ৩০ ডলার লাভ করেন তবে অবশ্যই আপনি নিজেকে একজন ভালো ব্যবসায়ী হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করবে। কিন্তু আসলে ছোট ট্রেডার হিসেবে আপনার এই ৩০ ডলার অনেক বেশি সেজন্যই আপনার তখন আবেগ কাজ করবে না বরং নিজেকে সফল মনে হবে কিন্তু আসলে এটা বিপরীত হতে পারে। আমরা দেখেছি কয়েকদিন আগে আমাদের বাংলাদেশী একটি ডায়লগ ভাইরাল হয়েছে যেখানে সেই ব্যক্তি বলেছে তার আবেগ কাজ করেছে কিন্তু বিবেক কাজ করে নাই Grin। ঠিক সেইভাবে যদি আপনার ৩০ ডলার লাভ করে আবেগ কাজ না করে, পরবর্তীতে যদি লসকে আবেগ বিবেক দুটোই কাজ করে তাহলে তো সমস্যা। বিশ্বের বড় বড় ইনভেস্টাররা আসলে আবেগ কি জিনিস সেগুলো বোঝেনা তারা বিটকয়েন ধরে রেখেছে এটাই তাদের আবেগ। মাইকেল সেলার একজন বিখ্যাত বিনিয়োগকারী এবং বিটকয়েন ধারক তিনি যে পরিমাণ অর্থ হোল্ড করে রেখেছে আমরা তার ১০০ গুণের এক গুন ও হোল্ড করতে পারবো না, কেননা যখন দাম বাড়বে অনেক অর্থ দেখাবে আবার যখন কমবে অনেক কম দেখাবে সেজন্যই আমাদের আবেগটা তখন উত্রেয়ে পড়বে। আমি বিনিয়োগ করেছি তবে কতদিন ধরে রাখতে পারব এটা তা জানি না নিজের আবেগগুলো কন্ট্রোল করতে পারব কিনা সে সম্পর্কে আমার এতটা ধারণা নেই তবে আমি চেষ্টা করবো আমার ইমোশন গুলো কন্ট্রোল করে দীর্ঘ দিন ধরে রাখার। যেহেতু আমি বিটকয়েন এ বিনিয়োগ করেছি তাই সেগুলো দীর্ঘদিন ধরে রাখার চেষ্টা করব বিটকয়েনে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ নয় সেজন্যই সকলের বিটকয়েনের ওপর আস্থা রাখে এবং ইমোশনাল কম হয়।